যখন আপনি আপনার স্মার্টফোনে কম্পাস অ্যাপটি ব্যবহার করেন, এটি কোনো না কোনোভাবে বুঝে যায় আপনার ডিভাইস কোনদিকে মুখ করে আছে। কিংবা Google Sky ব্যবহার করার সময় অ্যাপটি আপনাকে বলে দেয় আপনি কোন নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে আপনার ডিভাইস তাক করে আছেন। এসবই সম্ভব হয় ছোট্ট একটি সেন্সরের জন্য, নাম তার Accelerometer. এর কাজ হল অক্ষ-ভিত্তিক গতি শনাক্ত করা।
শুধু উপরের কাজগুলোই নই, এই সেন্সর ভূমিকম্প অ শনাক্ত করতে পারে, এমনকি এরা বিভিন্ন মেডিক্যাল রিলেটেড যন্ত্রপাতিতেও (বায়োনিক লিম্ব অথবা অন্যান্য কৃত্রিম দেহাংশ) ব্যবহৃত হয়।
এই সেন্সর ব্যবহারের উদ্দেশ্যঃ
এই সেন্সর শিক্ষার কাজে যেমন ব্যবহৃত হতে পারে, ঠিক তেমনি হতে পারে নিত্যদিনের কাজেকর্মে। যেমন ধরুন, আপনার ডিভাইস হাত থেকে প্পড়ে গেল। এই সেন্সরের সাহায্যে ব্যপারটা বুঝতে পেরে আপনার ডিভাইস হার্ডড্রাইভ বন্ধ করে দিবে, ফলে সেটি ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে।
একইভাবে এই সেন্সর ব্যবহৃত হয় গাড়িতে, যা ধাক্কা শনাক্ত করে এয়ারব্যাগ ফুলিয়ে দেয়! আবার এই সেন্সর Gravitation Pull শনাক্ত করে, যা ক্যালকুলেট করে অ্যাপ বলে দিতে পারে আকাশের কোন দিকে ডিভাইসটি তাক করা।
এই সেন্সরের সাহায্যেই কাজ করে Screen rotation, অর্থাৎ আপনার স্মার্টফোন ল্যান্ডস্কেপ মোডে থাকবে নাকি পোরট্রেট সেটা।
যেভাবে কাজ করেঃ
এই সেন্সর মূলত সিম্পল একটি সার্কিটের মতই। কিন্তু দেখতে সরল হলেও এর অনেক গুলো অংশ থাকে, যাদের কাজও অনেক ব্যাপক। এদের মধ্যে দুটি হল Piezoelectric Effect এবং Capacitance Sensor. Piezoelectric Effect হল Accelerometer-এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রূপ।
এটি কাজ করে মাইক্রোস্কোপিক ক্রিস্টাল স্ট্রাকচার কাজে লাগিয়ে। ত্বরণের কারনে এই ক্রিস্টালগুল ভোল্টেজ সৃষ্টি করে এবং accelerometer এই ভোল্টেজ দ্বারা বেগ এবং অরিয়েন্টেশন শনাক্ত করে।
একটি আদর্শ accelerometer তিন অক্ষ বরাবরই কাজ করতে পারে। ফলে হরিজন্টাল ও ভার্টিকাল পজিশনিং ছাড়াও ত্রিমাত্রিক পজিশনিংও এর মাধ্যমে সম্ভবপর হয়ে ওঠে।