আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।
আমি সোহাগ ! আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !
ফোনের ব্যবহার কে না করে ? আমাদের মধ্যে প্রায় সবাই ফোন ব্যবহার করে। ফোন আমাদের নিত্যদিনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো এমন অনেকে রয়েছে যারা ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস, কোড, ফিচার এর ব্যাপারে জানে না। কম লোক এগুলো জানে এবং এগুলোর ব্যবহার করে। যদি আপনি একজন Android ব্যবহারকারী হন ! তাহলে আমি আজকের পোস্টে যেসব জানাবো সেসব আপনার অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন।
সবার প্রথমে যে সেটিংস এর কথা বলবো তা আপনার অবশ্যই কাজে লাগবে।
★ Block Outgoing Calls
অনেক সময় আমরা চাই যে আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনে যেসব আউটগোয়িং কল, বা যে কাউকে কল করা। এটা বন্ধ হোক, ব্লক হোক যেন আমি ছাড়া অন্য কেউ ইচ্ছে করলেও আমার ফোন থেকে অন্য কাউকে কল করতে না পারে। শুধুমাত্র আমি যেন আমার প্রয়োজন অনুসারে কল করতে পারি। বাটন ফোন ব্যবহারকারীরাও এটা করতে পারবেন।
এটা এইজন্যে যে অনেকবার আমাদের ফ্রেন্ডস, ফ্যামিলি, রিলেটিভ আমাদের কাছে থেকে আমাদের ফোন কিছু সময়ের জন্যে নেয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই একটু চিন্তা হয় যে, আমাদের কোনো পরিচিত, অপরিচিত কাউকে কল করে উল্টাপাল্টা কিছু যেন না করে। আপনার কল লগ থেকে যেন কাউকে কল না করে। আপনার সাথে ফোন কল নিয়ে কোনো ক্ষতি না করে। এরকম পরিস্থিতিতে একটু চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক।
তো এরকম পরিস্থিতিতে যদি আপনি চান যে আপনার ফোন থেকে আউটগোয়িং কল ব্লক হয়ে যাক ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন পর্যন্ত আপনার কাউকে কল করার প্রয়োজন না হয়। তাহলে আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। যদি আপনি আউটগোয়িং কল ব্লক করতে চান তাহলে আপনার ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে *31# টাইপ করে যে সিমের আউটগোয়িং কল ব্লক করতে চান সেই সিম থেকে ডায়াল করুন, ইচ্ছে করলে ২ টা সিমেও এটা করতে পারবেন।
ডায়াল করার কিছুক্ষণ পরেই আপনার বাছাই করা সিমের আউটগোয়িং কল ব্লক হয়ে যাবে। এতে অন্য কেউ আর আপনার ফোন থেকে কাউকে কল করতে পারবে না। যে নাম্বারেই কল করুক না কেন।
যদি আপনি এই সার্ভিস বন্ধ করতে চান এবং পুনরায় কাউকে কল করতে চান তাহলে আবার ফোনের ডায়াল প্যাডে #31# টাইপ করে যে সিমে আউটগোয়িং কল ব্লক করেছেন সেই সিমে ডায়াল করুন।
তাহলেই আপনি আবার যে কাউকে কল করতে পারবেন।
তো এই ফিচার বেসিক্যালি যেটা করে তা হলো আপনার ফোনের Show My Caller ID অপশন Hide করে। যার কারণে আপনার ফোন থেকে কল যেতে পারে না।
এর পরে আসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার নাম SAR Value যেটার বিষয়ে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন।
★ SAR Value
SAR – Specific Absorption Rate মোবাইলে ব্যবহৃত রেডিয়েশন এর জন্য এটার ব্যবহার করা হয়। যদি আপনার ফোনে যে রেডিয়েশন রয়েছে এটা যদি একটু বেশিই, লিমিটের বেশি তাহলে এটা আপনার জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর, এটা ক্যান্সার সহ আরো অন্যান্য ক্ষতিকর দিকের কারণ হতে পারে।
