স্মার্টফোনগুলো চলে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে অ্যানড্রয়েড। এই মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করেছে গুগল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের যত ভার্সন বের হয়েছে, তার সবকটির নামই রাখা হয়েছে কোনো না কোনো মিষ্টিজাতীয় খাবারের নামে।
মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের নাম কেন খাবারের নামে রাখা হয়? এই কৌতূহল কখনো হয়েছে আপনার? যদি হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে হতাশ হতে হবে। কারণ, গুগলের কর্মকর্তারা বলছেন, এটা তাঁরা মজা করে করেন। আর করতে করতে এটাই এখন নিয়ম হয়ে গেছে।
তবে অ্যানড্রয়েডের প্রথম ভার্সন দুটির নাম কিন্তু মিষ্টিজাতীয় ফলের নামে ছিল না। এটি শুরু করা হয় তৃতীয় ভার্সন থেকে।
গুগলের সাবেক মুখপাত্র রানডাল সারাফা প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যানড্রয়েড কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘এটা আসলে ডেভেলপার টিমগুলোর একেবারেই নিজেদের ভেতরের ব্যাপার। বেশির ভাগ সময়ই এটা মজা করে করা হয়েছে। তবে অ্যানড্রয়েড ভার্সনগুলোর নাম বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবারের নামে রাখা হলেও একে সাজানো হয় অক্ষরের ক্রমানুসারে। তবে অ্যানড্রয়েড ২.০ ও ২.১ দুটি ভার্সনেরই নাম রাখা হয়েছিল এক্লেয়ার। আর প্রথম দুটি ভার্সনের নাম মিষ্টিজাতীয় খাবারের নামে রাখা না হলেও A ও B-এর ক্রমানুসারটা ঠিক রাখা হয়েছিল।’
এখন পর্যন্ত অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের যেসব ভার্সন বের হয়েছে, তার নামগুলো দেখে নিতে পারেন। অনেক মিষ্টিজাতীয় খাবারের নাম জানা হয়ে যাবে তাতে।
১. আলফা (A)
২. বেটা (B)
৩. কাপকেক (C)
৫. এক্লেয়ার (E)
৬. ফ্রয়ো (F)
৭. জিঞ্জারব্রেড (G)
৮. হানিকম্ব (H)
৯. আইসক্রিম স্যান্ডউইচ (I)
১০. জেলি বিন (J)
১১. কিটক্যাট (K)
১২. ললিপপ (L)
১৩. মার্শম্যালো (M)
এতসব মিষ্টি খাবারের একটি করে ভাস্কর্য স্থান রাখা হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে গুগলের সদর দপ্তরে। গুগলের যেমন অ্যানড্রয়েড, তেমনি অ্যাপলের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের নাম আইওএস। অ্যাপলের ডেভেলপাররা আইওসের বিভিন্ন ভার্সনের কোড নেম দিয়েছেন বিড়ালজাতীয় প্রাণীর নামে, যেমন—চিতা, জাগুয়ার, প্যানথার, লায়ন ইত্যাদি।