আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি মহান আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালোই আছেন।
এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ইন্টারনেট সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য শেয়ার করবো যেগুলো আপনারা না জেনে থাকলে অনেক বড় ভুল ও ভ্রান্তির ভিতরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়গুলো জেনে রাখলে আপনার জ্ঞানের পরিধি একটু হলেও বাড়বে এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে দিবে বলে আশা করছি।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
(তথ্য-১) – Google এবং Facebook আপনার সম্পর্কে কি কি তথ্য তাদের কাছে আছে তা জেনে নেওয়ার উপায়ঃ
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আমরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো কিছু সার্চ করে থাকি। আর সবচেয়ে বেশি আমরা গুগল দিয়েই সার্চ করে থাকি। গুগল এখন শুধু একটা সার্চ ইঞ্জিন বলেই বিবেচিত নয়। গুগল এখন মোবাইল থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজেরাই তৈরি করছে। গুগলের এত নামের পিছনে একটা বড় কারন হচ্ছে গুগলের প্রতি জনগনের বিশ্বাস।
Google play services, google play store, google play games, google play music, youtube, google translate, google meet, snapseed, google earth, google classroom, google sheets, files by google, google drive, google keyboard, google chrome, google docs, google calculator, google maps সহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে গুগলের অবদান আছে। আমি তো মাত্র কয়েকটি সার্ভিসের কথা বললাম। এর চেয়েও শত শত সার্ভিস গুগল জনগনকে প্রদান করছে।
কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন, গুগলের প্রতি এই নির্ভরশীলতার ফলে গুগল কি আপনার উপর নজরদারিতে ব্যস্ত কি না? হয়তো না। আবার ভাবলেও খুব একটা গুরুত্ব দেননি হয়তো।
আপনি এমনটা মনে করতেই পারেন, আরে ভাই আমি তো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট না, যে আমার উপর গুগল নজরদারী করলে ভালো কিছু পাবে।
আমি একজন সাধারন মানুষ৷ আমার উপর গুগল নজরদারী করলেও গুগলের কি লাভ?
দাড়ান। সেই প্রসংগেই আসছি।
আপনি কখনো এটা ভেবে দেখেছেন কি? আপনি যখন কাউকে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের কথা নিয়ে কারো সাথে ফোনে কথা বলেন বা মেসেজ দেন বা গুগলে সার্চ দেন একটু পরেই আপনি যখন অনলাইনে ফেসবুক ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সাথে সাথে আপনাকে ঐ বিষয় সম্পর্কেই এডস শো করাতে থাকে?
কিংবা ধরুন আপনি কারো সাথে সামনাসামনিই বসে কথা বলছেন যে আপনি একটা শার্ট কিনবেন। এবং একটু পরেই আপনাকে শার্ট সম্পর্কে পৃথিবীতে যত এডস আছে তা শো করাতে থাকে!
আপনি যে গুগলের প্রতি এতটা নির্ভর সেটা আপনি যে দিক দিয়েই হোন না কেন, গুগলের কাছে আপনি শুধুই একটা প্রোডাক্ট ছাড়া আর কিছুই না!
কি? এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না?
