আসসালামু আলাইকুম !
Trickbd.com এর সকল সদস্যদের স্বাগতম ! ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন !
আমি সোহাগ আবারো Trickbd.com এ হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !
•••
•••
আমরা যারা নিজেদের এন্ড্রয়েড ফোনে ডেভেলপার অপশনস (Developer Options) চালু করেছি, তারা কমবেশি সবাই Logger buffer sizes এই অপশনটা দেখেছি। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে এটার কাজ কি?
যখনই আমরা ডেভেলপার অপশনে যাই তখন অনেক রকম সেটিংস দেখা যায়, তারমধ্যে একটা হলো Logger buffer sizes আজকে এই বিষয়ে সামান্য কিছু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো।
Logger buffer sizes অপশনস এ গেলেই আরো কিছু অপশনস পাওয়া যায়।
Off,64k,
1M,
4M,
16M
তো এগুলোর কাজ কি?
মোবাইলে যদি আপনি কোনো ধরনের মাইক্রোফোন ব্যবহার করেন। যেমন কিছু রেকর্ড করার জন্য, বা কাউকে কল করার জন্য। যেসব এর জন্য মাইক্রোফোন ব্যবহার হয়।
যদি আপনি এটাকে 16M সাইজে সিলেক্ট করেন তাহলে যদি আপনি ফোনে কথা বলেন বা কিছু রেকর্ড করেন তো যা কিছু বলবেন, বা রেকর্ড করার চেষ্টা করবেন – সেটা আধা ঘণ্টা পর রেকর্ড হবে।
মানে আধা ঘণ্টা পর সেটা ডিভাইসে যাবে। যদি আপনি 64K করেন তাহলে সেটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। তবে এটার ডিফল্ট আর ঠিকঠাক সেটিংস হলো 256K এটাই সেট করে রাখাই ভালো।
আপনি যখনই কলে কথা বলবেন, ভয়েস অ্যাকসেস দেবেন তখন সেটা ভালোভাবে অ্যাডজাস্ট হয়ে যাবে।
∆ মূলকথা:
এটার কাজ বোঝার জন্য আগে জানা দরকার “Audio Latency buffer sizes” এর বিষয়ে।
∆ Audio Latency buffer sizesকোনো অডিও কে অ্যানালাইজ করার জন্য সাউন্ডস কার্টের কিছু সময় লাগে। সেটা যেকোনো অডিও হতে পারে- যেমন আপনার ফোনের মাইক্রোফোনে আসা সাউন্ডস।
আর এন্ড্রয়েডে আরো অনেক প্রসেস চলতে থাকে। এবং অডিও কে প্রসেস করার জন্য একটা স্পেসিফিক টাইম দরকার হয়। নাহলে পেছনে যে প্রসেসিং চলছে এটা সেটার সাথে ধাক্কা খাবে। আর ঐসব প্রসেসিং গুলোকে স্কেডিয়্যুল করার জন্য এন্ড্রয়েডে লাইনেক্স কর্ণেল থাকে।
যেটা অডিও কে সঠিক সময়ে প্রসেস করার জন্য পাঠাতে থাকে আর buffer sizes যতটা বাড়াবেন ততটাই সময় নিয়ে পাঠাবে। কিন্তু Latency বেড়ে যাবে।
আবার যদি সাইজ কম করে দেন তাহলে Latency কম তো হবে কিন্তু Crash হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আর যদি পুরোপুরি অফ করে দেন তাহলে এটা মিনিমাম ভ্যাল্যুর কাজ করা শুরু করবে।
কিন্তু এখানে একটা সমস্যা আছে। যদি এটা Android Audio কে ম্যানেজ করে তো এই অপশনটা ডেভেলপার অপশনের মিডিয়া সেকশনে থাকার কথা, কিন্তু এটা আছে ডিবাগিং সেকশনে। এরজন্য জানতে হবে “Logcat” এর বিষয়ে।
Logcatআসলে লগক্যাট কে এন্ড্রয়েডের প্রায় সব ইঞ্জিনিয়ার ব্যবহার করে। এটা সার্কুলার রিং বাফারের মতো কাজ করে যেটাতে সিলেক্টেড সাইজ যখন কমপ্লিট হয়ে যায়, তখন পুরোনো লগস গুলো ডিলিট করে নতুন ডেটার জন্য জায়গা বানায়।
আগে এটার সাইজ লিমিট খুব কম ছিলো। কিন্তু এখন বড় সাইজের অপশন দেওয়া হয়েছে। যেটাকে 1M, 4M, 16M হিসেবে দেখা যায়। যেগুলো আরো ২ টা নামে চেনা যায়।
1. adb logcat -g (256K/1M)
2. adb logcat -G 1m (4M/16M)
যদি আপনি একজন ডেভেলপার হন আর আপনার লগ ফাইলসের যদি কোনো সমস্যা হয় ডেভেলপিং করার সময়, আর আপনার যদি দ্রুত মেনটেইন করার দরকার হয় তাহলে Logger buffer sizes বদলানো কাজে আসবে। কিন্তু এটা নরমাল ইউজারদের জন্য কোনো কাজের না।
আজকের পোস্ট এই সম্পর্কে এতটুকুই ছিলো। যতটুকু সম্ভব বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি।
°°°
এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে Trickbd.com এ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ। ?