স্মার্টফোন মানেই নানা আকর্ষণীয় ফিচারের সমারোহ। পাশাপাশি লোভনীয় সব অ্যাপ-এর দুনিয়া। কিন্তু স্মার্টফোন নিয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে, চার্জ ফুরিয়ে যায় দ্রুত। অবশ্য নানা ধরনের অ্যাপ আর ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্যই স্মার্টফোনের চার্জ শেষ হয় দ্রুত।
* চার্জের সময় ফোনে কথা: ফোন চার্জে বসিয়েও অনেকের কথা বলার অভ্যাস থাকে। এতে ফোনের চার্জ ভালোভাবে হয় না। আর ফোন চার্জে থাকাকালীন কথা বলাটা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো নয়। তাই সেই সময় কথা না বলাই ভালো। ফোনের সুইচ অফ করে চার্জ দিলে সবচেয়ে ভালো।
* চার্জের সময় অ্যাপ চালু রাখা: চার্জে দেওয়ার আগে দেখে নিন, সব অ্যাপ বন্ধ রয়েছে কি না। অনেকসময় ফোন লক থাকলেও, অ্যাপ রানিং থাকতে দেখা যায়। এতে ফোনের চার্জ কমে যায়। আবার চার্জ দিলেও ভালোভাবে চার্জ হয় না ফোনে। বা পুরোপুরি চার্জ হতে অনেক সময় লাগে। তাই চার্জে বসানোর আগে ফোন অন থাকলেও ফেসবুক, টুইটারের মতো অ্যাপ লগআউট করেছেন কি না দেখে নিন।
* চার্জের সময় কানেক্টিভিটি চালু রাখা: ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস, ডাটা কানেকশন ইত্যাদি ফিচারগুলো অনেক সময়ই দেখা যায় কাজ শেষে অনেক সময়ই বন্ধ করা হয় না। এগুলো চালু থাকলে ফোনের চার্জে ব্যাঘাত ঘটে। অতএব ফোনের চার্জ ঠিক রাখতে হলে ব্যবহারের পর সময়মতো সমস্ত অপশন বন্ধ করে দিন।
* অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা: ফোন কিনলে তার সঙ্গে দেওয়া হয় চার্জারও। কিন্তু অনেকেই সেই চার্জারের পরিবর্তে বাজার চলতি অ্যাডাপটার ব্যবহার করেন ফোনে চার্জ দিতে। এতে ফোনের চার্জ খুব ধীর গতিতে হয়। তাই কোনো কারণে ফোনের চার্জার খারাপ হয়ে গেলে বা জরুরি প্রয়োজন থাকলে তবেই অ্যাডপটার ব্যবহার করুন। অন্যথায়, এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ নিয়মিত অ্যাডাপটার ব্যবহার করলে ফোন ও ফোনের ব্যাটারির আয়ু কমে আসে।
* ব্যাটারিতে সমস্যা: ব্যাটারি খারাপ হলে ফোনে বেশিক্ষণ চার্জ থাকার কথা নয়। তাই ফোনের ব্যাটারি পুরোনো হয়ে গেছে কি না খেয়াল রাখুন সেদিকেও। আবার অনেক সময় নতুন ব্যাটারি কিনলে সেটিতেও কোনো ডিফেক্ট থাকতে পারে। তাই চার্জ বেশিক্ষণ না থাকলে বা চার্জ না হলে দেখে নিন ব্যাটারির কন্ডিশনও।
* ইউএসবি পোর্টে সমস্যা: সবকিছু ঠিক থাকার পরেও চার্জ না হলে জানবেন আপনার ফোনের ইউএসবি পোর্টে কোনো সমস্যা আছে। হয়তো সেটি খারাপ হয়ে গেছে। তাই ফোন ঠিকমতো চার্জ নিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে মোবাইল হার্ডওয়্যার প্রফেশনালকে দেখিয়ে নিতে পারেন আপনার ফোনটি। অথবা যেতে পারেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছাকাছি কোনো সার্ভিস সেন্টারে। প্রথমে সার্ভিসিং সেন্টারে যাওয়াই ভালো।