মোবাইল ফোন পুরাতন হতে থাকলে মোবাইল ফোনের গতি ও দিন দিন কমে যেতে থাকে। আমরা যখন নতুন মোবাইল ফোন কিনি তখন সেই মোবাইলের স্পিড অনেক ফাস্ট থাকে। আমরা সেই ফোন চালাতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু যখন মোবাইল ফোনের বয়স এক বছর বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন মোবাইল ফোন ধীর গতির হতে থাকে।
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো কি কি মাধ্যমে বা উপায়ে পুরনো মোবাইল ফোনের গতি বৃদ্ধি করা যায়। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি…
১. অব্যাহত অ্যাপ ডিলিট করুন: আমরা অনেক সময় মোবাইল ফোনে এমন কিছু অ্যাপস ইনস্টল করে রাখি যেগুলো কখনো আমাদের কাজে আসে না। এছাড়া কিছু মোবাইল কোম্পানি বিভিন্ন অ্যাপস কোম্পানির স্পন্সর হয়ে আমাদের মোবাইল গুলোতে এমন কিছু অ্যাপস ইনস্টল করে রাখে যেগুলো কখনোই আমাদের কাজে আসে না।
এই ধরনের অ্যাপস গুলো আনইন্সটল করে দিন। তবে কিছু কিছু অ্যাপস আপনি আনইন্সটল করতে পারবেন না, সেগুলো ডিজেবল করে রাখুন। এতে করে আপনার মেমোরি অনেকটাই খালি হবে।
২. ফোন রিস্টার্ট করুন: কম্পিউটারের মতো মোবাইল ফোনও রিস্টার্ট করলে ফোনের পারফরম্যান্স আগের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। মোবাইল ফোন রিস্টার্ট করলে আপনার ভিতরের লুকিয়ে থাকা অযথা প্রোগ্রামগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া মোবাইল ফোন রিস্টার্ট করলে সেই মোবাইলটি বুস্ট আপ হয়। এতে করে আপনার মোবাইল ফোনের স্পিড কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩. ফোন আপডেট করুন: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফোনের সফটওয়্যার আপডেট আসলে সেটা আপডেট করি না। ফোনের মধ্যে যদি সফটওয়্যার জনিত কোন সমস্যা থাকে, সেটা কোম্পানি সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে ফিক্সড করে দেয়। তাই যখন মোবাইলের সফটওয়্যার আপডেট আসবে সেটা করে নেবেন। তবে সফটওয়্যার আপডেট দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনি যে কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করছেন সেই কোম্পানির অফিসিয়াল গ্রুপে গিয়ে সে আপডেট সম্পর্কে আগে জেনে নেবেন। কারণ অনেক সময় সফটওয়্যার আপডেটের কারণে ফোনের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
৪. এসডি কার্ড বা ক্লাউড এর ব্যবহার: আপনার মোবাইলে যদি কোন বড় ফাইল রাখেন তাহলে মোবাইলের মেমোরি তাড়াতাড়ি ফুল হয়ে যাবে। এতে করে মোবাইলের স্পিড কিছুটা হ্রাস পাবে। তাই বড় ফাইলগুলো এসডি কার্ডে বা ক্লাউড স্টোরে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার মোবাইলের স্টোরেজের উপর চাপ কমবে। ক্লাউড স্টোরিজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্বস্ত কোম্পানির ক্লাউড স্টোরিজ ব্যবহার করবেন। তা না হলে আপনার ফাইল চুরি হতে পারে।
৫. লাইট অ্যাপ এর ব্যবহার: আপনার মোবাইলের রেম এবং স্তরের যদি কম হয় তাহলে লাইট অ্যাপস ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। লাইট অ্যাপস গুলো এমন ভাবে কোডিং করা হয় যাতে এই অ্যাপসগুলো কম স্টোরেজের মোবাইলগুলোতে সুন্দর ভাবে চলতে পারে। এছাড়া লাইট এপ্স গুলো ব্যবহার করলে আপনার স্টোরেজ সহজে ফুল হবে না। একটি করে আপনার ফোনের স্পিডও ঠিক থাকবে।
৬. ডিসপ্লে সেটিং ব্যবহার করুন: আমরা অনেকেই ডিসপ্লে সেটিং নিয়ে বেশি একটা মাথা ঘামাই না। একটি ফোনের পারফরম্যান্স ডিসপ্লে সেটিং এর উপরেও ডিপেন্ড করে। আপনার হোম স্ক্রিনে যদি বেশি উইজেড রাখেন তাহলে আপনার মোবাইলের পারফরম্যান্স দিনে দিনে ড্রপ করতে থাকবে। ফোনের পারফরম্যান্সের জন্য ডার্কমোড ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া মোবাইলে ব্রাইটনেস সব সময় কম দিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। মোবাইলে ব্রাইটনেস সব সময় বেশি থাকলে মোবাইলে পারফরম্যান্স দিনে দিনে কমতে থাকে।
৭. ফ্যাক্টরি রিসেট করুন: আপনার ফোনের মধ্যে যদি উপরের সবগুলো অপশন কাজে লাগানোর পরেও পারফরম্যান্স না বাড়ে, তাহলে ফ্যাক্টরি রিসেট করে দেখতে পারেন। ফ্যাক্টরি ডিসেট করলে আপনার মোবাইলের সকল ডাটা ডিলিট হয়ে যাবে। এছাড়া ফোনের মধ্যে অযথা প্রোগ্রাম এবং এপ্স গুলোও ডিলিট হয়ে যাবে। যার ফলে আপনার ফোনের পারফরম্যান্স নতুনের মত কাজ করবে।
আশা করি বন্ধুরা আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা পুরনো ফোন কিভাবে ফাস্ট করা যায় সেটা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যেকোন প্রয়োজনে আমার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।
এছাড়া আমার ফেসবুক পেজটি ফলো করে রাখতে পারেন। সেখানে আমি বিভিন্ন টেকনোলজি রিলেটেড নিউজ এবং পোস্ট শেয়ার করে থাকি।