Site icon Trickbd.com

এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার ও ব্যাঠারীর চার্জ বেশিক্ষন ধরে রাখার জন্য কিছু টিপস

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?? আশা করি ভালই আছেন। আপনারা ভাল থাকলে অবশ্যই আমিও ভাল থাকব। আজকে আমার টিউনটি হল অ্যান্ড্রয়েড ফোনর ব্যাঠারী সম্পর্কে বিস্তারিত চলুন শুরু করি।

 

আজকাল এন্ড্রয়েড ফোনগুলো বেশ জনপ্রিয়। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সব দিক থেকে হ্যান্ডসেটগুলো দিন দিন আরও উন্নত হয়ে উঠছে। কিন্তু এর ব্যাটারি ব্যাকআপ সমস্যা যেন কোন ভাবেই এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আমার আজকের আয়োজন এমন কিছু কৌশল নিয়ে যা আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারিকে কিছুটা হলেও দীর্ঘস্থায়ী করবে। চলুন শুরু করি।

 

→ ডার্ক কালার ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যাবহার করুন। আপনার ফোন যদি এমোলেড স্ক্রিন বিশিষ্ট হয় তবে এ পদ্ধতিটি কাজে দিবে কেননা এমোলেড স্ক্রিন শুধু রঙিন পিক্সেলগুলোকে আলোকিত করে।

 

→ অ্যাপ গুলোকেও সম্ভব হলে কালো করে রাখুন। (ইউজার ইন্টারফেস/স্কিন/থিম সেটিংস এর মাধ্যমে)

 

→ অটো ব্রাইটনেস থেকে দূরে থাকুন। যখন দরকার শুধুমাত্র তখন ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করুন।

 

→ ভাইব্রেশন বন্ধ করে রাখুন। তবে চলতি পথে ভাইব্রেশন বন্ধ করার আগে দুবার ভাবুন, কেননা ভাইব্রেশন বন্ধ করলে আপনি হয়ত কল/মেসেজের নোটিফিকেশন টের পাবেন না।

 

→ অরিজিনাল ব্যাটারি ব্যাবহার করুন। ডিসপ্লে লাইটের টাইমআউট কমিয়ে রাখুন। এতে প্রচুর চার্জ

খরচ হয়। একটি রিপোর্টে দেখা যায় একজন ব্যবহারকারী দৈনিক ১৫০ বার তার ফোন ডিসপ্লে অন

করেন।

 

→ প্রয়োজন না হলে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখুন। স্মার্ট ফিচার যেমন এয়ার জেশ্চার, স্মার্ট স্ক্রলিং বন্ধ করে রাখুন। শুধুমাত্র প্রয়োজন হলেই সেগুলো ব্যবহার করুন।

 

→ জিপিএস, এনএফসি, ওয়াই ফাই এবং ব্লুটুথ শুধু দরকার হলেই অন করুন।

 

→ যেসব উইজেড দরকার নেই বিশেষ করে যেগুলো নেটে কানেক্টেড হয়ে থাকে সেগুলো কম ব্যবহার করুন। আপডেটেড অ্যাপ ব্যবহার করুন কেননা, সাধারণত নতুন অ্যাপ অপটিমাইজ করা থাকে যাতে

ব্যাটারি আরও কম খরচ হয়।

 

→ ফোনে ব্যাটারি সেভিং মুড ব্যবহার করুন। যদি সারাদিনে একবার ইমেইল চেক করেন তাহলে সব সময়ের জন্য ইমেইল ওপেন করে রাখার কোনো দরকার নেই।

 

→ গুগল প্লে স্টোর সেটিং পরিবর্তন করে ম্যানুয়াল আপডেট করে রাখুন। “ওকে গুগল” ভয়েস সার্চ অপশনটি খুব সুন্দর কিন্তু এটিও অনেক চার্জ নষ্ট করে।

 

→ ফোনে অ্যানিমেশন বন্ধ রাখুন। ফোনে লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন।

 

এতোগুলো টিপস পড়ার পর আপনার হয়ত মনে হতে পারে এতো কিছু বন্ধ করে রাখলে স্মার্ট ফোন চালানোর দরকার কী?

 

হ্যাঁ এই প্রশ্ন শুধু আপনার নয় বরং সব বড় বড় ফোন নির্মাতারাও এর সমাধান খুঁজছে যাতে করে ফোনের

ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যায় আর এর জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। হয়ত ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে যে আর ব্যাটারির এ ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ে

চিন্তা করতে হবে না।

 

আজ এ পর্যন্তই। টিউনটি ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন।