প্রাসঙ্গিক কথন==>
আমার অভ্যাসই হলো বিস্তারিত পোষ্ট করা।
কোনো বিষয় নিয়ে আমি তখনই পোষ্ট করি যখন ঐ বিষয়ে আমি বিস্তারিত ধারণা লাভ করি।
এখন ধরুন,
আমি যে কোনো বিষয়ে একটি পোষ্ট করলাম।
মনে করুন,
সেটি ওয়াইফাই হ্যাকিং!
এখন অনেকেই তো আমার করা পোষ্ট এ কমেন্ট করে নিজেদের সমস্যার কথা জানাবে।
যারা পোষ্ট পড়বে তারা সবাই মনে করবে যে,
পোষ্টদাতা নিশ্চয় ওয়াইফাই হ্যাকিং বিষয়ে এক্সপার্ট!
কিন্তু তারা তো আর জানেনা আমি পোষ্ট কি কিভাবে দিলাম।
হতে পারে কপি করে অথবা শুধুমাত্র অন্যের করা পোষ্ট পড়ে হালকা একটু ধারণা নিয়ে ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে…….!
(যদি ক্রেডিট দেয়া হয় তাহলে ট্রিকবিডিতে এই ধরণের পোষ্ট ও এলাউ করা হয়।)
এখন কথা হলো,
ঠিক আছে,
আমি কপি করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে ধারণা নিয়ে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি পোষ্ট করলাম।
পোষ্টের ভিউয়ার ও কমেন্ট সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
কিন্তু কমেন্ট এ এমন সব প্রশ্ন করা হয়েছে যা নিজেই বুঝতে পারলাম না!
বুঝতে পারবো কিভাবে?
আমি যে লেখা চুরি করে পোষ্ট করেছি!
নিজে তো ট্রাই করে দেখিনি।
শুধু শুধু নিজের জনপ্রিয়তা আর ক্রেডিট বাড়ানোর লোভে উল্টাপাল্টা পোষ্ট করেছি।
এমতাবস্থায় কমেন্ট বক্সে আমার রিপ্লাই না পাওয়াই স্বাভাবিক।
আর যদি কমেন্টকারী উপযুক্ত প্রত্যুত্তর না পান,
তাহলে তো কথাই নেই!
মা-বাবা থেকে শুরু করে চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়েন!
আমি লক্ষ্য করে আসছি,
অনেক ভাইয়ারা ট্রিকবিডিতে গালিগালাজ করে থাকেন।
এমন সব অকথ্য ভাষায় তারা গালিগালাজ করে থাকেন,যা কোনো সুশীল ব্যক্তির পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব।
ফলে বর্তমানে অনেক ট্রেইনার পোষ্ট করা ছেড়ে দিয়েছেন।
এখন কথা হলো,
ট্রেইনাররা অনেক কষ্ট করে ট্রেইনার হয়েছেন।
সুযোগ পেয়েছেন নিজেদের জ্ঞান গরিমা সকলের সাথে ভাগাভাগি করার।
কিন্তু তাদের গালিগালাজ শুনতে হবে কেনো?
