আমরা সবাই ই এখন এন্ড্রয়েড ফোন
ব্যবহার করি কিন্তু এই এন্ড্রয়েড ফোন
এর প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্যাটারি লাইফ । এই
কারনেই আমরা অনেকেই এন্ড্রয়েড
ফোনের সাথে নরমাল ফোন ব্যবহার
করি কিন্তু আজকে আপনাদের জন্য আমি
কিছু টিপস নিয়ে আসলাম যাহ ফলো করলে
আপনার ফোন এর ব্যাটারি লাইফ ৩০%
পর্যন্ত বাড়বে গ্যারান্টি দিলাম ।
এই টিপসগুলো ফলোও করার পর আমার
স্মার্টফোন এর ব্যাটারি লাইফ ৩-৪ ঘণ্টা
বেরে গেছে ।
১) নতুন মোবাইল কিনে কম পক্ষে ৮-১০
ঘন্টা চার্জ দিন।
২) খুব বেশী দরকার না হলে ভাইব্রেশন
ব্যবহার করবেন না। ভাইব্রেশনের কারণে
দ্রুত চার্জ ফুরায়।: (
৩)মাসে একবার ব্যাটারীর সম্পূর্ণ চার্জ
শেষ হয়ে গেলে চার্জ দিন।
৪) চার্য দেওয়ার সময় Airplane mode চালু
করে রাখুন।তাড়াতাড়ি চার্য হবে
৫) মোবাইলের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন।
বেশী আলো আপনার চোখের
সমস্যও করতে পারে!
৬) আমি মাসে একবার factory data reset দিই।
আবার নতুন ভাবে সাজাই। এতে ভাইরাস বা
ম্যালওয়ার দূর হয়ে যায় এবং মোবাইল ব্যাটারি
দুটোই সুস্থ থাকে। আপনারা যারা অতিরিক্ত
স্মার্টফোন ইউজার তারা প্রতি সাপ্তাহে
একবার রিসেট দিতে পারেন।
৭) সব সময় সেটের অরিজিনাল চার্জার
ব্যবহার করুন।
৮) যাদের গেমস খেলা বা মুভি দেখার সময়
Airplane mode চালু করে গেম খেলুন বা
মুভি দেখুন।
৯) অকারণে ব্লু-টুথ,ইন্টারনেট,ওয়াইফাই অন
করে রাখবেন না।
১০) নেটওয়ার্ক সিগন্যাল বারবার সার্চ
করলেও বেশি ব্যাটারি ক্ষয়। সুতরাং এটি
থেকে বিরত থাকুন।
১১) ঠাণ্ডা স্থানে মোবাইল ফোন রাখুন।
অর্থাৎ স্বাভাবিক তাপমাত্রায়। বেশি গরম
স্থানে মোবাইল ফোন রাখবে না। আমি
একটা আইপিএস-এর ওপর ব্যাটারি
রেখেছিলাম। পরে আমার ফোনের ১৩টা
বাজছে।
১২) চার্জ থেকে খুলার জন্য আগে
সকেট থেকে চার্জার খুলবেন তারপর
মোবাইলের কেব্ল খুলবেন ।
১৩) চার্জের সময় মোবাইল অফ রাখা ভাল
( বিশেষ করে নতুন মোবাইলের জন্য )
।
১৪) ব্যাটারির আয়ু ১৫-৩০% থাকলে চার্জ
দিবেন এর আগেও না পরেও না ।
১৫) লম্বা সময় ধরে চার্জার লাগিয়ে
রাখবেন না । আমারা অনেকেই রাতে
ঘুমানোর সময় চার্জে দিয়ে ঘুমাই, এতে
করে ফুল চার্জ হওয়ার পরও অনেক্ষন
চার্জার কানেক্ট থাকে । এ অভ্যাস ত্যাগ
করুন, না হলে ব্যাটারীর ক্ষতি হবে ।
১৬) WiFi, Location Services, Bluetooth,
কানেকশন মোবাইল নেট কানেকশন
থেকে বেশী ব্যাটারি ব্যবহার হয় যদিও
WiFi, Location Services, Bluetooth,
কানেকশন অনেক যায়গায় সহজে ও বিনা
পয়সায় ব্যবহার করা যায়। তাই নেহাত
প্রয়োজন না হলে WiFi, Location
Services, Bluetooth, কানেকশন বন্ধ করে
রাখুন তাতে আপনার ব্যটারির লাইভ সেইভ
হবে।
১৭) Wall paper যদি animated বা motion
ওরিয়েন্টেড হয় তাহলে তা ডিজেবল
করে রাখুন।
১৮) বিভিন্ন ব্যাটারি সাপোর্টেড ইউটিলিটি
সফটওয়্যার ফ্রি পাওয়া যায় তা ব্যবহার করতে
পারেন।
১৯) ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক
রিপোর্টে জানা যায়, বিশেষজ্ঞদের
মতে, স্মার্টফোনের ব্যাটারি ১০০%
পর্যন্ত চার্জ করা ঠিক নয়! বরং এর চার্জ সব
সময় ৪০-৫০% এর উপরে রাখার পরামর্শ
দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আপনার
ফোনের ব্যাটারির চার্জ সবসময় ৪০-৮০
শতাংশের মধ্যে রাখলে সেটাই তার
পারফর্মেন্সের জন্য সর্বোত্তম হবে।
এমনকি ওয়্যারলেস চার্জিং এড়িয়ে চলার
পরামর্শও দেয়া আছে এতে।
২০)লাইভ ওয়ালপেপার বা ভিবিন্ন
অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার ইনস্টল
থেকে বিরত থাকুন।মনে রাখবেন যত কম
সফটওয়ার ইনস্টল থাকবে মোবাইল তত
বেশী দ্রুততর হবে এবং ব্যাটারি কম খরছ
হবে।
সর্বশেষ একটাই সমাধান সেটা হল পাওয়ার
ব্যাংক!