Site icon Trickbd.com

Bootanimation কী, কীভাবে তৈরি করবেন? এখনি বানিয়ে নিন আপনার নিজের Magisk Module Bootanimation, আমার ২০০তম পোস্ট।

Unnamed

Bootanimation Magisk Module

আমার ২০০ তম পোস্টে আপনাদের স্বাগতম। আজকের টপিক হচ্ছে আপনি আপনার ফোনে কীভাবে বুটএনিমেশন ফ্ল্যাশ করবেন। কিভাবে বুটএনিমেশন তৈরি করবেন এবং তা সকল রুটেড ডিভাইসের জন্য প্রযোজ্য।

বুটএনিমেশন কি

আপনার যদি একটি আইফোন কিংবা একটি শাওমি ডিভাইস থাকে সেটি যখন আপনি চালু করেন তখন ডিস্পলে তে একটি লেখা আসে, সেটি হতে পারে Mi অথবা Apple এই ধরণের কিছু। একে বলা হয় বুট লগো, অর্থাৎ ফোন খোলার সাথে সাথে যেটি সর্বপ্রথম আমাদের চোখে লাগে তার নাম হল বুট লগো। এই বুট লগো আসার ২-৩ সেকেন্ড পড়েই আপনার বুট এনিমেশন চালু হয়ে যায়, পুরাতন সেমসাং ফোনে দেখা যেত এনিমেশন টি সেমগসাং লেখায় এবং এটি কিছুটা গ্লো করত, একেক ডিভাইসে ভিন্য ভিন্য এনিমেশন দেখা যায়, বিশেষ করে কাস্টম রমের এনিমেশন গুলো অনেক জোশ হয়ে থাকে। নিচের একটি সেম্পল দেখলে বুজতে পারবেন কীসের কথা বলছি!

এটি ফোনে তৈরি করা যাবে?

আমি আগে ভাবতাম এইসব জিনিস তৈরি করতে হয়ত পিসি লাগে অনেক কোডিং ইত্যাদি ইত্যাদি জানা লাগে। এই ভয়ে আমি মানুষের তৈরি করা এনিমেশন কালেক্ট করে ইন্টল দিতাম, কিন্তু একদিন ডিসাইড করলাম নিজেই আমার বুট এনিমেশন তৈরি করব এবং যা ভাবার সে কাজ। তৈরি করতে গিয়ে জানতে পারলাম এর মত সহজ কাজ আর কিছু নেই। যদিও যেসকল টিউটরিয়াল আমি দেখেছি সবগুলোই পিসিতে করা। কিন্তু আমি পিসিতে কমফোর্টেবল না তাই আমি খুজতে থাকলাম কীভাবে Android দিয়ে করতে পারি। অনেক ঘাটাঘাটি করে একটি উপায় বের করেছি এবং কাজ করে দেখি এনিমেশন ইন্সটল হচ্ছে না, ৫-৬ বার ফেইল হয়ে যাওয়ার পর বুজতে পারলাম আমার সমস্যা কোথায় এবং কীভাবে ফিক্স করতে হবে। আপনাদের আমি স্টেপ বাই স্টেপ সব দেখাব এবং কীভাবে কি করতে হবে সবকিছুই জানবেন এই কারণে পোস্টটি অনেক বড় হতে চলেছে তাই আপনাদের ধৈর্য কামনা করছি।

কী কী লাগবে?

