Site icon Trickbd.com

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ফাস্ট করার কিছু কার্যকারী উপায়।

আসসালামু আলাইকুম।

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি খুব ভাল আছেন এবং আগামি তে যেন সব সময় ভালো থাকেন এই কামনা রইলো।

কেনার কিছুদিন পর অ্যান্ড্রয়েড চালিত যেকোনো ডিভাইস একটু স্লো হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এরপরও ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটির হারিয়ে যাওয়া গতি কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনতে পারেন। আর তাই গত পর্বের ধারাবাহিকতায় এবার থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসকে ফাস্ট করার বাকি টি উপায়।

ক্যাশ পার্টিশন ডিলিট করে ফেলুন

এই ক্যাশ আর অ্যাপলিকেশনের ক্যাশের মধ্যে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। এই ক্যাশ আপনার ফোনের যাবতীয় সব টেম্পোরারি ফাইলগুলো মজুদ করে রাখে যেগুলো অনেকাংশেই পরে আর প্রয়োজন হয় না। এ কারণেই এ পার্টিশনটি ক্লিয়ার করলে আপনার অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্ট ডিভাইসটি কিছুটা হলেও আগের থেকে দ্রুত কাজ করবে। আর এই ক্যাশ পার্টিশন ডিলিট করার জন্যে আপনাকে রিকভারি মোড বুট করতে হবে। যদি আপনি না জানেন কিভাবে রিকভারি মোডে বুট করতে হয় তাহলে গুগল করার এখনই আপনার উপযুক্ত সময়। একবার রিকভারি মোডে বুট হয়ে গেলে, ভলিউম কি উপরে নিচে চেপে অপশনগুলো থেকে wipe cache partition অপশনটি বেছে নিয়ে ডিলিট করে দিন আপনার অব্যবহৃত ক্যাশ পার্টিশনটিকে।

থার্ড পার্টি কোন লঞ্চার ব্যবহার করে দেখুন

কিছু কিছু ব্র্যান্ড তাদের ডিভাইসগুলোকে এমনভাবে তৈরি করে যা কিনা আপনার ডিভাইসের র‍্যামের বেশ কিছু অংশ দখল করে রাখে ফলশ্রুতিতে কিছুটা স্লো হয়ে যায় আপনার ডিভাইসটি। এমতাবস্থায় আপনি যদি চান তাহলে আপনার ডিভাইসের ‘লুক & ফিল’ পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপ লঞ্চার আছে যাদের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে আগের থেকে কিছুটা দ্রুত নেভিগেট করতে পারবেন। এদের মধ্যে Nova Launcher, Go Launcher EX, Apex Launcher বেশ দ্রুত কাজ করে।

ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়ে দেখুন

অনেক দিন ব্যবহারের পরে ডিভাইসটিকে মাঝে মাঝে রিসেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কারণ হচ্ছে অনেক সময় যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়ার পরও ডিভাইসে অনেক ম্যালওয়্যার অথবা জাঙ্ক ফাইল থেকে যায়। আর তাই ফ্যাক্টরি রিসেট দিলে অনেকাংশেই সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফ্যাক্টরি রিসেট দেয়ার জন্যে আপনাকে Settings > Backup & reset > Factory data reset এ প্রেস করতে হবে।

ওভার-ক্লক করে ফেলুন

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক ম্যানুফ্যাকচারার তাদের ডিভাইসে ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধির জন্যে প্রসেসরের স্পীড লিমিট করে রাখে। যে কারণে প্রসেসর ফুল স্পীডে কাজ করতে পারে না। এখন ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার ডিভাইসকে ওভার-ক্লক করে নিতে পারেন তবে অবশ্যই আপনার ডিভাইসটির রুট এক্সেস থাকতে হবে। ডিভাইসটি যদি রুট করা থাকে তাহলে খুব সহজেই SetCPU অথবা Android Overclock অ্যাপ ব্যবহার করে ওভার ক্লক করে নিতে পারেন। আর কাজটা অবশ্যই খুব সতর্কতার সাথে করা জরুরি।

অন্য কোন কাস্টম রম ব্যবহার করে দেখুন

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের পারফর্মেন্স বাড়ানোর অন্যতম একটি (অ্যাডভান্স) উপায় হল ডিভাইসের স্টক রম পালটে ফেলা। এক্ষেত্রে শুধু রুট করলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডিভাইসের গতি বেড়ে যাবে না কিন্তু রম পরিবর্তন করলে ডিভাইসটি ফাস্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার ডিভাইসের জন্যে উপযুক্ত ভাল কোন কাস্টম রম খুঁজে বের করুন। এ অবস্থায় আপনাকে একটু পড়াশোনা করে নিতে হতে পারে। অনেক ডিভাইসের ক্ষেত্রে তাদের স্টক রম গুলোর আপডেট বন্ধ হয়ে যায় আর এ কারণে ডিভাইসগুলোও আর নতুন আপডেট পায় না। মূলত একারণেই কাস্টম রমের দরকার পড়ে। আপনি যদি আপনার স্টক রম পরিবর্তন করতে চান তাহলে আমার পরামর্শ থাকবে প্রথমেই আপনি একটু ভালো করে রিসার্চ করে নিন।

আরো নতুন নতুন টিপস পেতে এখানে ভিসিট করুন।

সবাইকে ধন্যবাদ। সুস্থ্য থাকুন,ভালো থাকুন এবং সব সময় ট্রিকবিডি এর সাথেই থাকুন।