Site icon Trickbd.com

এন্ড্রয়েড ফোনের ইতিহাস (সেপ্টেম্বর ২০০৮-বর্তমান)

সবার হাতেই তো একটা এন্ড্রয়েড ফোন দেখা যায়… মোটামোটি নিত্য দিনের সঙ্গী এই স্মার্ট এবং বুদ্ধিমান ফোনটা।

কিন্তু আপনি কি জানেন এটার ইতিহাস!?? কত্তো বিবর্তনের মাধ্যমে আপনি এই ফোনটা পেয়েছেন???

এই পোষ্ট এ আপনাদের সাথে মোটামোটি ভাবে এন্ড্রয়েড এর বিবর্তন এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব…

 

এন্ড্রয়েড হলো লিনাক্স ভিত্তিক একটি অপারেটিং সিষ্টেম যেটা মূলত স্মার্টফোন এবং টেবলেট এ ব্যবহার করা হয়

অনেক বিবর্তনের মাধ্যমে আমরা বর্তমান এন্ড্রয়েড ডিভাইস টা পেয়েছি…

Android Version 1.0 (Sepetember, 2008):

এন্ড্রয়েড ফোন এর প্রথম ভার্সন প্রকাশিত হয় ৭ বছর আগে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

web browser, camera, Google services including search, Google Maps, synchronization of Gmail, contacts, instant messaging,  media player এর মতো একটি স্মার্ট ফোন এর ব্যাসিক সার্ভিস ছিলো এই ভার্সনে।

Android Version 1.1 (February 2009):

এন্ড্রয়েড এর পরবর্তী ভার্সন 1.1 প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী তে । এই ভার্সনে  Google Maps উন্নত করা হয়েছিলো, ইমেল থেকে ডাটা সেভ করা এবং dial pad দেখানো এবং আড়াল করার সিষ্টেম এই ভার্সনেই প্রথম আসে এবং সাথে অন্যন্য নতুন জিনিষ সংযুক্ত হয় ।

Android Version 1.5 (Cupcake,April 2009):

এন্ড্রয়েড এর পরবর্তী সংস্করন প্রকাশিত হয় এপ্রিল ২০০৯ এ এবং এই প্রথম এন্ড্রয়েড এর নামকরন করা হয় যেটা ছিলো “Cupcake”

এই ভার্সনে মূলত ভিডিও, home screen architecture, application widgets, web browser থেকে কপি পেষ্ট,contact ছবি সহকারে সংরক্ষন করা,auto rotation সহ আরো কিছু উন্নত সুবিধা সংযুক্ত হয়েছিলো।

Android Version 1.6 (Donut,September 2009):

পরবর্তী এন্ড্রয়েড সংস্করনের নামকরন করা হয়েছিলো “Donut” যেটা সেপ্টেম্বর ২০০৯ তে প্রকাশিত হয়েছিলো ।

multi-touch device এবং  image gallery এই ভার্সনে সংযুক্ত হয়েছিলো।

Android Version 2.0 ( Eclair,October 2009):

ভার্সন 1.5 প্রকাশিত হওয়ার ১ মাস পর প্রকাশিত হয় ভার্সন 2 যেটার নাম দেয়া হয়েছিলো Eclair

  ভিন্ন ভাষার মাধ্যমে Google accounts পরিচালনা,  Bluetooth 2.1 এ আপগ্রেড, Microsoft Exchange, SMS message খুজা এবং আলাদা আলাদা স্ক্রিন সাইজ সাপোর্ট করার বিষয় টা বাজারে এই ভার্সন টার বৈচিত্র নিয়ে এসেছিলো।

Android Version 2.2 ( Froyo,May 2010):

এন্ড্রয়েড এর এই ভার্সনে মেমোরী এর স্পিড বাড়ানো হয় এবং ফোন টিকে আরো স্মোথ করা হয়,জাভাস্ক্রিপ্ট এর উন্নত ভার্সন সংযোজন করা হয় ,USB tethering এবং Wi-Fi hotspot সর্বপ্রথম এই ভার্সনেই সংযোজিত করা হয়।

