অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সকল থার্ড পার্টি অ্যাপ ডিসেবল রেখে ফোন চালানোর জন্য অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড অসাধারণ একটি টুল। অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড চালু থাকলে ফোনের সকল থার্ড পার্টি অ্যাপ ডিসেবল থাকে ফলে ফোন ব্যবহার করা যায় সম্পূর্ণ সিকিউর ভাবে।
অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড কেন ব্যবহার করা উচিত?
ধরুন আপনি আপনার ব্যাংকের ওয়েবসাইটে লগইন করতে চাচ্ছেন, এই অবস্থায় আপনি ইনসিকিউর ফিল করতেছেন। আপনি ভাবছেন আপনার ফোনের কোনো অ্যাপ হয়ত আপনার কার্যক্রম এর উপর নজরদারি করছে কিংবা কোনো অ্যাপ আপনার টাইপ করা ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড হ্যাকারকে সরবরাহ করছে। আপনি কোনো ভাবেই শিউর হতে পারছেন না আপনার ফোনের কার্যক্রম কোনো অ্যাপ নজরদারি করছে কি না। এরকম পরিস্থিতিতে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল সমাধান হলো অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড। অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড এনাবল করা থাকলে আপনার ফোনের সকল থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ডিসেবল থাকে। ফলে কোনো সফটওয়্যার আপনার অ্যাক্টিভিটির উপর নজরদারি করতে পারে না এবং আপনি ফোন চালাতে পারে সম্পূর্ণ নিরাপদে।
অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড কতটা দরকারি সেটা নিশ্চই আপনারা বুঝে গেছেন। এবার তাহলে দেখা যাক কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড এনাবল করতে হয়।
সেফ মোড এনাবল করার নিয়ম
অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড এনাবল করার জন্য জাস্ট নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন।
প্রথমে আপনার ফোনের পাওয়ার বাটন প্রেস করে ফোনের বুট প্যানেল না আসা পর্যন্ত প্রেস করে ধরে থাকুন। এবার বুট প্যানেল ওপেন হলে রিস্টার্ট অপশন এর উপর ট্যাপ করে ধরে থাকুন যতক্ষণ সেফ মোডে রিস্টার্ট করার পপ আপ উইন্ডো না আসে। এবার সেফ মোডে রিস্টার্ট করার পপ আপ উইন্ডো আসলে আপনার কাছে সেফ মোডে রিস্টার্ট করার পারমিশন চাইলে ok বাটনে ট্যাপ করুন তাহলে ফোন রিবুট হয়ে সেফ মোড স্টার্ট হবে।
সেফ মোড স্টার্ট হলে ফোনের নিচের দিকে বাম পাশে Safe Mode লেখা থাকবে। সেফ মোড এনাবল হলে এবার আপনি সম্পূর্ণ নিরাপদে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
সেফ মোড ডিসেবল করার নিয়ম
সেফ মোড ডিসেবল করার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। জাস্ট পাওয়ার বাটন লং প্রেস করে ফোন রিবুট কিংবা পাওয়ার অফ করে পুনরায় অন করুন। তাহলেই অ্যান্ড্রয়েড সেফ মোড ডিসেবল হয়ে যাবে।
আশা করছি আর্টিকেল টি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিল। আর্টিকেল টি ভালো লাগলে মন্তব্য করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।