১. ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে ফেলুনঃ এটা
হয়তো অনেকেই জানেন এবং প্রয়োগ করে
থাকেন। যাঁরা এখনো এই কাজটা করেন না, তাঁরা
ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য বা ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা শুরু
করুন। এ পদ্ধতি ল্যাপটপ, ট্যাবের ক্ষেত্রেও
প্রযোজ্য।
২. কালো ওয়ালপেপার ব্যবহার করুনঃ
অ্যামোলেড স্ক্রিনের ফোনে কালো বা এ
ধরনের রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করলে চার্জ
কম খরচ হয়। কারণ, অ্যামোলেড স্ক্রিনের
আলো খরচ হয় বিভিন্ন রঙের পেছনে। তাই যত
রঙিন ওয়ালপেপার দেওয়া হবে, আলোর খরচ
বাড়বে, সে সঙ্গে চার্জও খরচ হবে।
৩. লো-পাওয়ার মোডঃ আপনার ফোনে যদি
অ্যানড্রয়েড ৫ দশমিক শূন্য বা এর পরের
ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম থাকে, তাহলে
আপনার কপাল ভালো। কারণ, ফোনের চার্জ ১৫
শতাংশের কম হলেই এসব অপারেটিং সিস্টেমে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে লো-পাওয়ার মোড চালু হয়ে যায়।
ভার্সনে রয়েছে ‘ডোজ’ নামে একটি নতুন
ফিচার। স্মার্টফোনের চার্জ কমে গেলে এই
ফিচার ফোনটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাইবারনেশন
মোডে নিয়ে যায় আর অনেকক্ষণ ধরে
অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা অ্যাপগুলো বন্ধ করে
দেয়।
৪. লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করুনঃ
স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচানোর আরেকটি
ভালো বুদ্ধি হচ্ছে লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন
চালু করে রাখা। এতে বারবার আপনাকে লক খুলে
নোটিফিকিশেন দেখতে হবে না। ফলে চার্জ
কম খরচ হবে।
৫. ব্যবহারের পর অ্যাপস বন্ধ করুনঃ ঠিকমতো বন্ধ
না করার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপস চালু
থাকে, যেটা অনেকে খেয়াল করেন না।
বিশেষ করে জিপিএস ও ওয়াই- ফাইয়ের
ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটা বেশি ঘটে। আর এ দুটি
অ্যাপস চালু থাকলে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায়। তাই কাজ
শেষ হওয়ার পর অ্যাপস বন্ধ করুন।
৬. অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেটঃ অ্যাপস
ডাউনলোড ও আপডেটের ক্ষেত্রে ওয়াই-
ফাই সংযোগ ব্যবহার করুন। মোবাইলের ডাটা
সময়ও যাবে বেশি। সে ক্ষেত্রে দ্রুতগতির
ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি
অ্যাপসগুলো ডাউনলোড ও আপডেট হয়ে
যাবে। মোবাইলের চার্জও কম খরচ হবে।
৭. এয়ারপ্লেন মোড চালু করুনঃ স্মার্টফোনটি
এয়ারপ্লেন মোডে থাকলে সব ধরনের
ওয়ারলেস ফিচার বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফোনের
চার্জ কম খরচ হয়।
৮. আসল ব্যাটারি ব্যবহার করুনঃ স্মার্টফোনের
ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে আসল ব্যাটারি ব্যবহারের
চেষ্টা করুন। এতে আপনার ফোন ভালো
থাকবে এবং চার্জও থাকবে অনেকক্ষণ।