যদি আপনার ফোনের সার ভ্যালু 1.6 W/km হয় তাহলে এটা নরমাল। খুব বেশি ক্ষতিকর না। কিন্তু যদি ১.৬ এর বেশি হয় তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য ক্ষতিকর !ফোনের সার ভ্যালু কত সেটা জানার জন্য আপনার ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে *#07# টাইপ করুন।
এখানে একটা বিষয় জানা প্রয়োজন এই কোড কিছু ফোনে কাজ নাও করতে পারে। যাদের ফোনে এই কোড কাজ করবে না তারা গুগলে আপনার ফোনের নাম এবং মডেল লিখে সার ভ্যালু চেক করে নিন। যেমন আমার Samsung ফোনে এই কোড কাজ করেনি তাই আমি গুগল থেকে সার ভ্যালু চেক করেছি।
কিছু দিন আগে লঞ্চ হওয়া স্মার্টফোনের SAR Value পরীক্ষা করতে গিয়ে জানা যায় Samsung Galaxy M10 এর SAR Value 0.238 W/kg ও Galaxy M20 এর SAR Value 0.273 W/kg পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত অন্যান্য ফোনের তুলনায় এই সার ভ্যালু যথেষ্ট কম। একই ভাবে ভারতের প্রথম 48 এমপি ক্যামেরাওয়ালা অনার ভিউ20 এর সার ভ্যালু 1.09 ওয়াট/কিলোগ্ৰাম, পোকো এফ1 এর সার ভ্যালু 0.719 ওয়াট/কিলোগ্ৰাম ও রিয়েলমি ইউ1 এর সার ভ্যালু 1.187 ওয়াট/কিলোগ্ৰাম দেখা গেছে। দেখাই যাচ্ছে সবচেয়ে কম সার ভ্যালু স্যামসাঙের। অর্থাৎ বলা যেতেই পারে স্যামসাঙের স্মার্টফোন তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে স্বাস্থ্যের জন্য সুরক্ষিত। এই কারণেই কোম্পানি প্রায়ই বেস্ট কোয়ালিটির কথা বলে এবং তাদের ফোন আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ড মেনে চলার বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কোম্পানি তাদের ফোনের দাম বেশি হওয়ার পেছনেও এই একই কারণ দেখায়।
এর পরের যে টিপস হলো যা খুবই ইউজফুল এবং বিশ্বাস করুন আপনার কাজে লাগবেই।
★ Test Mode
এটার মাধ্যমে চেক করতে পারবেন যে আপনার ফোনে কোনো সমস্যা আছে কিনা। আপনার ফোনের Display, Touch, Receiver, Vibration, Sensor, Loop Back, Sub Key ইত্যাদি ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, নষ্ট হয়েছে কিনা।
জেনে রাখা ভালো যে এই সেটিংস কিছু ফোনে কাজ নাও করতে পারে। তবুও একবার চেষ্টা করে দেখবেন। Samsung এর প্রায় সব ফোনেই সেটিং কাজ করবে।
এই সেটিং বিশেষ করে আপনার তখন কাজে লাগবে যখন আপনি কোনো সেকেন্ড হ্যান্ড, ইউজড ফোন কিনেছেন বা কিনতে চাচ্ছেন আর আপনি ঐ সময়ে তাড়াতাড়ি চেক করতে চান যে ফোনে কোনো সমস্যা আছে কিনা, প্রয়োজনীয় অ্যাক্টিভিটি ঠিকভাবে কাজ করে কিনা, ইত্যাদি।তো এসব জানার জন্য আপনার ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে *#0*# টাইপ করুন। তাহলেই Test Mode চলে আসবে।
তো এই ছিলো আজকের পোস্টের মূল বিষয়বস্তু। আশা করছি এই পোস্ট আপনার একটু হলেও কাজে লাগবে।
আরও পড়ুনঃ ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করার নিয়ম জেনে নিন — ২০২২
আরও পড়ুনঃ সুবর্ন নাগরিক কার্ড
এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ। ?
কোনো সমস্যা অথবা কোনো প্রয়োজন হলে আমার Facebook I’d