প্রথমেই বলে রাখি এনিমেশন হল একটি ভিডিও মাত্র। আপনি যদি ১ সেকেন্ডের একটি ভিডিউ নেন এবং তা এক্সট্রেক্ট করেন তবে তার ভেতরে পাবেন (২৪/৩০/৬০) এইরকম ছবি। অর্থাৎ যত ফ্রেমে তা রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি সেকেন্ডে অতগোলোই ছবি তুলা হয়৷ আমরা যখন ভিডিওটি চালু করি তখন ছবিগুলো সিরিয়াল অনুযায়ি স্ক্রিনে ভাসতে থাকে ১,২,৩ এইভাবে এবং প্রতি সেকেন্ডেই (২৪/৩০/৬০) এতগুলো ছবি দেখানো হয়ে যায় আমাদের। এটি হল ভিডিওর মেকানিজম কীভাবে কাজ করে ইত্যাদি ইত্যাদি। যতসব কার্টুন এনিমেশন আছে সব এইভাবেই তৈরি করা হয়। এখন আমাদের বুটএনিমেশন তৈরির জন্য কি লাগবে? ছবি না ভিডিও? আসলে দুটোই লাগবে। এই পোস্টে আর বিস্তারিত তেমন আলোচনা করব না, কেন কি হয়েছে সে সব নিয়ে একটি আলাদা পোস্ট করব এখন সোজা শর্টকাটে স্টেপ বাই স্টেপ দেখাব। Android ফোনে এনিমেশন এর জন্য বেস্ট হচ্ছে Kinemaster এবং আপনি যদি টেক্সট আকারে কিছু বানাতে চান তবে দরকার পড়বে Pixle Lab, Picsart ইত্যাদি। ভিডিও কে ছবিতে এক্সট্রেক্ট করতে হবে এবং আপনার লাগবে একটি Zipper-Unzipper সবকিছুর লিংক আমি দিয়ে দিয়েছি একদম শুরুতেই এবার চলুন শুরু করা যাক।

কার্যপদ্ধতি

আপনার নিজস্ব মডিউল তৈরি করা শেষ এবার মেজীস্ক এর মাধ্যমে ফ্ল্যাশ করুন আর মজা নিন, এটি অনেক মজার একটি কাজ। একবার সফল হলে সারাদিন এটি নিয়েই লেগে থাকবেন। কিছু জিনিস খেয়াল রাখবেন যেমন ফাইলকে কমপ্রেস অর্থাৎ zip করার সময় RAR এই অ্যাপটি ইউস করবেন। টেক্সট ফাইল ঠিকভাবে ইডিট করবেন। ভিডিও থেকে PNG তৈরি করার সময় ছবিগুলোর সিরিয়ল থাকে মত আশা করি শুরু থেকে A-Z ফলো করলে কোনো সমস্যা হবে না, সমস্যা হলে আমাকে টেলিগ্রামে পাবেন।

আমার কিছু এনিমেশন



SUPPORT AND HELP ME

আপনারা অনেকেই ফেসবুক ব্যববার করেন। আমি একটি Photography Contest এর মধ্যে অংশগ্রহণ করেছি এবং তা জেতার শর্ত হিসেবে আমার পোস্টে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার এর পরিমাণ সর্বোচ্ছ থাকতে হবে। ট্রিকবিডিতে অনেকদিন ধরে আছি আপনাদের থেকে এতটুকু আশা করতেই পারি। যেহেতু ২০০ তম পোস্টে রুট রিলেটেড মজাদার কিছু আনার প্লেনিং করছি তাই আপনাদের থেকে এতটুকু আশা করতেই পারি?।
আমার ছবিতে একটি লাইক এবং কমেন্ট করবেন দয়া করে, তবে সবচেয়ে বেশি উপকার হবে যদি আপনি শেয়ার করে দেন পোস্টটি, কারণ শেয়ারের মাদ্ধমে একাধিক লাইক আসে আপনার পক্ষ থেকে। যদি সম্ভব হয় শেয়ার করবেন। যদি আপনি গ্রুপে জয়েন থাকেন তবে সেখান থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে পারেন অথবা আপনি যদি গ্রুপে জয়েন না হতে চান তবে আমার প্রফাইলে সেই ছবির শেয়ার করা লিংক দেয়া আছে যা নিচে দেয়া আছে ওখান থেকেও লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে পারেন।
আমার ছবির লিংক ফেইসবুকে
আমার ছবির লিংক আমার প্রফাইল থেকে