আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই মহান রব্বুল আ’লামিনের রহমতে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছি। বেশ কয়েক দিন পরে আমি আপনাদের সাথে আরেকটা নতুন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারেই আসবে। তো শুরু করার আগে একটা কথা বলে রাখি, আমার এই লেখায় যদি কোন জায়গায় ভুল যায় তবে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর পারলে আমাকে কমেন্টে ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে কেউ যেন খারাপ মন্তব্য করবেন না। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল বিষয়ে চলে যাওয়া যাক। আর্টাকেলটির টাইটেল আর থামনেল দেখে আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন যে আজকে আমি কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি?
তো চলুন শুরু করা যাক।
বর্তমানে হ্যাকারদের জন্য ফোন সুরক্ষিত রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানাভাবে ফোনে অ্যাক্সেস নিয়ে চুরি করছে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, ডকুমেন্ট। এরপর সেগুলো দিয়ে ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারে কিছু সতর্কতা মানলেই এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন:1.
ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। যখন ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথের প্রয়োজন নেই, তখন নিজেদের স্মার্টফোনে ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ স্ক্যানিং বন্ধ রাখুন। কারণ এই উভয় সেটিংসই চারপাশের প্রতিটি ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথের জন্য সব সময় স্ক্যান করতে থাকে। এটি হ্যাকারদের তাদের ডিভাইসের সঙ্গে স্মার্টফোন লিঙ্ক করার সুযোগ দেয়।
2.
স্মার্টফোনের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য, সবসময় ‘সেনসিটিভ ইনফরমেশন অন লক স্ক্রিন’ অ্যাক্টিভ রাখতে হবে। এটি অ্যাক্টিভ না থাকার কারণে, লক স্ক্রিনে মেসেজ ও নোটিফিকেশন দেখা যায়।
3.
সবসময় ফোনের লোকেশন অন রাখা খুবই বিপজ্জনক। আপনার যাবতীয় কর্মকাণ্ড ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে। অর্থাৎ কখন, কোথায় যাচ্ছেন এবং সেখানে কতক্ষণ ছিলেন তা সবকিছু ফোনে রেকর্ড থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে, কেউ যদি চান তাঁর ফোন লোকেশন ট্র্যাক না করে, তাহলে তা বন্ধ করা উচিত।
4.
যখন প্রয়োজন হবে না তখন ফোনের ইন্টারনেট বন্ধ রাখুন। এমনকি ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের অপশন বন্ধ রাখুন। নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন বাড়িতে বা অফিসে বন্ধুদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলে ইন্টারনেটে সেই সম্পর্কে অনুসন্ধান করেন, তাহলে কিছুক্ষণ পর থেকে ফোনে সেই বিষয়ে একই তথ্য পেতে থাকবে। এটি ঘটে কারণ ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের অপশন অন থাকলে।
5.
স্মার্টফোনে যে অ্যাপগুলো ইনস্টল করা হয়, তার বেশিরভাগই ব্যবহারকারীর কাছ থেকে লোকেশনের অনুমতি চায়। এক্ষেত্রে সব অ্যাপের পারমিশন দেবেন না। সেই সব অ্যাপের লোকেশনের পারমিশন দেওয়া উচিত, যেগুলো সঠিক অবস্থান না জেনে কাজ করতে পারে না।
আপনি এই সুত্রগুলো অনুসরণ করে ফোনের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে।
তো আজ এই পর্যন্তই। সর্বশেষ একটা কথায় বলতে চাই আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে একট লাইক দিয়ে ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন। আর পরিশেষে আপনি যদি ট্রিকবিডির ডেক্সটপ ভার্সনের একটা ওয়েবসাইট দেখতে চান তাহল BlackPost24 এ ক্লিক করুন। আর ফেসবুক থেকে ইনকাম করার কিছু উপায় জানার জন্য Click Here। ধন্যবাদ।