Site icon Trickbd.com

রুট করে নিন আন্ড্রয়েড ৪.২.২ থেকে শুরু করে ৫.০.২ ভার্সন

আসসালামুয়ালাইকুম।কেমন আছেন বন্ধুরা।আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কীভাবে আপনার আন্ড্রয়েড ৪.২.২ থেকে ৫.০.২ ভার্সন।আপনারা এখনও রুট সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।তাই একটু বলে নিতে চাই।পরে আমাকে গালি দিবেন না।
রুট করার সুবিধা

>> পারফরমেন্স বাড়ানোঃবিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা।

>> ওভারক্লকিংকরাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।

>> আন্ডারক্লকিংকরাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।

>> কাস্টমইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।

>> কাস্টম রম:ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

রুট করার অসুবিধা

>> ওয়ারেন্টি হারানোঃডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।

>> ফোনব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।

আচ্ছা যাই হোক,এবার আসি মূল কথায় যার জন্য টিউন করা।

প্রথমে নিচ থেকে Kingroot সফটওয়ারটি ডাওনলোড করে নিন।

ডাওনলোড লিংকঃ
Click To Download

ধাপঃ

১.প্রথমে সফটওয়ারটি ইন্সটল করে ওপেন করুন।(ডাটা কানেকশন অন করে)

২.ওয়েট করুন এবং নিচে Root লেখাতে ট্যাপ করুন।

৩.এবার ১০০% হলে কাজ শেষ।

৪.এবার মেনুতে দেখুন Kinguser এবং চাইনা ভাষার একটা অ্যাপ এসেছে নাকি?(Restart দেওয়ার পরেও আসতে পারে)

৫.আসলে বুঝবেন কাজ শেষ।