শুরু হয়েছে বর্ষা মৌসুম। ফলে ছাতা ছাড়া যারা
বাইরে বেরোন তাদের কাছে বড় ধরনের ভোগান্তি হতে পারে, হঠাৎ বৃষ্টি। বিনা নোটিশে পথে ঘাটে যে কোনো সময় বৃষ্টি কাকভেজা করে দিতে পারে পকেটে থাকা প্রিয় মোবাইলটিকে। 😀★
মোবাইল
পানিতে ভিজলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। ফলে মোবাইল পানিতে ভিজে যাওয়ার টেনশনে থাকেন ব্যবহারকারীরা। কীভাবে প্রিয় মোবাইলটিকে পানি থেকে রক্ষা করা যায়, সে ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকতে হয়।★ এ কারণে অনেকেরই এখন প্রত্যাশা, ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট (পানি প্রতিরোধক) সুবিধার স্মার্টফোন। সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আসা স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস৭ স্মার্টফোনটি ছাড়াও এইচটিসি, সনি এবং মটোরোলার কিছু স্মার্টফোনে ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ পানি ভিজলে নষ্ট হবে না স্মার্টফোন। পানির মধ্যেই ব্যবহার করা যাবে।
★ তবে বাজারের বেশিরভাগ স্মার্টফোন ওয়াটার রেজিট্যান্ট সুবিধার নয়। কিন্তু কেন? উদাহরণস্বরুপ শাওমির কথা বলা যেতে পারে। চীনের এই স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ‘চীনের অ্যাপল’ নামে পরিচিত। বিশ্বজুড়ে অ্যাপল যেমন জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, তেমনি চীনেও শাওমি অ্যাপলের মতো জনপ্রিয়।
★ চীন, ভারত সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের বাজারে বেশ ভালো অবস্থান দখল করেছে শাওমি। কিন্তু জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডটি এখন পর্যন্ত কোনো ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসেনি।
★ সম্প্রতি এর কারণ খোলাসা করেছেন শাওমির প্রতিষ্ঠাতা লেই জুন। তিনি বলেন, ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট স্মার্টফোন বাজারে আনার একাধিক সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, কোনো কারণে ফোনে যদি আঘাত লাগে, তাহলে ফোনের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ক্ষমতাও কমে যাবে। দ্বিতীয়, একটি স্মার্টফোনে ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট সুবিধা যুক্ত করতে গেলে স্মার্টফোনটির দাম প্রায় ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
★ শাওমির প্রতিষ্ঠাতার বক্তব্য থেকেই পরিস্কার, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে নানা উন্নত ফিচারের স্মার্টফোন প্রায়শই বাজারে নিয়ে আসলেও কেন স্মার্টফোন নির্মাতারা ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট ফোন বাজারে আনার বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
★ সাম্প্রতিক সময়ে সনি তাদের এক্সপেরিয়া এক্স সিরিজের স্মার্টফোন থেকে ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট সুবিধা প্রত্যাহার করেছে। 😀