এক্ষেত্রে আমি যারা গালিগালাজ করেন,
তাদের বিরুদ্ধাচরণ করবো না।
কারণ,
একজন ট্রেইনারের তখনই পোষ্ট করা উচিৎ,যখন তার ধারণা হবে যে সে সেই পোষ্ট এর সব কমেন্ট এর যথাযথ রিপ্লাই দিতে সক্ষম।
আর এমন সব পোষ্ট কখনই করা উচিৎ না,
যার চাহিদা ভিজিটরদের কম থাকে।
যেমন:
রি-পোষ্ট।
আমি এমনও দেখেছি যে একই পোষ্ট ঘন্টার ব্যবধানে দু’বার ও করা হয়েছে।
ভাইয়া,
পুনরায় পোষ্ট করবেন ভালো কথা।
কিন্তু সেই পোষ্ট থেকে নতুন কিছু শেখার মতো থাকতে হবে তো।
হুবহু পোষ্ট করে দিলে তো গালিগালাজ আপনার প্রাপ্যই।
তবে কমেন্টকারীদের প্রতি আমার অনুরোধ,
দয়া করে কেউই গালিগালাজ করবেন না।
যদি আপনার বিরক্তই লাগে,
তাহলে রিপোর্ট বাটন আছে।
ক্লিক করে শুদ্ধ বাংলায় কারণ লিখে সেন্ড করে দিন।
আপনার রিপোর্ট যদি যৌক্তিক হয় আর এডমিন যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন,
তাহলে আপনি শালীন ভাষায় কমেন্ট করে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করুন।
আমি আমরা সবাই আপনার সাথে আছি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে প্রাসঙ্গিক আলাপের ক্যাটাগরিতে অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা লিখে ফেললাম।
তার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত।
দয়া করে ছোটভাই হিসেবে ক্ষমা করে দিবেন।
আর যদি ক্ষমার অযোগ্য হই,
তাহলে কমেন্ট এ আমাকে ভালোভাবে গালিগালাজ করে মনের ঝাল মিটিয়ে নিবেন।
(সত্যি সত্যি গালিগালাজ করবেন না আবার!আমি মজা করেই বলেছি।পোষ্ট এর কলেবর সুন্দর হওয়ার জন্য কয়েকদিন পর হয়তো উপরের লাইনগুলো ডিলিট করে দিবো।)
যাই হোক এবার পয়েন্ট এ আসি।
আজকের পোষ্ট বিষয় হলো Xposed বৃত্তান্ত।
অর্থাৎ,
Xposed সম্পর্কে আপনার মনের যত প্রশ্ন আশা করি সব জানতে পারবেন।
তাহলে চলুন,শুরু করা যাক……….।
Xposed পরিচিতি:–
Xposed এর কথা আসলেই আমাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্নের উদয় হতে পারে।
আজকের পোষ্ট থেকে আপনি আপনার মনের সুপ্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর পান কিনা দেখুন তো……..।
আর না পেলে আমি তো আছি ই!
Xposed Framework:–
আমরা প্রায় সকলেই জানি,
Android এর স্বর্ণযুগ আসার পূর্বে “Java” আর “Symbian” ই ছিলো মোবাইলের জন্য আদর্শ OS (Operating System).
[সহজ ভাষায় অপারেটিং সিস্টেম হলো কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মূল ভিত্তি।যা ছাড়া ঐ ডিভাইসের যাবতীয় কাজ অচল।
এমনকি একই অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি Software অন্য অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অচল।
(Emulator এর কথা এখানে গ্রহণযোগ্য নয়)
বর্তমান প্রচলিত কিছু অপারেটিং সিস্টেম হলো:
(i)Windows
(ii)Android
(iii)Symbian
(iv)Java
(v)Tizen
(vi)Chrome OS
(vii)Mac
ইত্যাদি………ইত্যাদি………]
যাইহোক,
আমরা যখন Symbian অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোন ইউজ করতাম,
তখন Python নামে একটা এপস ইউজ করতাম।
(Python আবার খুব জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ অপরপক্ষে Python আবার ইয়া বড় সাপের নাম।তবে Python এপসটিতে সাপের ছবিই ছিলো!)
এই Python এপসটি ইউজ করতে হলে সিম্বিয়ান ফোন হ্যাক করতে হতো।
এই এপস এর বিশেষত্ব ছিলো,
এই এপস যদি ফোনে সঠিকভাবে ইন্সটল করা থাকে,
তাহলে ১০ কেবি থেকে শুরু করে ৫/১০ এমবির অনেক ভালো ভালো এপস ইউজ করা যেতো যা Python না থাকলে Open ই হতোনা।
এরকম একটি পরিচিত এপস হলো:
Mp3TagEditor
এখন Python এর বিবরণ দেয়ার মূল কারণ হলো Xposed Framework এর সাথে এর সাদৃশ্য।
Python ইন্সটল করতে যেমন Symbian ফোন হ্যাক করতে হয়,
ঠিক তেমনিভাবে Xposed Framework ইন্সটলেশন এর ক্ষেত্রেও Android ডিভাইস Rooted হতে হয়।
যারা সিম্বিয়ানের এক্সপার্ট ইউজার ছিলেন তারাই আমার কথা সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
এবার আসি Xposed Framework প্রসঙ্গে:
Xposed Framework হলো এন্ড্রয়েডের রুট পারমিশন বা রুট পাওয়ার ব্যবহার করে একেবারে সিস্টেম লেভেলে বা উচ্চমাত্রায় এন্ড্রয়েড ফোন কাস্টমাইজেশন/মডিফিকেশন এর পদ্ধতি।
Xposed Framework এর মূল স্রষ্টা হলেন XDA এর Recognized ডেভেলপার “rovo89” (তাইতো বলি,Xda আর Xposed এর মাঝে মিল খুঁজে পাই কেনো!)