Android Version 2.3 ( Gingerbread ,December 6 2010):

এই ভার্সনে ফোনের ডিজাইন ও স্পীড উন্নত করা হয় .. নতুন ডাওনলোড ম্যানেজার… যেকোন ব্রাউজার থেকে সহজেই ডাওনলোড করার সিষ্টেম এই ভার্সনেই প্রথম সংযুক্ত হয়েছিলো।

Android Version 3.0 ( Honeycomb ,February 22, 2011):

এটা মূলত টেবলেট এ ব্যবহার উপযোগী ভার্সন ছিলো।একশন বার ,ক্যামেরা ফাংশন সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন আপডেট করা হয়েছিলো এই ভার্সনে।

Android Version 4.0 ( Ice Cream Sandwich ,October 19, 2011):

আমাদের দেশে এন্ড্রয়েড জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এই ভার্সন থেকে… এই ভার্সনের আগে এন্ড্রয়েড বহিঃবিশ্বে জনপ্রিয় থাকলেও আমাদের দেশে নোকিয়া ফোন ব্যবহারকারীই তখন বেশী ছিলো… জাভা ওপারেটিং সিষ্টেম ই তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলো

তারপর সিম্ফনি কোম্পানী এন্ড্রয়েড বের করলে আস্তে আস্তে তা জনপ্রিয় হয়…

এই অপারেটিং সিষ্টেম টা এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন এবং টেবলেট দুইটার ই উপযোগী ছিলো। অডিও-ভিডিও প্লে ব্যাক এ উন্নতি এবং কাষ্টম লাঞ্চার এর সংযোজন এই ভার্সনেই করা হয়েছিলো।

Android Version 4.1-4.3 ( Jelly Bean ,February, 2011-July 2013):

ফেব্রুয়ারী ২০১১ তে Jelly Bean এর প্রথম ভার্সন 4.1 বের হয়। এই ভার্সনে এন্ড্রয়েড ফোন কে আরো স্মোথ করা হয় এবং এন্ড্রয়েড এর জনপ্রিয়তা কে তুংগে নিয়ে যায় ।

পরবর্তীতে November 2012 তে Jelly Bean 4.2 এবং July  2013 তে Jelly Bean 4.3 বের হয়।

Android Version 4.4 ( Kitkat ,September 3, 2013):

এই ভার্সনে মেমোরী এবং পাওয়ার এর ক্ষেত্র টা উন্নত করা হয়। মোবাইল যেন কম শক্তি খরচ করে বেশিক্ষন সুবিধা দিতে পারে সেটা এই ভার্সনে জোরদার করা হয় যার ফলে ব্যাটারী সঞ্চয় বাড়ে ।

Android Version 5 ( Lollipop ,November 12, 2014):

এই ভার্সনেই প্রথম এপ ডেভেলপ এ Material design আসে যেটা ব্যবহারকারীদের এন্ড্রয়েড ব্যবহারের অনুভূতিকেই পরিবর্তন করে দিতে সক্ষম।নটিফিকেশন সিষ্টেম এ উন্নতি,recent app view তে উন্নতি সহ আরো বিভিন্ন সুবিধা এই ভার্সনে সংযুক্ত হয়।

Android Version 6 ( Marshmallow ,October 5,2015):

একেবারে সম্প্রতি বেহওয়া এন্ড্রয়েড ভার্সন হলো Marshmallow… এতে ফিংগার প্রিন্ট সেবা ,এপ খুজে বের করায় সুবিধা ,গোগোল সার্চ এর সুবিধা সহ আরো অনেক সুবিধা সংযুক্ত হয়েছে এই ভার্সনে।

 

আজ এই পর্যন্তই… আশা করি এই পোষ্ট টা আপনাকে এন্ড্রয়েড সম্পর্কে অনেক খুটিনাটি তথ্য সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।

 

ভালো থাকুন এবং প্রযুক্তির সাথেই থাকুন 🙂

ফেসবুক আমিঃRana

ফেসবুকে ট্রিকবিডি টিমঃ Trickbd – Know For Sharing