সুপ্রিয় ভিউয়ার, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন।
.
বলে রাখা ভাল যে এই পোস্ট এর ৫০% লেখা ২ মাস আগের লেখা। ভার্সিটি এডমিশন এর জন্য পড়ার চাপে আর লিখতে পারিনি, কিন্তু আজ ভাল লাগছে না, তাই ভাবলাম আপনাদের কাছ থেকে একটু ঘুরে আসি।
।
পোস্ট এর টাইটেল দেখেই হয়ত বুঝেই গেছেন এটা এন্ড্রয়েড নিয়ে চেইন বা সিরিজ টিউন।
Android.
বর্তমানের জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। আর ওপেন সোর্স হওয়ায় এর মোড / চেঞ্জ সবাই করতে পারে। আমার এই সিরিজের মাধ্যমে নতুনদের কে সঠিক ভাবে কাজ করার প্রক্রিয়া, ধাপ ও বিভিন্ন ট্রিক সম্পর্কে জানানো হবে। তাই আশা করি সাথেই থাকবেন।
তার আগে একটা ধাপ জেনে নিন যেটা সবার জানা উচিৎ । এই ধাপেধাপে কাজ করলে ফোন নিয়ে কাস্টোমার কেয়ারে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না (আমার মনে হয়)
*
*
রুট > Xposed > কাস্টম রিকভারী > স্টক রমের ব্যাকাপ > ফার্মওয়ার ব্যাকাপ (Optional) > নতুন রম পোর্ট > নতুন রম দেওয়া. (ভার্সন ভেদে কাস্টম রিকভারীর সিরিয়াল একটু চেঞ্জ হবে)
*
*
আমার এই সিরিজে এই ধাপ গুলো বেশ ভালোভাবেই বলা হবে। অনেকে হয়ত এই ধাপ গুলো নিয়ে বিভিন্ন মত প্রকাশ করবে তাদের উদ্দ্যেশেঃ আমি আরো অনেক জিনিস স্কিপ / বাদ দিয়ে ছোট করে নিয়েছি।
আজ সিরিজ এর চতুর্থ পর্ব। আর এই পর্ব হচ্ছে এন্ড্রয়েড ফোনের রিকভারী এবং কাস্টম রিকভারী নিয়ে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তো কমেন্ট ও ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন
তো চলুন শুরু করা যাক।
প্রথম কথাঃ
আমি খুব ব্যস্ত থাকা সত্তেও পোস্ট চালিয়ে যাচ্ছি। এতে কোন ভুল ভ্রান্তি হওয়াই স্বাভাবিক। অনেকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত দিতে পারছি না। এজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। ??
Android রিকভারী:
রিকভারী কি? অর্থ খুজলে দেখায় যায় এর মানে হচ্ছে, উদ্ধার, আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া ইত্যাদি।
Android এ রিকভারী প্রায় একই হিসেবে ব্যবহার করা হয়,
প্যাটার্ন দিয়ে ভুলে গেছেন, ফ্রেন্ডকে বলেন বা গুগলে খুজলেন, সেখানে বলা হলো রিকভারী মোডে গিয়ে রিসেট দিতে, কিভাবে রিকভারী তে যাবেন সেটাও বলে দিল। ঠিকঠাক মত কাজ করলেন, দেখলেন সেট নতুন কেনার পর যে রকম ছিল, সেই রকম হলো।
স্টক রিকভারী বা সেটের দেয়া রিকভারীর কাজ প্রায় এটুকুতেই সীমাবদ্ধ। এই যে আপনি ফোন বন্ধ করে ভলিউম বাটন+ পাওয়ার বাটন+ হোম বাটন ইত্যাদি চেপে যে অন্য রকম একটা ইন্টারফেস পেলেন সেটাই রিকভারী।
দেখলেই কেমন ভয় ভয় লাগে, কালো ইন্টারফেস, অদ্ভুত লেখা, একি টাচ কাজ করে না ইত্যাদি, ইত্যাদি।
খাড়ান ভাই এই ভয় কে দূর করতে হবে, নয়ত আগে যাবেন কেমনে।
কাস্টম রিকভারীঃ
“খাইছে, আগেরটাই তো বুঝলাম না, কোন দিন ইউজও করি নাই, এখানে আবার সাথে “কাস্টম” যোগ করে দিছেন” ইত্যাদি প্রশ্ন মনেই রাখেন।
।
“কাস্টম” জিনিস তো বোঝেন, যখন স্টক/অরিজিনাল দিয়ে কাজ হয় না বা সেটার সীমাবদ্ধতা কমানোর জন্য যখন অন্য জিনিস নেয়া হয় সেটাই কাস্টম,
তেমনি স্টক রিকভারী/ অরিজিনাল রিকভারী দিয়ে এডভান্স লেভেলের কাজ হয় না। তাই আমাদের ফোন এ কাস্টম রিকভারী নিতে হয়। প্রত্যেক মডেলের ফোনের জন্য আলাদা আলাদা কাস্টম রিকভারী দিতে হয়।
বিভিন্ন কাস্টম রিকভারীর নাম গুলো জেনে নিনঃ
TWRP.
CWM.
PhilZ.
CTR.
টপ এ এগুলাই, আরো কিছু আছে যা গুগলসার্চ এ জানতে পারবেন।
কাস্টম রিকভারী দিয়ে কি করব?
ওহ, তাইতো, শুনুনঃ
*রুট করা (মাত্র ২ সেকেন্ড) ( স্পেশাল For Android 5+)
*স্টক রমের ব্যাকাপ ( কেয়ারে যেতে হবে না)
*নতুন রম দেয়া ( এটাইতো চাই)
*কোন সমস্যা হলে ব্যাকাপ রিস্টোর করে স্টকে ফিরে যাওয়া (টাকা + সময় সাশ্রয়)
.
আরো কিছু কাজ যেগুলো পরে জানবেন।
কাস্টম রিকভারী কই পাব?
এটাই সমস্যা, যেহেতু আলাদা মডেলের আলাদা রিকভারী তাই প্রচুর সমস্যা হয় খুজে পেতে। প্রথম কাজ গুগলসার্চ করা।
না পেলে ঐ মডেল এর ফেসবুক গ্রুপে খোজা,
না পেলে বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে বানানো
না পেলে পোর্ট করে নেয়া।
আরো ডিটেল আসছে নেক্সট পোস্ট এ।
শেষ কথাঃ
নিজের জানার আগ্রহ থাকলে সেটা শত প্রতিবন্ধকতা পার করে জানা যায়।
আপাতত আপনাদের কাজ হচ্ছে গুগল সার্চ করে কাস্টম রিকভারী নিয়ে জানা ,
অনেকেই Android 6 রুট করতে পারেন নাই, তাদের বলছি , আগে কাস্টম রিকভারী তারপর রুট।
আমার পরবর্তী পোস্ট হচ্ছে কাস্টম রিকভারী তৈরি নিয়ে। তাই ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।