ফোনে কাস্টম রম ফ্লাশ করে মোডিফাই না করে স্টক রমেই কাস্টম রমের মজা নিতে সত্যিই এর বিকল্প আর হয়না।
Xposed কিভাবে কাজ করে:
Xposed চালানোর জন্য এসব জানার প্রয়োজন নেই।
তারপরেও অনেকের কৌতূহল নিবারণের জন্য লিখলাম।
Android মোবাইল চালু হবার সময় সবার আগে যে প্রসেসটি
চালু হয়, সেটি হল Zygote………….।
root/system/bin/app_process নামের
executable টির মাধ্যমে এই প্রসেসটি চালু হয়।
এরপরে বাকি app গুলো এই প্রসেসটির কপি হিসেবে একে একে চালু হতে থাকে। Xposed এর একটাই কাজ,
তা হল extended app_process নামের একটি executable কে root/system/bin এ কপি করে ফেলা।
এই নতুন ফাইলটির কাজ হল Zygote চালু হবার আগেই কিছু Functions Call করা। অর্থাৎ,
এটি নিজেই তখন Zygote এর মত কাজ করে।
সুতরাং, Xposed এর যতো কাজ, তার সবই ফোন চালু হবার আগেই হয়ে যায়।
আর xposed সিস্টেমের কোন ফাইলে কোন কিছু সরাসরি এডিট করে না।
যার ফলে xposed ব্যবহারে হঠাৎ ফোন ব্রিক হবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
(“Xposed কিভাবে কাজ করে” এই অংশটুকু বাংলায় এন্ড্রয়েড টিপস পেইজ থেকে কপি করেছি”)
Xposed Framework সম্পর্কে এবার বিস্তারিত জানলেন তো?
এবার চলুন Xposed Module সম্পর্কে জানবেন………।
Xposed Module:–
Xposed Module হলো ছোট ছোট কতগুলো এপস।
যেগুলো সাধারণত কম MB এর হয়।
কিন্তু এই এপস গুলোর কাজ অত্যন্ত শক্তিশালী!
(শক্তিশালী হবে না তো কি হবে?Root+Xposed Framework Power পেয়েছে না?)
এই এপসগুলো ও সিম্বিয়ানের Python এর Apps গুলোর মত।
Xposed ছাড়া কাজ করবেনা!
Xposed এর যতো কাজ,তার সবই হয় বিভিন্ন Xposed Module দ্বারা।
আগেই বলেছি,
এই Module গুলো হলো কতগুলো ছোট অথচ শক্তিশালী Apps.
তবে Xposed ইন্সটল করা না থাকলে এই Apps গুলো আঙ্গুল চোষা ছাড়া কিছুই করতে পারবে না।
মোট কথা,
Modification এর প্লাটফর্মটা তৈরি করে Xposed….।
আমাদের ফোনের অনেক কিছুই একটা পর্যায়ে আমাদের বোরিং লাগতে শুরু করে।
হতে পারে সেটা ফোনের লুক,বিভিন্ন ফিচার, ব্যাটারি ব্যাকাপ ইত্যাদি।
এগুলো চেঞ্জ করার জন্য সাধারণত রম চেঞ্জ করাটাই আমাদের কাছে প্রথম উপায়।
কিন্তু কিছু Module দ্বারা অতি সহজেই কাজগুলো করা যায়।
Xposed Module দিয়ে সামান্য Status Bar এর Icon
পরিবর্তন থেকে শুরু করে Galaxy Note সিরিজের Multi Window ফিচারটিও ফোনে আনা সম্ভব।
(এখানকার কিছু অংশ ও কপি করা।তাই বলে আমাকে কপিবাজ বলতে পারেন না।)
যাইহোক,
এবার চলুন নেক্সট স্টেপ-এ……..>
Xposed Installation=>
এন্ড্রয়েড ভার্সন ৫ অর্থাৎ ললিপপ এর নিচের ভার্সন গুলোতে শুধুমাত্র RooT থাকলেই সহজভাবে Xposed Installation সম্পন্ন করা যায়।
KitKat ও এর নিচের ভার্সনে:–
প্রথমেই Xposed Framework অথবা Material Xposed Framework-Unofficial ডাউনলোড করে Install করে নিন।
এবার Xposed ওপেন করুন।
এবং Framework এ ক্লিক করুন…..।
যদি কোনো উইন্ডো আসে তো OK তে ক্লিক করুন।
এরপর যে পেইজ আসবে সেখান থেকে Install/Update এ ক্লিক করে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।
এবার লাস্ট স্টেপ………
Floating Window থেকে Ok ট্যাপ করে ডিভাইস Reboot দিন…..
