সবকিছু ডিজিটাল হয়ে যাওয়ায়, মানুষ এখন তাদের ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার মার্কেটিং, ইত্যাদি সবকিছুই করছে অনলাইনে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই যুগে একজন কন্টেন্ট রাইটার এর চাহিদা অনেক। আপনি যদি একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হন, এঙ্গেজ কন্টেন্ট লিখতে পারেন, ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন। তবে, শুধুমাত্র কন্টেন্ট রাইটিং করেই প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আপনি যদি এখন বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে যান, তবে দেখতে পাবেন অনেকেই কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস দিচ্ছে।
কাজ না থাকলে কি কেউ কন্টেন্ট রাইটিং এর সার্ভিস দিতো? বাংলা কিংবা ইংলিশ উভয় ভাষাতেই কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারবেন। ইংলিশে কন্টেন্ট রাইটিং করতে হলে আপনাকে ইংলিশ জানতে হবে এবং লিখতে দক্ষ হতে হবে। বাংলায় কন্টেন্ট রাইটিং করলে ব্যাকরণ এবং বাংলা ভাষার অন্যান্য বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তো চলুন, কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
কন্টেন্ট কি?
কন্টেন্ট যেকোনো ধরণের হতে পারে। তবে, সাধারণত কন্টেন্ট ৪ ধরণের হয়ে থাকে। নিচে আমি ৪ ধরণের কন্টেন্ট এর নাম উল্লেখ করে দিয়েছি।
- লিখিত কন্টেন্ট
- ভিডিও কন্টেন্ট
- অডিও কন্টেন্ট
- ইমেজ কন্টেন্ট
উপরোক্ত সকল কন্টেন্ট নিয়েই আপনি কাজ করতে পারবেন। আমরা ইউটিউব এ যেসব ভিডিও দেখি, বিভিন্ন মুভি দেখি, এগুলো সব হচ্ছে ভিডিও কন্টেন্ট। আবার, অনেক ধরণের পোস্টার, ডিজাইন ইত্যাদি আর্ট বা ইমেজ হচ্ছে ইমেজ কন্টেন্ট। অডিও গান নিশ্চয়ই শুনেছেন? এসব অডিও গান হচ্ছে অডিও কন্টেন্ট। আপনি আমার এই লেখাটি এখন পড়ছেন, এটি হচ্ছে লিখিত কন্টেন্ট। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, কন্টেন্ট কি এবং কন্টেন্ট কত প্রকার ও কি কি।
কন্টেন্ট রাইটিং কি?
বিভিন্ন ধরণের টপিকে, কোনো বিষয় বা অন্য কিছু লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করাই হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। আমার এই লেখাটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, আপনাদের সাথে কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে আলোচনা করা। তাই, কন্টেন্ট রাইটিং কি, কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শিখবেন এবং কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি। এটাই হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। আপনি যদি গুগলে মানুষ যেসব সার্চ দেয়, সেসব নিয়ে লেখেন, তবে সেটাকে কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং বলা হবে।
কন্টেন্ট রাইটিং হতে পারে নিজের জন্য কিংবা অন্যের জন্য। নিজের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন কিংবা অন্যের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি একজন Digital Marketing Specialist হতে চান, তবে কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কেও বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে।
কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম
কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যদি সম্পূর্ণ ইউনিক, এসইও ফ্রেন্ডলী ভাবে কন্টেন্ট লিখতে পারেন, তবে কন্টেন্ট রাইটিং করে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা এর অধিক অব্দি আয় করতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই কন্টেন্ট রাইটিং জানতে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং করার উপায় জানার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরণের ব্লগ পড়তে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং যেহেতু লেখালেখির কাজ, তাই যারা কন্টেন্ট রাইটিং করে তাদেরকে লেখক বললে ভুল কিছু বলা হবে না নিশ্চয়ই। আর একজন ভালো লেখক হওয়ার চাবিকাঠি কি জানেন? বেশি বেশি পড়া।
ইতিহাসের সকল বিখ্যাত লেখক বই পড়তে ভালবাসতেন। আমরা যেহেতু ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করেছি, তাই কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট/ব্লগ পড়তে হবে। যত বেশি পড়বেন, তত বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। শুধু পড়লেই হবে না, লিখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লেখালেখি করুন। এতে করে আপনার লেখার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। লেখালেখি করলে লেখার মান উন্নত হবে।
ধরে নিলাম আপনি এখন কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন। কিন্তু, শুধু লিখে গেলেই তো সেটা কন্টেন্ট হবে না। আমাদের লেখার একটি উদ্দেশ্য থাকতে হবে। যেমন : আপনি যদি গুগলে র্যাঙ্ক করতে চান, তবে এসইও করতে হবে। বিভিন্ন ধরণের ক্যাম্পেইন করার সময় ইউনিকভাবে সবকিছু উপস্থাপন করতে হয়। এটাকে বলে কপিরাইটিং।
কন্টেন্ট রাইটিং জানলে আপনি ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি সাইটে কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও, চাইলে আমাদের দেশের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ট্রিকবিডি এর মতো আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনার থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখে নিয়ে বিনিময়ে টাকা দিবে। এসব ওয়েবসাইটে কাজ করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং এর ধরণ
ক্ষেত্র বিশেষে আর্টিকেল লেখার নিয়ম পরিবর্তন হতে পারে। অর্থাৎ, আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করেন, তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে হবে। কখনো ব্লগ রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্ক্রিপ্ট রাইটিং ইত্যাদি। ক্লায়েন্ট এর কাজের উপর নির্ভর করে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের টপিক নিয়ে লেখালেখি করতে হবে।
আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন, তবে বাংলাদেশ কিংবা বাইরের দেশের ক্লায়েন্ট পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং করায় দক্ষ হতে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং করে একটি ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করাতে পারলে ক্লায়েন্ট এর কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্যবহুল বিষয় নিয়ে ব্লগ পড়ুন।
উপসংহার
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি পোস্টটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।