Site icon Trickbd.com

[Don’t Miss]এবার আপনার নাম লিখুন ASCII কোডে!সাথে রয়েছে ASCII সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা!

Unnamed

প্রাথমিক ধারণা:–


জকে খুব সংক্ষিপ্তসারে একটি পোষ্ট করছি।
কারণ,
অনেকেই আমাকে পোষ্ট করার জন্য তাগাদা দিচ্ছেন।
বড় পোষ্ট লিখার কাজ চলছে এবং তা প্রায় শেষের পথে।
এই সুযোগে একটি ছোট পোষ্ট করলাম।
যাইহোক,
এই পোষ্ট এর টাইটেল দেখেই হয়তো আপনার ASCII/অ্যাস্কি কোড সম্পর্কে জানার একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
(যদিও এই পোষ্ট এর টাইটেল ইচ্ছে করেই একটু আকর্ষণীয় করেছি।ভিউয়ার বাড়ে কিনা চেক করবো বলে!)
তো,
প্রথমেই আপনাকে ASCII/অ্যাস্কি কোড সম্পর্কে ধারণা দেয়া আবশ্যক।
তা নাহলে হয়তো আপনার জানা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
তো চলুন:——-
ASCII কোড হলো কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের টেলিযোগাযোগের যন্ত্র সহ অন্যান্য যেসব যন্ত্রে বর্ণ ভিত্তিক (Text Based) ইন্টারফেস দরকার হয় তাতে ব্যবহারের জন্য ইংরেজি ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা একধরনের Character Encoding।
সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে রবার্ট উইলিয়াম বেমার (Bemer) ৭-বিটের অ্যাস্কি কোড উদ্ভাবন করেন।
তবে ASCII কোড নিয়ে সর্বপ্রথম ১৯৬০ সালে কাজ শুরু হয়।
এর সর্বশেষ সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে।
সর্বশেষ প্রকাশিত সংষ্করণ অনুযায়ী অ্যাস্কি কোডের ধারণ ক্ষমতা ১২৮ টি বর্ণ,
তার মধ্যে ৯৫টি ছাপার যোগ্য বর্ণ এবং ৩৩ টি নিয়ন্ত্রণ সংকেত (Control Characters) হিসেবে ব্যাবহৃত হয়।
ASCII এর পূর্ণরূপ হলো-
“American Standard Code for Information Interchange”
এই অ্যাস্কি কোড আবার দুই প্রকারের হয়।
যেমন:
১.ASCII-7 (৭-টি বিট দ্বারা তৈরি কোড)
2.ASCII-8 (৮-টি বিট দ্বারা তৈরি কোড)

এবার আসি ASCII-7 ও ASCII-8 প্রসঙ্গে:


ASCII-7:–
আগেই উল্লেখ করেছি এটি মোট ৭-টি বিট দ্বারা তৈরি হয়।
এবং এর বামদিকের তিনটি বিটকে জোন বিট এবং ডানদিকের চারটি বিটকে সংখ্যাসূচক বিট বলে।
নিচের চিত্রে বিট সমূহের নাম চিহ্নিত করা হলো।

ASCII-8:–
ASCII-8 যে ৮-টি বিট দ্বারা তৈরি হয়,তাও উপরে উল্লেখ করেছি।
তবে ASCII-7 এর তুলনায় ও অবস্থানভেদে ASCII-8 এর বিটগুলোর নামের ভিন্নতা রয়েছে।
ASCII-8 এর সর্ব-বামদিকের বিটটিকে প্যারিবিট এবং সর্ব-ডানদিকের চারটি বিটকে সংখ্যাসূচক বিট বলে এবং মাঝের তিনটি বিটকে জোন বিট বলে।
এক্ষেত্রেও বিটগুলোর নাম নিচের চিত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পোষ্ট বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে বিধায় আর বেশি কিছু লিখলাম না।
আপনার যদি জানার ইচ্ছে থাকে তো,
একটু কষ্টকরে গুগলে সার্চ দিয়ে জেনে নিন।
এমনিতেই উপরের তথ্যগুলোর বেশিরভাগই গুগলের সাহায্যে নেয়া!