ব্যাস,
Reboot হলেই Xposed Framework Installation এর কাজ শেষ।
Lollipop ও Marshmallow ভার্সনে:–
ললিপপ ডিভাইসে Xposed Framework ইন্সটল করার প্রক্রিয়া অন্যান্য ডিভাইস থেকে কিছুটা আলাদা।
ডিভাইস ও Cpu ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ফাইল ডাউনলোড করতে হয়।
অন্যথায় সঠিকভাবে ইন্সটল সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
তো চলুন শুরু করা যাক…….।
প্রথমেই আপনার ডিভাইস ও সিপিউ অনুসারে নিচের লিস্ট থেকে Xposed Framework Package ডাউনলোড করে নিন।
আপনার ডিভাইসের সিপিউ মডেল সহ ডিভাইসের সকল তথ্য পরিপূর্ণভাবে জানতে Cpu-X এপসটি ইউজ ককরুন।
এন্ড্রয়েড ৫.০ এর ক্ষেত্রে:
ARM (32-bit),ARM64 (64-bit) ও x86 (Intel devices) এর জন্য Flashable Zip ফাইল ডাউনলোড করে নিন।
এন্ড্রয়েড ৫.১ এর ক্ষেত্রে:
ARM (32-bit),ARM64 (64-bit) ও x86 (Intel devices) এর জন্য Flashable Zip ফাইল ডাউনলোড করে নিন।
এন্ড্রয়েড ৬.০ ও ৬.০.১ এর ক্ষেত্রে:
ARM (32-bit),ARM64 (64-bit) ও x86 (Intel devices) এর জন্য Flashable Zip ফাইল ডাউনলোড করে নিন।
অনেক তো হলো ডাউনলোডিং,এবার মূল কাজে আসুন।
প্রথমেই ডাউনলোডকৃত ফাইলটি ডিভাইসের SD Card এ রাখুন।
একদম বাইরে রাখার চেষ্টা করবেন।
কোনো ফোল্ডারের ভিতর রাখলে খুঁজে পেতে ঝামেলা হতে পারে।
এবার আপনার ডিভাইসটি Recovery Mode এ অন করুন।
ফোনের Recovery Mode এ যেতে ফোনের Volume up ও Power Button একসাথে টিপে ধরুন।
স্যামসাং হলে Volume up,Home Button ও Power Button একসাথেই টিপে ধরে রাখুন।
(ফোনের BooT Logo দেখা গেলে Power Button ছেড়ে দিবেন।)
তবে আপনার ফোন যেহেতু Root করা আছে,
সেহেতু এসব ঝামেলাপূর্ণ কাজে না গিয়ে Power Menu এপস ইউজ করেও Recovery Mode এ যেতে পারেন।
এরপরের প্রসেস তো আশা করি সবারই জানা আছে।
সব রিকভারিতেই Zip ফ্লাশ করার নিয়ম প্রায় একই।
Install Zip/Install Zip From SD Card এ ক্লিক করে SD Card এর একদম বাইরের ফোল্ডারে রাখা Flashable Zip ফাইলটি সিলেক্ট করুন।
এবার CWM Recovery হলে Button টিপে স্ক্রল করে Yes এ ক্লিক করুন।
অথবা TWRP হলে সোয়াইপ করে ফ্লাশ কনফার্ম করুন।
Zip ফ্লাশ সম্পন্ন হলে Wipe এ যান।
Wipe এ গিয়ে Dalvik ও System Cache Wipe করুন।
Cache ক্লিয়ার করা সম্পন্ন হলে ডিভাইস রিবুট দিন।
যদি আপনার ডাউনলোড করা Zip File টি সঠিকভাবে ফ্লাশ হয়ে থাকে,
তাহলে Xposed Framework অথবা Material Xposed Framework-Unofficial এর যেকোনো একটি ডাউনলোড করে Install করে নিন।
এবার Open করে দেখুন তো এরকম আসে কিনা?