আচ্ছা ঠিক আছে। আমি প্রমান সহকারে আপনাকে দেখিয়ে দিব গুগল কিভাবে আপনার মোবাইল বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে দিয়ে আপনাকে তাদের একটা প্রোডাক্টে রূপান্তরিত করে ফেলেছে আর আপনি কিভাবে তাদের নজরদারীতে আছেন ২৪ ঘন্টা।
ঠিক যেন একটা রোবটের মত। আপনাকে যা দেওয়া হচ্ছে আপনি তা-ই গ্রহন করছেন। আপনি এমন এক জালে আটকে গেছেন যেখান থেকে বেরিয়ে আসা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এই পোস্টে আমি আপনাদের দেখাবো গুগল আপনার কি কি সার্ভিস কালেক্ট করছে তাদের ডেটা সেন্টারে আর আপনি কিভাবে সেগুলো ডাউনলোড করতে পারবেন আর চেক করতে পারবেন।
চলুন, শুরু করা যাক।
১) প্রথমে ভালো একটা ব্রাউজার থেকে www.google.com এ যান।
২) এরপর “Manage your google account” এ ক্লিক করুন।
৩) এরপর “Data and Privacy” তে ক্লিক করুন।
৪) নিচে স্ক্রল করে এসে “Download Your Data” তে ক্লিক করুন।
৫) এরপর যেসব ডেটা আপনি ডাউনলোড করতে চান সেসব ডেটা মার্ক করে সিলেক্ট করুন।
৬) Next এ ক্লিক করে ফাইল সাইজ ও কি ফরমেটে এক্সপোর্ট করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।
৭) “Create export” button এ ক্লিক করুন।
এরপর গুগল নিজের সার্ভারে আপনার ফাইলগুলো তৈরী করা শুরু করবে। এটা কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে। তৈরি হয়ে গেলে আপনাকে মেইল করবে গুগল।
সেখানে আপনি একটা ডাউনলোড লিংক পাবেন। এরপর সে ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করে আপনি ফাইলটা ডাউনলোড করে নিবেন।
মোবাইলে হলে Zarchiver/rar App এর মাধ্যমে ফাইলটি এক্সট্রাক্ট করবেন। এরপর ভিতরে আপনার কাংখিত সকল ফাইলগুলো পেয়ে যাবেন।
এবার আসি ফেসবুককে নিয়ে। যদিওবা অনেকেই এই সম্পর্কে জেনে থাকেন তবুও যারা জানেন না তাদের জন্যেই মূলত এই পোস্টটি করা।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
১) প্রথমে Facebook এর Official App এ ঢুকুন।
২) এরপর Menu ( উপরে ডান দিকের ৩ ডটের আইকন ) তে ক্লিক করুন এবং Settings & Privacy নামক Option টিতে যান।
৩) এরপর Settings এ ক্লিক করুন।
৪) এরপর নিচের দিকে স্ক্রল করে Your Information থেকে Download Your Information এ Click করুন।
৫) এরপর আপনি যেসব Data Download করতে চান সবগুলো Mark করুন বা টিক চিহ্ন দিন।
৬) এরপর নিচে Create File এ ক্লিক করুন।
এরপর নিজে নিজেই সব Data একটি File আকারে তৈরি হওয়া শুরু করবে। যখন ফাইলটি তৈরি হয়ে যাবে তখন আপনাকে Notification এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।
আপনি Notification এ click করলেই ফাইলটি আপনাকে Download করার জন্যে বলবে। এরপর ফাইলটি ডাউনলোড করে Zarchiever App দিয়ে Extract করে নিবেন এবং সেখানে আপনি আপনার সকল তথ্য A-Z পেয়ে যাবেন।
এখন অবশ্যই বিশ্বাস হচ্ছে আমি কি নিয়ে কথা বলছিলাম?! আসলে টেকনোলজির এই দুনিয়ায় বিশ্বাস শব্দটি অনেক বড় অর্থ বহন করে।
অনলাইনের দুনিয়ায় আপনি কাউকে বিশ্বাস করতে গেলে অনেক বুঝে সুঝে তারপর বিশ্বাস করতে যাবেন। কারন এখানে আপনার ডেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আপনার ডেটা আপনার জন্যে কিছু না হলেও বড় বড় এসব কোম্পানির কাছে কোটি টাকার সম্পদের চেয়েও দামী।
(তথ্য-২) – একটি Google Account কিংবা Gmail Account কিভাবে Permanently Delete করবেন?
Google Account কিংবা Gmail Account যা ই বলেন অনেকেই জানে না কিভাবে একেবারের জন্যে ডিলিট করতে হয়। আজ আমি সেটাই হাতে কলমে দেখিয়ে দিবো।
এর জন্যে আপনাকে যা করতে হবে :
১) প্রথমে www.google.com এ যান এবং যে ব্রাউজার দিয়ে ঢুকবেন সেই ব্রাউজারে আপনার গুগল একাউন্টটি সাইন ইন করুন।
২) এরপর আপনার গুগল একাউন্টের আইকনে ক্লিক করুন। ডান দিকের উপরের দিকেই পেয়ে যাবেন।
৩) এরপর “Manage Your Google Account” এ ক্লিক করুন।
৪) এরপর “Data & Privacy” তে ক্লিক করুন।
৫) এরপর নিচের দিকে Scroll করুন। “Delete Your Google Account” এ ক্লিক করুন।
৬) এরপর আপনি আপনার গুগল একাউন্টটির Password দিয়ে Next এ ক্লিক করুন।
৭) এরপর আপনি চাইলে একাউন্টের সবকিছুই ডাউনলোড করতে পারবেন। এবং শেষে স্ক্রল করে গিয়ে “Yes, I Acknowledge etc etc” এবং পরের “Yes I acknowledge etc etc” তে টিক মার্ক দিয়ে “Delete Your Account” এ ক্লিক করবেন।
এভাবেই আপনি আপনার গুগল একাউন্টটি পার্মানেন্টলি আজীবনের জন্যে ডিলিট করতে পারবেন।
তাহলে বুঝে গেলেন আশা করছি কিভাবে আপনি আপনার গুগল একাউন্টটি ডিলিট করতে পারবেন।
(তথ্য-৩) কোনো অ্যাপ বা অ্যান্টিভাইরাস ছাড়াই কীভাবে আপনার মোবাইলকে সুরক্ষিত রাখবেন?