অ্যাস্কি শিল্প বা ASCII Art:–


আজকের পোষ্টের মূল বিষয়ই হলো অ্যাস্কি শিল্প।
কারণ,
বর্ণ বা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে তৈরি স্টাইলিশ সবকিছুই ASCII Art এর অন্তর্ভূক্ত।
আর আমরা তো আজকে ASCII Code ব্যবহার করে স্টাইলিশ নাম ও বিভিন্ন ছবি/আকৃতি তৈরি করতে যাচ্ছি।
সুতরাং অ্যাস্কি শিল্প সম্পর্কেও অন্তত কিছুটা ধারণা তো থাকা চাই ই।
যাইহোক,
অ্যাস্কি শিল্প বা ASCII Art হল একধরনের ডিজিটাল শিল্পমাধ্যম যাতে অ্যাস্কি কোডের ৯৫ টি ছাপার যোগ্য বর্ণ ব্যবহার করে চিত্রকর্ম তৈরি করা হয়।
এই ৯৫ টি ব্যবহারযোগ্য বর্ণের মধ্যে রয়েছে ইংরেজি ভাষার ২৬ টি বর্ণ,
ছোট হাতের এবং বড় হাতের মিলিয়ে ৫২ টি সেই সাথে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত অঙ্কগুলোর ইংরেজি রূপ,
যতি চিহ্ন সমূহ,
গাণিতিক প্রতীক সমূহ এবং ফাঁকা স্থান (Space)।
সাধারণ টেক্সট এডিটর প্রোগ্রাম ব্যবহার করেই অ্যাস্কি শিল্প তৈরি করা সম্ভব।
যেসব ফন্টের সকল অক্ষর সমান প্রশস্ত ও টাইপ রাইটার দিয়ে লেখার মত ফলাফল পাওয়া যায়,তারাই অ্যাস্কি শিল্পের জন্য উপযুক্ত।
অ্যাস্কি শিল্পের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত ফন্ট হল Courier।
ASCII Art সর্বপ্রথম ১৯৬৬ সালে Bell Labs এ কর্মরত কেনেথ নল্টনের হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে।
আর সেই থেকেই অ্যাস্কি শিল্পের অগ্রযাত্রা আজও সমুন্নত আছে।
বেশি কিছু জানিনা বিধায় আপনার জানার সুবিধার্থে উপরে কিছু অংশ WiKi থেকে কপি করলাম।
তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।

মূল অংশ:–


উপরে ASCII সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা দেয়ার মত আলোচনা হয়ে গেলো।
আশা করি ASCII সম্পর্কে আপনার জানার ঘাটতি অনেকাংশেই কমাতে সক্ষম হয়েছি।
এবার আপনি মূল পর্বে প্রবেশ করেছেন।
আপনি যদি আপনার নামকে ASCII Code ইউজ করে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে চান এবং বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের আকৃতি (যেমন: বন্দুক,মসজিদ,বিড়াল,কুকুর,হাত,প্রজাপতি,বাড়ি,হার্ট ইত্যাদি।) রেডিমেড পেতে চান।
তাহলে প্রথমেই ASCII Generator এপসটি ডাউনলোড করে নিন।
যদিও এরকম আরো অনেক এপস Online এ আপনি পাবেন।
তারপরেও এই এপসটিই আমার মতে আপনার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট হবে।
কারণ,

এতে আছে:-


১.যেকোনো লিখা থেকে ASCII Art এ সরাসরি কনভার্ট/রূপান্তর করার সুবিধা।
তাও আবার শতাধিক স্টাইলে!
স্টাইলিশ টেক্সট হোক এবার আরো সুন্দর,সহজেই!
২.রেডিমেড বিভিন্ন আকৃতি ও লিখার সম্ভার।
ফলে এখন আর আপনাকে কষ্ট করে Emoji দিয়ে তৈরি ঘর,মসজিদ,পশুপাখি,লাভ ইত্যাদি খুঁজতে হবেনা।
এক এপস এই সবকিছু পাবেন।
তাও আবার একটি দুটি নয়,একেবারে শত শত…..!
৩.Emoticon বা Emoji ব্যবহার করে বিভিন্ন ছোট ছোট আকৃতির বিশাল সমাহার।
ফলে আপনি এখন সহজেই (),[],{},,/,*,-,-……………….. ইত্যাদি চিহ্ন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের মজার মজার চিত্র বানাতে পারবেন।
৪.ASCII Image ফিচার আপনাকে দিবে যেকোনো ছবিকে ASCII কোড দ্বারা আবৃত করে খুব সুন্দর আকৃতি প্রদানের সুবিধা।
তবে এই ফিচারটি এখনো ততোটুকু উন্নত হয়নি।
তবে আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
৫.এপসটি সম্পূর্ণ অফলাইনে চলে বিধায় কোনো প্রকার ডাটা খরচের চিন্তা নেই।
৬.খুব ছোট সাইজের এপস!
মাত্র ৩.১ এমবি।(এখনো পর্যন্ত……)
৭.সবচেয়ে বড় বিষয় হলো,এই এপসটির ডেভেলপাররা খুব দ্রুত এপসটির আপডেট দিচ্ছেন।
আমি গত তিনদিনে দু’বার আপডেট পেলাম।
তাও আবার অনেক নতুন ফিচার সহ!