আশা করি আসবে।
তারপরেও যদি না আসে তো এবার কিটক্যাট এর জন্য দেয়া নিয়ম ফলো করুন।
এবার আসি মডিউল বিষয়ে।
মডিউল সম্পর্কে আগেই ধারণা দিয়েছি।
এবার আমার ব্যবহৃত কিছু মডিউলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
ভালো লাগলে ইউজ করে দেখবেন।
কিছু Xposed Module:–
১.XuiMod
XuiMod হলো আমার ব্যবহৃত সবচেয়ে মজার ও সেরা একটি Xposed Module.
এই মডিউল ব্যবহার করে এন্ড্রয়েড ডিভাইসের এনিমেশন পুরোই চেঞ্জ করে দেয়া যায়।
এই মডিউল ব্যবহারে ডিভাইসে এমন স্টাইলিশ লুক আসবে যে আপনি নিজেই এন্ড্রয়েডের প্রেমে পড়ে যাবেন!
ইউজ না করলে যদিও এর কিছুই বুঝবেন না।
তারপরেও এই মডিউল এর কিছু কাজ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি।
XuiMod দিয়ে যা যা করা যায়:
১.স্টাইলিশ List View Animation সেট করা যায়।
২.গ্রেট লুকিং System Animation সেট করা যায়।
৩.চরম স্টাইলিশ IME Animation সেট করা।
৪.মজার Toast Animation সেট করা যায়।
৫.অতি সুন্দর Ticker Animation সেট করা যায়
৬.Clock মোড ইউজ করা যায়।
৭.BatteryBar মোড ইউজ করা যায়।
৮.Notification মোড ইউজ করা যায়।
৯.LockScreen মোড করা যায়।
১০.Scrolling মোড ইউজ করা যায়।
ইত্যাদি…………
আবার এসব ফাংশনের ভেতরেও একাধিক ফাংশন বিদ্যমান।
সুতরাং,
ইউজ না করলে বুঝবেন না XuiMod কি জিনিস।
আপনার পুরো এন্ড্রয়েড অভিজ্ঞতা ই পাল্টে দেবে এই মডিউল!
কষ্ট করে সেটিং না করে আমার সেটিং এর ব্যাকআপ নিয়ে নেন।
রি-স্টোর করার সিস্টেম নোট করে দেয়া হয়েছে।
২.Fonter Pro
Fonter Pro নামটা শুনেই এই এপস এর কাজ সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায়।
হ্যাঁ।
এই এপস এর প্রধান কাজই হলো Font Style চেঞ্জ করা।
শুধু Font Style ই না।
ফন্টের কালার ও চেঞ্জ করা যাবে।
তাও আবার প্রতিটি এপ এর জন্য আলাদাভাবে!
অর্থাৎ এখন আর ফন্ট চেঞ্জ এর জন্য সিস্টেম ফন্ট চেঞ্জ করতে হবেনা।
শুধুমাত্র এই এপস ব্যবহার করেই প্রতিটি এপস এর জন্য আলাদাভাবে Font Select করা সম্ভব।
চলুন,
একনজরে দেখে আসি Fonter Pro এর Features:–
১.হাজার হাজার ফন্টের প্রিভিউ সহ বিশাল অনলাইন কালেকশন।ফলে এখন আর পছন্দের ফন্ট খুঁজতে বেগ পেতে হবেনা!
২.ডাউনলোড করতে পারবেন প্রায় যেকোনো ব্রান্ডের ফোনের স্টাইলিশ Emoji!তাই এখন আর Zip ফ্লাশ করে IPhone এর Emoji সাপোর্ট করার কষ্ট করতে হবেনা।
৩.থাকছে Custom Font ইউজ করার সুবিধা!এখন যেকোনো TTF ফরমেট এর ফাইল ডাউনলোড করে SD Card/Fonter/Fonts ডাইরেক্টরিতে রেখেই ইচ্ছেমত ফন্ট ইউজ করা যাবে।
৪.প্রতিটি এপস এর জন্য আলাদাভাবে Font নির্বাচন করার সুবিধা।ফলে একই ফন্ট দেখার একঘেয়েমি আর নয়!
৫.চেঞ্জ করতে পারবেন System Font।লাগবেনা আলাদা কোনো এপস।একই এপস এ এতো ফিচার থাকলে অতিরিক্ত এপস Install করে Ram এর বারোটা বাজায় কে?
