আসসালামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।
বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো তথ্য। বড় বড় হ্যাকাররা এই তথ্য তাদের নাগালে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হ্যাক করার চেস্টা করে থাকে। স্মাটফোন হ্যাক করে,আমাদের ফোনে থাকা আমাদের পার্সোনাল মেইল,ফটো,ও দরকারী তথ্য তারা হ্যাক করে নিয়ে নিচ্ছে। আমাদের একটু সতর্ক হলে হ্যাকাররা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করে নিতে পারে না।আমরা আমাদের এই স্মার্টফোনে আমাদের যানতীয় তথ্য রেখে থাকি। এসব সকল ইনফরমেশন হ্যাকের জন্য প্রথম আমাদের স্মার্টফোনটি আগে হ্যাক করার চেস্টা করে হ্যাকার। তারপর আমাদের সকল প্রয়োজনীয় তথ্য হ্যাক করে হ্যাকার। এমন কি ব্যাংক একাউন্ট সহ আমাদের ফেসবুক একাউন্ট ও হ্যাক করে নিয়ে নেয় হ্যাকাররা। কথা না বাংলা শুরু করা যাক।
স্মার্টফোনকে যেভাবে হ্যাকিং এর হাত থেকে রক্ষা করা যায়ঃ-
১) আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন এর ব্যাটারি ব্যাকআপ একদম কমে গেছে? এর মানে কি শুধু আপনার ফোনের ব্যাটারি নস্ট হওয়া বুঝায়?
না! আসলে ব্যাটারি নস্ট হলেই, ব্যাটারির ব্যাকআপ কমে যায় না। খেয়াল রাখতে হবে, কেউ আবার আপনার ফোন নিয়ে অন্য কোনো এপ্স ব্যাকগ্রাউন্ড এ রান করে, তথ্য পেয়ে যাচ্ছে অপর প্রান্ত থেকে।এজন্য আমাদের সকলের সচেতন থাকা উচিৎ। স্মার্টফোন এর ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে গেলে, ভালভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে,ফোনটি হ্যাকার এর কবলে নাকি ব্যাটারি নস্ট হয়ে গেছে। যদি বুঝেন হ্যাকার এর কবলে সাথে সাথে ফোনটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাকআপ রেখে৷ রিস্টার্ট দিতে হবে স্মার্টফোন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজের অজান্তে হ্যাকাররা তাদের কবলে নিয়ে যাবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে।
২) আপনার ফোনটি বেশি গরম বা হিটিং হচ্ছে নাকি,এ দিকে লক্ষ্য রাখা অত্যান্ত জরুরি। স্মার্টফোন বেশি সময় ব্যাবহার করলে হিটিং বা গরম হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত গরম বা হিটিং হলে,ভাল টেকনিশিয়ান দিয়ে ফোনটি পরিক্ষা করা উচিৎ। কারন অনেক সময় হ্যাকাররা ফোন দূর থেকে কন্ট্রোল করলে, ফোন গরম হয়ে থাকে। এ বিষয়ে সকলের সচেতন থাকা উচিৎ । স্মার্টফোন গরম হলেই, স্মার্টফোন নস্ট হয়ে গেছে এটি ভাবা ঠিক না। ভাল কোনো টেকনিশিয়ান দিয়ে দেখিয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিৎ।
৩) আপনার হাতে থাকায় স্মার্টফোনটি কি, মাঝে মাঝে অটোমেটিক রিস্টার্ট হয়। এমনটি ঘটলেই অবশ্যই ভালো কোন টেকনিশিয়ান দিয়ে দেখাতে হবে। কারণ এমনটিও কিন্তু স্মার্টফোন হ্যাকের লক্ষণ। ফোনে গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য থাকলে, সাবধান হওয়া উচিৎ। কারণ হ্যাকাররা নানাভাবে হ্যাক করার চেষ্টা করে।