পদ্ধতি-১) Playstore ছাড়া Google থেকে Third Party যেসব Untrusted Website গুলো আছে সেগুলো থেকে কোনো ফাইল Download বা Install না করাঃ
এই পদ্ধতিটির কথা বলার পর যারা আমার আগের পোস্টগুলো দেখেছেন তারা আমাকে কথা শোনাতে পারেন। তাই আগেই আমি সবকিছু ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। প্রথমত, Playstore এর সব Apps ই ১০০% Secure না। দ্বিতীয়ত, আমি বলেছি Untrusted Website থেকে File Download না করতে।
Google এ অনেক ভালো ভালো Website আছে যেগুলোতে ম্যালওয়্যার থাকে না। আমি এ কথা কেন বলছি? কারন আমি নিজেই ঐসব ওয়েবসাইট থেকে Apps Download করি। Website গুলো নিয়ে আমি Already পোস্ট লিখেছি। আপনারা আমার প্রোফাইল থেকে দেখে আসতে পারেন।
যদি আপনি Sure না হোন আপনার ফোনে Installed থাকা সব Apps Secure কি না তবে আপনি Google Play Store এর Play Protect On করে রাখতে পারেন। যদি কোনো App এ সমস্যা থাকে তবে Google Play Store থেকে আপনাকে Warning দিয়ে দিবে।
এখানে অনেকেই বলতে পারেন যে Google Play Store ঐসব Apps গুলোতেই Warning দেয় যেগুলো Play Store এ নেই। এই কথাটা ১০০% যুক্তিযুক্ত নয়। কারন সবসময় সব App এর ক্ষেত্রে এটা কাজ করে না। আপনি নিজেই Research করে দেখতে পারেন আমার কথাটি সত্য কি না।
পদ্ধতি-২) Mod/Cracked/Patched/Unlocked Apps ব্যবহার না করাঃ
এ বিষয়টি নিয়ে আমি আগেও অনেকবার বলেছি। আবারো বলছি। যদিও আমি নিজেই অনেকগুলো Mod Apps Download করার Website নিয়ে পূর্বেই পোস্ট দিয়েছি। তবুও আবারো বলছি। আপনারা Untrusted Website থেকে Mod Apps ডাউনলোড করে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অনেক সময় Trusted Websites গুলোতেও malware/spyware এর ঝুকি থাকে।
এছাড়াও বিশেষ করে Telegram এ যে Group/Channel গুলো ফ্রি তে Mod Apps Upload করে সেগুলোও যে ১০০% Secure এমনটাও কিন্তু নয়। আপনি নিজেই কোনো Virus Scanner দিয়ে কিংবা আপনার ফোনে যে Default ভাবে Antivirus software দেওয়া থাকে (যদি থাকে) সেটি দিয়েও চেক করে দেখতে পারেন যে Telegram Group/Channel গুলোতে দেওয়া mod apps গুলো ১০০% Secure virus free কি না। তাহলেই বুঝতে পারবেন।
যদিও আমি নিজেই প্রচুর Telegram Groups/Channel Suggest করেছি আপনাদের পূর্বে। কিন্তু যখন আমি এই পোস্টটি লিখছিলাম তখন আমার মাথায় এ বিষয়টি হঠাৎ করে চলে আসে যে টেলিগ্রামে যে Mod apps গুলো পাওয়া যায় এগুলো Secure কি না। পরে চেক করে দেখলাম যে না অনেক Apps ই Secured না।
তাই আপনি নিজেও এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকুন ও আপনার চেনা পরিচিত কেউ থাকলে তাদেরকেও সতর্ক করুন যেন তারা এসব Free mod apps provide করে এমন Telegram group/channel গুলো থেকে সাবধান হয়ে যায়।
এগুলো কেন বলছি?
আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না এই Mod apps গুলো আপনাকে কিভাবে বোকা বানিয়ে আপনার তথ্যকে নিজেদের কাছে কালেক্ট করে নিচ্ছে কিংবা আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে।
আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা থাকে এমন Mod apps গুলো থেকে দূরে থাকবেন। যেমনঃ
1) আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা আপনার ডেবিট ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি এসব তথ্যগুলো যদি আপনার ফোনে থাকে তবে আপনি Mod apps ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং ব্যাংক ও টাকাপয়সা Related যে apps গুলো আছে এগুলোর Mod apps গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
2) Gallary, File Manager এসকল Mod/cracked Apps গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
3) Browser এর Mod apps গুলো ব্যবহার করবেন না।
4) Social Media (Facebook,Twitter,Instagram,Snapchat ইত্যাদি) এসকল Mod apps ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
পদ্ধতি-৩) যেসব Apps Playstore এ 5★ Rating দেওয়া এবং Download খুবই কম সেসব Apps download করা থেকে বিরত থাকুন।
পদ্ধতি-৪) আপনার Apps & System Update রাখুন।
পদ্ধতি-৫) Adblocker ব্যবহার করুন।
পদ্ধতি-৬) App Permissions না পড়ে Permission দিয়ে দেওয়া কিংবা Install করা থেকে বিরত থাকুন।
পদ্ধতি-৭) প্রয়োজন না পড়লে আপনার Wifi, Data Connection, Location, Hotspot ইত্যাদি বন্ধ রাখুন।
পদ্ধতি-৮) মোবাইল ব্যবহার না করার সময় সকল Apps Background থেকে বন্ধ রাখা।
পদ্ধতি-৯) আপনার ফোনকে বছরে ২-৩ বার Full Reset/Factory Reset দিন।
পদ্ধতি-১০) Booster/Cleanup Apps ব্যবহার না করা।
পদ্ধতি-১১) Free VPN ও Mod VPN ব্যবহার না করা।
পদ্ধতি-১২) Hidden Folders/ Files Delete করা।
কারন কি?
কারন এসব Apps থেকেই Virus/spyware বেশি পাওয়া যায়। আর বেশিরভাগ Review ই যেগুলো দেখা যায় এই App গুলোর সেগুলো বেশিরভাগই Fake হয়।
Playstore এ 100 থেকে শুরু করে 10k+ Downloads এর যে Apps গুলো আছে সেগুলোতেই বেশিরভাগ সময় Malware/spyware পাওয়া গেছে এমনটা বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
আপনি নিজেও Google করে দেখতে পারেন। তাই এসকল Apps এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিবো।
এতে আপনার তথ্য ফাস হওয়ার Chances সবচেয়ে বেশি। আমি Recommend করবো Playstore এর বাইরে কোনো Third Party Website থেকে Social Media apps ডাউনলোড না করতে। কখনোই এই কাজ করবেন না। যদি আপনার ডেটা হারানোর ভয় থাকে তবে তো একেবারেই না।
আমি মনে করি Playstore ছাড়া অন্য কোথাও থেকে Browser ডাউনলোড করে ব্যবহার করাই উচিত না। যদিও Playstore এ থাকা Uc Browser এর মতো কিছু Browser নিয়েও Security & Data নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে।
তাই আমি বলবো Third Party Websites গুলো থেকে Browser ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন না। কারন আপনার ফোনের ব্রাউজারেই আপনার বেশিরভাগ তথ্য Saved থাকে।
আপনার Social Media, mail ইত্যাদি যত গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আছে এসকল তথ্য কিন্তু আপনার ব্রাউজারেই থাকে। তাই আমি বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলবো।
কেননা এসব Apps ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ যেসকল ফাইলের তথ্যগুলো আছে সেগুলো Access করার Permission দিয়ে দিচ্ছেন এসকল App গুলোকে। আপনার অজান্তেই আপনার Wifi এর মাধ্যমে আপনার সকল ছবি,ভিডিও কিংবা অন্য কোনো ফাইল নিজেদের দখলে নিয়ে নিবে। আপনি টেরও পাবেন না।
তাই আশা করছি এখন থেকে আপনারা এ পরামর্শ গুলো একটু হলেও মেনে চলার চেষ্টা করবেন এবং আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগের চেষ্টা করবেন।
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ দেখা হবে পরের কোনো পোস্টে। ততক্ষনের জন্যে ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।
THIS IS 4HS4N
LOGGING OUT…