৬.Styled Tweet সিস্টেম ইউজ করে অফলাইনেই স্টাইলিশ কিবোর্ড ছাড়া ফন্ট চেঞ্জ করে লিখতে পারবেন।ফলে নেইম চেঞ্জ সহ যেকোনো লিখায় আসবে নতুনত্ব!
ইত্যাদি……….ইত্যাদি।
৩.Wanam Xposed
শুধুমাত্র Wanam Xposed এর নাম দিয়েই একে চেনা যাবেনা।
এই মডিউলের রয়েছে নানাবিধ কাজ।
Wanam Xposd হলো স্যামসাং MultiWindow Supported ডিভাইসগুলোর জন্য আবশ্যিক একটি মডিউল।
যদি আপনি আপনার স্যামসাং ডিভাইসের পরিপূর্ণ সুবিধা পেতে চান তো,
Wanam Xposed এর বিকল্প আপনি কোথাও খুঁজে পাবেন না!
স্যামসাং ডিভাইস কাস্টমাইজেশন এর জন্য যেসব ফিচার দরকার তার সবই এই মডিউলে আছে।
(স্যামসাং ছাড়া অন্যান্য ব্রান্ড এর ডিভাইসেও দিব্যি কাজ চালানো এটি দিয়ে।)
চলুন তাহলে দেখে নিই,
কি কি থাকছে Wanam Xposed এ:–
১.Notification Panel.
২.Lock Screen.
৩.Sound.
৪.System.
৫.Phone.
৬.Messaging.
৭.Theme.
৮.Security Hacks.
৯.Advanced.
উপরে বর্ণিত সেকশন গুলোতে আবার বিভিন্ন সাব-সেকশন রয়েছে।
এসব ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার Wanam Xposed সম্পর্কে করা এইপোষ্টটি দেখতে পারেন।
৪.Network Speed Indicator
আপনার ফোনে অন্য যেকোনো Speed Meter ই ইউজ করেননা কেনো,
ডিস্টার্ব করবেই।
হয়তো ভুল স্পিড দেখাচ্ছে,অথবা Status Bar থেকে Speed Meter হারিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু এই Speed Meter টি একবার ইউজ করেই দেখুন।
আমি প্রায় দুইবছর যাবত ইউজ করে আসছি।
এখনো পর্যন্ত কোনো প্রবলেম খুঁজে পাইনি।
এই ছোট্ট এপসটির আবার নানানরকম ফিচার রয়েছে।
যেমন:
(i)দুই লাইনে ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড।
(ii)আপলোড/ডাউনলোড স্পিড সহজেই চেনার জন্য রয়েছে Suffix বা Spped এর পাশে চিহ্ন।
(iii)Text/Font স্টাইল,সাইজ,কালার ইত্যাদি পরিবর্তন করা সুবিধা।
(iv)Units নির্ধারণ সুবিধা।
(v)রয়েছে কত সেকেন্ডের স্পিড দেখাবে তা নির্ধারণ করার সুবিধা ও।
(vi)Data Connection অফ থাকলে বা Data Transmit না করলে Spped Indicator Hide করার সুবিধা ও রয়েছে এই মডিউলে।
৫.Greenify
এন্ড্রয়েড কাস্টমাইজেশন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আছে,
কিন্তু Greenify সম্পর্কে ধারণা নেই এরকম কাউকে খুঁজে পাওয়া হয়তো দুষ্কর!
কেউ আছেন নাকি এরকম?
