কথা এখন আর বাহুল্য নয়। নানা পরিসংখ্যানেও তার
সাক্ষ্য মেলে। বিশ্বে প্রতিদিন সহস্রাধিক মোবাইল
ব্যবহারকারী যুক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।
বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির বিক্রি করা সিমের
সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
মানতেই হবে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মোবাইল জরুরি।
তবে এর যেমন ভাল দিক আছে, তেমনি আছে ক্ষতিকর
দিক। তাই মোবাইল ব্যবহারেও আপনাকে সচেতন
থাকতে হবে। নইলে অনেক সময় পরিচিতমহলে আপনার
উপস্থিতি বিরক্তিকর হতে পারে।
কিছু ব্যবহারকারীকে দেখলে মনে হবে মোবাইল ছাড়া
তাদের জীবনটাই বৃথা। আজকাল বাসে বা ট্রেনে
উঠলে দেখা যায়, অনেকেই মোবাইলে অযথা কথা
বলছেন। তারা নিজের ব্যক্তিগত কথা জোরে জোরে
বলে বা গালাগালি করে অন্যের বিরক্তির কারণ হন।
থাকা যায় না। মুরগির ডাক থেকে শুরু করে শিশুর
কান্না, ইঙ্গিতপূর্ণ কথা— কী নেই সে সব রিংটোনে।
এমনকি মসজিদে নামাজের মাঝেও এমন অদ্ভুত অদ্ভুত
রিংটোন শোনা যায়।
এ ধরনের মানুষকে কেউ ভালে চোখে দেখে না। যদিও
নিয়ম রয়েছে ব্যাংক, সরকারি অফিস, কনসার্ট এবং
আরও কিছু জায়গায় মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।
কিন্তু এগুলো না মানা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
এতে শুধু অন্য মানুষই বিরক্ত হন না, পাশাপাশি অর্থের
অপচয়তো আছেই। আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
আজকাল মোবাইলের রেডিয়েশন বা তেজষ্ক্রিয়তার
কথা খুবই শোনা যায়। মোবাইল থেকে নির্গত
রেডিয়েশন মানুষের দেহের ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ
করে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিকর। উন্নত
দেশগুলোতে নিয়ম রয়েছে শিশুদের মোবাইল ফোনের
বিজ্ঞাপনে লক্ষ্য হিসেবে দেখানো যাবে না।
আমাদের দেশে শিশুদের মোবাইল কোম্পানির
বিজ্ঞাপনে হরহামেশা ব্যবহার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রায় দেখা যায়, গাড়ি চালকরা মোবাইলে
রয়েছে। আইন রয়েছে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল
ফোন ব্যবহার করা যাবে না। এ আইন না মানার কারণে
অনেক প্রাণহানি ঘটছে।
রবি সিমের ফ্রি নেট পেতে
এখানে ক্লিক করুন