একটা সময় ছিল যখন সেলফোন
ব্যবহারকারীরা কেবল ভয়েস কল এবং
মিনিট নিয়েই চিন্তা করতো কিন্তু এখন
ব্যাপারটা ভিন্ন কেননা এখন আর
মোবাইল ফোন কথোপকথনে সীমাবদ্ধ নয়।
এখন মানুষ মোবাইলে কথাবলার
পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্রাওজিং,
ফেসবুকিং, স্কাইপ চ্যাট ও অন্যান্য
ইন্টারনেটের ব্যবহার করে থাকে। ফলে
এখন শুধু ভয়েস মিনিট নিয়ে ভাবলেই হয়না
বরং ভাবতে হয় বিভিন্ন ডাটা প্ল্যান
নিয়েও।
আনলিমিটেড ডাটা প্ল্যান থাকা সত্তেও
দেখা যায় কয়েক গিগাবাইট বার্ন করার
পরে উচ্চগতির সংযোগ ফিরে ডায়াল-
আপের কাছাকাছি চলে আসে অথবা খুব
তাড়াতাড়ি লিমিটেড ডাটা প্ল্যান শেষ
হয়ে যায়।
কিভাবে ডাটা খরচ কমাবেন তার
কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হল:
১. ইউটিউব আপলোডঃ আপনার বন্ধুর মজার
পারছেন না? তবে আপনার নিজের
ঝুঁকিতে আপলোড করুন কেননা প্রতিটি
মিনিটে এইচডি ভিডিও ২০০ এমবির
চেয়েও বড় হতে পারে। আপনি যদি প্রতি
মাসে মাত্র পাঁচটি ১ মিনিটের ভিডিও
আপলোড করেন তবে তা আপনার ডাটা
প্ল্যানের সম্পূর্ণ এক গিগাবাইটই খরচ
করে ফেলতে পারে।
২. ভিডিও চ্যাটঃ যদি আপনি আপনার
মোবাইলে ইন্টারনেট খরচ কমাতে চান
তবে বন্ধ করুন স্কাইপিং এবং সেইসাথে
সমস্ত অন্যান্য ভিডিও কলিং। যদিও
খরচের হার আপনার মোবাইলে চ্যাটের
জন্য ব্যবহিত অ্যাপ্লিকেশন এবং
রেজোল্যুশনের উপর নির্ভর করে। যেমন
একটি জেটসন্স স্টাইল ফোনে প্রতি
মিনিট কলে ৩ মেগাবাইট পর্যন্ত খরচ হতে
পারে।
৩. অনলাইন গেমিংঃ অনলাইন গেম খেলা
কমানো উচিত। বেশকিছু অনলাইন গেম
যেমন এসফল্ট ৮ এবং মডার্ন কমবেট ৫
প্রতি মিনিটে ১ মেগাবাইট ডাটা খরচ
করে।
৪. মিউজিক স্ত্রিমিংঃ ট্রেন কিংবা
বাসে যাতায়াতের সময় প্যানডোরা
অনেকেরই ভালো লাগে তবে এটা আপনার
ডাটা প্ল্যানের কি করছে তা হয়তো
আপনি জানেন না। ৩২০ কেবিপিএস বিট
রেটের একটি সঙ্গীত সার্ভিস ২.৪ এমবি
ডাটা খরচ করে অর্থাৎ ঘণ্টায় খরচ করে
প্রায় ১১৫ মেগাবাইট ডাটা। এই ক্ষেত্রে
গান অনলাইনে শোনার চাইতে একবার
ডাউনলোড করে পরে শোনাই ভালো।
৫. ভিডিও স্ট্রিমিংঃ এক একটি এইচডি
ভিডিও ঘণ্টায় প্রায় ৩ জিবির মত ডাটা
ব্যবহার করে। তাই অনলাইনে ভিডিও
দেখার আগে দেখে নিন আপনার ফোনের
ইন্টারনেট ডাটা প্ল্যানের কি অবস্থা।