এটি এমন একটি মডিউল,যেটি ইউজ না করলে আপনার এন্ড্রয়েড লাইফ ই বৃথা।
আমি সর্বপ্রথম এই মডিউলটিই ইউজ করেছিলাম এবং এখনো ইউজ করছি।
Greenify এর মূল কাজ হলো Hibernate করা।
যারা কম্পিউটার ইউজ করেন,তাদের কমবেশি সবারই Hibernate সম্পর্কে ধারণা থাকবে।
Hibernate হলো এমন এক প্রক্রিয়ার নাম,
যে প্রক্রিয়ায় কোনো কিছুকে অক্ষত রেখে/ভেতর থেকে চালু রেখে বাইরের সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেয়া যায়।
যদি আপনি গভীর ঘুমে নিমগ্ন থাকেন,তবে সেটিও এক প্রকার Hibernation প্রক্রিয়া।
এ প্রক্রিয়ার ফলে আপনার আভ্যন্তরীণ সবকিছু ঠিক থাকবে,কিন্তু বাহ্যিক কাজকর্ম সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
এই প্রক্রিয়ার ফলে শক্তি অপচয় রোধ হয়।
ফলে দীর্ঘসময় ধরে কোনোকিছু সজীব থাকে।
ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলোতেও এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে দীর্ঘক্ষণ চার্জ ও পারফর্মেন্স ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
Greenify এপস/মডিউলটিও এই প্রক্রিয়ায় কাজ করে থাকে।
ফলে ডিভাইসের চার্জ ও পারফর্মেন্স আংশিকভাবে হলেও বৃদ্ধি পায়।
সব এন্ড্রয়েড ডিভাইসেই এটি ইউজ করা যায়।
তবে কার্যক্রম ও সুবিধা ডিভাইসের সিস্টেমের সুবিধা আনুসারে ভিন্নতর হয়ে থাকে।
যেমন:
Non Rooted<Rooted<Xposed Installed.
অর্থাৎ সবচেয়ে কম সুবিধা পাবেন নন রুটেড ডিভাইসে এবং বেশি পাবেন Xposed Installed থাকলে।
এরকম আরো শতশত মডিউল রয়েছে।যেগুলো একবারে লিখে শেষ করা যাবেনা।
ধাপে ধাপে লিখতে হবে।যাদের উদ্দেশ্যে লিখা তারা রিকুয়েস্ট করলে পরে না হয় আরেকদিন আরো কয়েকটা মডিউল সম্পর্কে লিখবো।
ডাউনলোড লিংক:-
XuiMod-2.3.1
Fonter Pro-2.9.6
Wanam Xposed-4.0.1
Greenify Pro-3.6.2
Network Speed Indicator-1.0 b2
এই মডিউলগুলোর Pro Version ব্যতীত অন্য সকল ভার্সন Xposed framework এর Download সেকশনে আছে।
ওখান থেকেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ:-
এটি অনেক আগে লিখা একটি পোষ্ট।মাঝখানে কিছুদিন লিখালিখি থেকে দূরে ছিলাম বিধায় পাবলিশ করা হয়নি।
ফলে এই লম্বা সময়ে অনেককিছুই চেঞ্জ হতে পারে।
আমি আর দ্বিতীয়বার পোষ্ট ইডিট করিনি।
ফলে কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে।
যেমন:
কথাপ্রসঙ্গে আসা অনেককিছুই এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে।
তাছাড়া,কিছু ছবিও গুগল থেকে নিয়েছি।
আশা করি পজিটিভলি নিবেন।
এই পোষ্টের জন্য “কৌশিক ভাই” রিকুয়েস্ট করেছিলেন।
মাস দুয়েক পর দিচ্ছি।
উল্লেখিত সবগুলো মডিউলের একটি ব্যাকআপ ফাইল BdUpload সাইটে আপলোড দিচ্ছি।
ইচ্ছে করলে এই লিংকথেকে ডাউনলোড করে নিবেন।
Backup ফাইল Restore করতে আমার ইতোপূর্বে করা Lucky Patcher সম্পর্কিতপোষ্টটিদেখুন।
Zip ফাইল Extract করে ফোল্ডারগুলো SD Card>Android>Data>com.android.vending.billing.InAppBillingService.CLON>Files>Lucky Patcher>Backup ফোল্ডারে রাখুন এবং Lucky Patcher ইউজ করে Restore করুন।
কোনো প্রকার সমস্যা হলে আমাকেফেইসবুকেনক করতে পারেন।
এই বিষয়ে আমার চেয়ে ভালো এবং এক্সপার্ট অনেক ট্রেইনার ট্রিকবিডিতে আছেন।
উনাদের কাছেও হেল্প চাইতে পারেন।
আপনারা চাইলে আমিও হেল্প করতে চেষ্টা করবো…….।
বরাবরের মত আবারও বলছি,
আমার লিখা কপি করার চিন্তাও করবেন না।
আশা করি মনে রাখবেন কথাটা।
আর ইচ্ছে করলে আমার YouTube চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
আমি অতি শীঘ্রই আবার ইউটিউবে ফিরে আসছি।
আপডেট পেতে আশা করি Subscribe করে রাখবেন।
“ধন্যবাদ”