ইন্টারনেট জগতের সারফেস ওয়েবে Google অনেকটা অংশ জুড়ে আছে; এই Google যদি না থাকে তাহলে আমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট জগতে অনেকটাই অন্ধ হয়ে পড়বো এমনকি আপনার হাতের এনড্রোয়েড ফোনটিও Google এর সাথে বিভিন্নভাবে প্রযুক্ত। আসলে Google আমাদের কাছে অধিক পরিচিত তার সার্চ ইঞ্জিনের দ্বারা যেমন আমরা Apple লিখে সার্চ দিলে সেটি গাছের আপেল থেকে এ্যাপেল কোম্পানি পর্যন্ত আমাদের সামনে হাজির করে নিমিষেই…সাচ এজ দ্যা গ্রেটেস্ট টেকনোলজি এভার!!!
Google Search Engine আসলে কি?
আসলে গুগল একেবারেই মূর্খ একটি ওয়েবসাইট (হি হি হা হা); গুগল নিজে কিছুই জানে না সে অন্যান্য ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো নিজে ইনডেক্স করে রাখে যাতে আপনি সার্চ দিলে আপনার কিওয়ার্ড এর সাথে সংযুক্ত ওয়েব লিংকগুলো ক্রমান্বয়ে আপনার সামনে উপস্থাপন করে মাত্র।
নিজেই বানান Google এর মতোন একটি ওয়েবসাইট:
আপনি চাইলে নিজেও Google এর মতো একটি ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন অনায়েসেই। বিষয়টাকে সহজভাবে বলতে গেলে অনেক বইকে বিষয়ভিত্তিকভাবে বিভিন্ন র্যাকে সাজিয়ে রাখার সাথে তুলনা করুন; এখানে বই এর পরিবর্তে ডাটা [বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বিষয়ভিত্তিক তথ্য লিংক] ও র্যাকের পরিবর্তে ডাটাবেজ [ডাটা বা তথ্য ধারন করার বেইজ বা ভিত্তি] এবং বইয়ের র্যাক লেবেল হিসেবে কিওয়ার্ড [সার্চ করা শব্দ বা সম্ভাব্য শব্দাংশ] বিবেচনা করুন।
আসুন Google এর মতোন একটা ওয়েবসাইট তৈরীর ভিডিও দেখে আসি [আমি প্রফেশনালি কোন সার্চ ইঞ্জিন লাউঞ্চ করিনি তাই টিউটোরিয়ালে Loacl Host ব্যবহার করেছি]
আপনি যদি এমন একটি Search Engine ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে সবার আগে NeonSearch স্ক্রিপ্ট”টি ডাউনলোড করুন; এবার আপনার হোস্টিং সার্ভারে স্ক্রিপ্ট’টি আপলোড করে এক্সট্রাক্ট করুন….. ব্যাস আপনার সার্চ ইঞ্জিন রেডী!
খেয়াল করুন এখানে স্ক্রিপ্টের Data ফোল্ডারের ভেতরের crawler অংশে ওয়েব-ডাটাগুলো প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজে আকারে সংরক্ষন করা হয়েছে; এছাড়াও indexer হতে আপনি নতুন নতুন ওয়েব- ডাটা ইনডেক্স করতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন টাইপের ওয়েবসাইটগুলোর একটা বড় সমস্যা হলো ব্যান্ড উইথ লিমিটেশেন আবার কেউ যদি DDOS এট্যাক দেয় তাহলে আপনার ওয়েব সার্ভার ডাউন হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে Ddos Protection Script হতে এমন বিড়ম্বনা এড়াতে পারেন। অপরদিকে অনেক সময় ফাইল ম্যানেজারে স্ক্রিপ্ট সারাসরি আনজিপ করতে না পারলে রিমোটকালি আনজিপ করতে unzipper script আপনাকে সহায়তা করবে। আবার ফাইলের সাইজের দরূন সমস্যা হলে আপনি মূল ফাইলটি কতকগুলো ছোট ছোট জিপ কনটেন্ট আকারে বিন্যস্ত করে তারপর ফাইল ম্যানেজারে আপলোড করতে পারেন তথাপি ফাইলজিলা তো আছেই….ব্যাস দিয়ে দিলাম মেগা সলুউশন; এবার কোডিং দিয়ে মন মাতানোর কাজটা শুরু করে দিন!!!
একটি বিশেষ বক্তব্য:
কয়েকদিনে আগে ফেসবুকে একটি স্পন্সরকৃত পোস্ট দেখলাম তাতে আউটসোর্সিং করানোর কোর্স ডিভিডি আকারে বিক্রি করা হচ্ছে (নামটা নাইবা বললাম)। এখানে ডিসকাউন্টে এমনকি ৭০%-৮০% ছাড়েও ১০/১২ হাজার টাকায় নাকি ডিভিডি ডিস্ক বিক্রি হয় হয় আইমিন কোর্স বিক্রি করা হয়।
এখন ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি আউটসোর্সিং শিক্ষার এইসব কোর্সগুলো আদতে শুভংকরের ফাঁকি ( আমি মেনেই নিচ্ছি যে আমাদের প্রত্যেকের শিক্ষার এবং সময়ের মূল্য আছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করার রাইটও আমাদের সবারই আছে কিন্তু সেই শিক্ষা নামক বস্তুটাকে চোখের আড়ালে এমন কদর্যভাবে ইউটিলাইজ করে পকেট পুরানোর নাম আর যাই হউক আউটসোর্সিং হতে পারে না)।
একটা জিনিস আপনারা খুব ভালো মতোই লক্ষ্য করবেন যে যারা আউটসোর্সিং করে সফলতার কথা বলে তারা প্রায়ই কোর্স করান/কোর্স বিক্রি করেন তাহলে তিনি কেন নিজের কোর্সটির শিক্ষাকে ইউটিলাইজ করে বড়লোক হচ্ছেন না?? নাকি সেই শিক্ষার চেয়ে শিক্ষাটাকে বিক্রি করায় বেশী লাভবান???
আমরা কেউই বোকা হতে চাইনা; তাই নিজের কমনসেন্সকে সবসময় কাজে লাগান তাতে আউটসোর্সিং করে পকেটে দশ পয়সা হয়তো আসবেনা সত্য তবে অন্তত পকেটের দশ টাকাও বৃথা যাবে না!
ফেসবুকে আমি→নিশান আহম্মেদ নিয়ন
আল্লাহ হাফেজ