৪) আপনার স্মার্টফোনটি কি আপনার অজান্তে কাজ করছে। ফোনের ব্রাইটনেস বাড়ছে,সেটিংস উলট পালট হচ্ছে ইত্যাদি। এসব হলে কখনো অবহেলা করবেন না, এগুলো কিন্তু হ্যাক হওয়ার নির্দেশ প্রকাশ করে। এমনটি হলে যত তাড়াতাড়ি পারেন, ভালো কোন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান কে দেখাবেন। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কখনো অবহেলা করবেন না। কারণ একটু অবহেলা করলে আপনার গুরুত্ব তথ্য হারিয়ে যেতে পারে। তাই সব সময় সাবধান থাকা উচিৎ। আমাদের স্মার্টফোনে আমরা কত ই না দরকারি সব তথ্য রেখে থাকি।
৫) আপনার স্মার্টফোনটিকে পাবলিক ওয়াইফাই কানেক্ট করা থেকে দূরে থাকুন। কারণ আপনি পাবলিক ওয়াইফাই কানেক্ট করলে,আপনার সকল তথ্য এরা সহজেই হ্যাক করতে পারে। তবে যদি আপনার খুব দরকার হয় তবে খুব অল্প সময়ে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করবেন। আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকলে ব্যবহার না করাই ভালো। তাই এদিকে খুব বেশি লক্ষ্য রাখবেন।
৬) আমরা যারা স্মার্টফোন ব্যাবহার করি, অনেকে আছে যারা অত বেশি অভিজ্ঞ নয়। অনেক সময় আমরা বিভিন্ন জনের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ফেলি। যার ফলে হ্যাকাররা সহজে আমাদের স্মার্টফোনটিকে হ্যাক করে নেয় বা তাদের দখলে নিয়ে নেয়। সন্দেহজনক কারো দেয়া কোন লিংকে ক্লিক না করাই ভালো। কারণ কারো দেয়া লিংকে ক্লিক করলে, ফোনটি হ্যাকারদের আয়ত্তে চলে যায়।তাই কেউ কোন লিংক দিলে সেটা যাচাই-বাছাই করে ক্লিক করবেন। ভুলে কারো দেয়া লিংকে ক্লিক করে থাকলেও, সন্দেহ হলে স্মার্টফোনটি রিস্টার্ট দিয়ে নিবেন।অথবা ভালো কোন টেকনিশিয়ান দেখাবেন।
৭)আপনার স্মার্টফোনটিতে ভুলেও অটো লগইন দিয়ে রাখবেন না। ফেসবুক আইডি,জিমেইল আইডিত,বা কোন ব্যাংক একাউন্ট। এসব অটো লগিন দিয়ে রাখলে হ্যাকাররা হ্যাক করার পর,পাসওয়ার্ড দেখে ফেলে। যার ফলে আপনার খুব প্রয়োজনীয় তথ্য হ্যাক হয়ে যায়। তাই ভুলেও এমন কাজ করবেন না।
৮)প্লে স্টোরের বাইরে সন্দেহ হলে কোন অ্যাপ ইন্সটল করবেন না। কারণ এসব অ্যাপ আপনি পারমিশন দিয়ে ইন্সটল করলে। তারা খুব সহজে আপনার ফোনের সকল তথ্য হ্যাক করে নিয়ে নেয় আপনার অজান্তেই। থার্ড পার্টি অ্যাপস যাকে আমরা বলি।তাই আমরা সকল অ্যাপস প্লে স্টোর থেকে নামাবো, অন্যর দেওয়া মুড করা অ্যাপস ব্যবহার না করাই ভালো। কারন এতে আপনি হারাতে পারেন আপনার সকল প্রয়োজনীয় তথ্য।
৯) ক্রোম, ফায়ারবক্স, ইউসি ইত্যাদি ছাড়া এমনি একটা ব্রাউজার ব্যবহার করবেন না। কারণ অনেক ব্রাউজার আছে, হ্যাকাররা তৈরি করে থাকে। আপনি যখন প্রয়োজনীয় তথ্য লগইন দেবেন, তখন সকল তথ্য সে হ্যাকারের কাছে যাবে। তাই আপনারা এ তিনটি ব্রাউজার ব্যবহার করবেন। অন্য ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন তবে সতর্ক থাকবেন।
১০) সব সময় চেষ্টা করবেন, আপনার স্মার্টফোনটি কে লক দিয়ে রাখার। এছাড়াও সকল ব্রাউজার এবং সকল অ্যাপস লক দিয়ে রাখবেন।যাতে কেউ ফোন নিয়ে সহজেই, দরকারি কোন অ্যাপস এর ভেতর প্রবেশ করতে না পারে।
উপরের দেয়া সকল কিছু মেনে বা পালন করলে আপনার স্মার্টফোনটি হ্যাকিং এর হাত থেকে রক্ষা পাবে।
তাই সকলের উচিৎ সতর্ক থাকা। কারণ আমাদের ফোনে আমরা সকল তথ্য রাখি।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-
ধন্যবাদ।