সুতরাং,
সবদিক বিবেচনা করে আশা করি এপসটি আপনার খারাপ লাগবেনা।
একবার হলেও অন্তত ব্যবহার করে দেখুন।

তবে এই এপস এর একটা সমস্যা হলো,
স্টাইলিশ নামগুলো কোথাও কপি করে পোষ্ট করলে এলোমেলো হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে সমাধান হলো,
ওদের দেয়া ফিচার।
ফটো আকারে সেভ।
আপনার স্টাইলিশ টেক্সট ছবি আকারে আউটপুট করতে পারবেন গ্যালারিতে।
আশা করা যায় অতি শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
তবে রেডিমেড পিকচারগুলো কিছু ঠিকই পোষ্ট করা যায়।
সেদিক দিয়ে হলেও এপসটি পারফেক্ট!

কিছু স্ক্রিনশট:–


যেকোনো টেক্সট বা লিখাকে আপনি চাইলে ASCII Art এ রূপান্তরিত করতে পারবেন।
তবে এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র ইংরেজি লিখা ই সাপোর্ট করে।
ডেভেলপারদের অনুরোধ করলে হয়তো বাংলা সাপোর্ট ও আনতে পারে।
Feedback দিয়ে দেখতে পারেন।
আমার নামের স্টাইলিশ কিছু রূপ দেখুন:




এবার দেখুন কিছু সুন্দর আকৃতি:
ট্রিকবিডিতে লিখার মাঝখানে স্পেস একটু বেশি শো করে বিধায় সরাসরি কপি পেস্ট করা সম্ভব হলোনা।
করলেও কিসের আকৃতি তা ভালোভাবে বুঝতেন না।
তাই স্ক্রিনশট আকারেই দিতে হলো……….।











কিছু Emoticon এর নমুনা:
এসব Emoticon এর আগামাথা স্ক্রিনশট দেখে কিছুই বুঝবেন না।
তবে ফেসবুকে চ্যাট করার সময়ই এসবের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
গভীরভাবে লক্ষ্য করলে কিছু বুঝলেও বুঝতে পারেন।
দেখুন তো,
কিছু বুঝেন কিনা……….!!


এবার দেখুন ASCII Image ফিচার:


পরিশেষ:–


অনেক তাড়াহুড়োর মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
কলেজে ভর্তির জন্য এতদিন খুব ব্যস্ত ছিলাম।
তাই অনেকদিন নতুন কোনো পোষ্ট করতে পারিনি।
তবে কমেন্ট করে অনেক ভাইয়াকে হেল্প করেছি।
তখন খুব খুশি লাগে,যখন কাউকে হেল্প করার পর সে মন থেকে ধন্যবাদ জানায়।
সবসময়ই চাই সবার সাথে ভালো ব্যবহার করার।
কিন্তু সবসময়ই তা হয়ে উঠেনা।
কারো সাথে যদি খারাপ ব্যবহার করেও থাকি তো,
বিনীতভাবে অনুরোধ “ছোট ভাই” হিসেবে একটু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
বিশেষ করে আল-আমিন ভাইয়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
আপনি হয়তো কিছু কমেন্ট এর জন্য মনে কষ্ট পেয়েছেন।
আমার ফেসবুক আইডিতে আপনার করা কমেন্ট থেকে ধারণা করছি।
কষ্ট পেয়ে থাকলে আপনার কাছ থেকে ক্ষমা আশা করছি।
আর সকলের প্রতি আমার অনুরোধ,
কেউ খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন না।
ভদ্র ভাষায় ও মনের ভাব প্রকাশ করা যায়!

যাইহোক,
বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়ায় হয়তো অন্যদের মত তেমন একটা পোষ্ট করার সুযোগ না ও হয়ে উঠতে পারে।
এমতাবস্থায় যদি আমাকে প্রয়োজন হয় তাহলে,
আমার FaceBook আইডিতে ছোট্ট একটা মেসেজ দিবেন।
ফ্রি হলে ইনশাআল্লাহ্‌ মেসেজের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
যেকোনো ধরণের হেল্প আমার কাছে আশা করতে পারেন।

আর হ্যাঁ,
মাঝে মাঝে কাঁচা হাতে Facebook-এ এই আইডিতে কিছু লিখার চেষ্টা করি।
সময় থাকে তো একটু ঢুঁ মেরে যাবেন।
তবে একটি বিষয় পরিষ্কার থাকা ভালো,
দ্বিতীয় আইডিতে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট না ও করা হতে পারে।
(কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত)

ফোন নাম্বার দিলাম না।
কারণ,
ইউটিউবে ফোন নাম্বার দেয়ার পর থেকে রাতের ঘুম ও হারাম হয়ে গিয়েছিলো!
সে ঝামেলায় আর জড়াতে চাইনা।

আর কমেন্ট এ যদি কেউ সাহায্য চায়,
তাহলে পারলে রিপ্লাই দিয়ে একটু সাহায্য করবেন।

আশা করি অনুমিত ব্যতীত এই পোষ্টটি কোথাও পোষ্ট করবেন না।
পরবর্তী পোষ্ট এর অপেক্ষায় থাকুন।

আর ইচ্ছে করলে আমার YouTube চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
“ধন্যবাদ”