Site icon Trickbd.com

সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার Complete guideline (A – Z) | Must watch

বর্তমান যুগ হচ্ছে কম্পিউটারের যুগ৷ আধুনিক বিশ্বের অধিকাংশ কাজই হয়ে থাকে কম্পিউটার এর মাধ্যমে। আর কম্পিউটার এর প্রাণ বলা যেতে পারে সফটওয়্যার গুলোকে। সফটওয়্যার ছাড়া কোনো কম্পিউটার কাজ করতে পারেনা।  নিত্যদিন কম্পিউটার আধুনিক হচ্ছে আর আমরা সেবা পাচ্ছি, এর প্রধান কারন হচ্ছে এই সফটওয়্যার। বর্তমান বিশ্বে যেহেতু কম্পিউটার এর মাধ্যমে সকল কাজ হচ্ছে , সেজন্য সফটওয়্যার ডেভেলপা্রদের রয়েছে আকাশচুম্বী চাহিদা। প্রায় সকল অফিসের কাজেই কম্পিউটার প্রয়োজন হয়, আর অফিসের ই ওয়েবসাইট বা নিজস্ব পোর্টাল রয়েছে। তাই ডেভেলপারদের সকল কর্পোরেট অফিসে প্রয়োজন হয়ে থাকে। আকর্ষনীয় বেতন ও কম্পিউটার এর প্রতি ভালোবাসার কারনে তাই সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। সফটওয়্যার ডেভেলপার যেভাবে হবেন তার সম্পূর্ণ গাইডলাইন নিয়ে আজকের এ লেখাতে আলোচনা করা হবে। 

 

সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে যেসকল গুনাবলী থাকা আবশ্যক

 

 

কিভাবে সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়া যায় –

 

নিজের লক্ষ্য স্থির করুন

সফটওয়্যার ডেভেলপার হয়ে উঠতে আপনার শুরুতেই আপনাকে আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে স্থির ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। সফটওয়্যার ডেভেলপার এর কাজ ও বেতন যেমন আকর্ষনীয়, তেমনি এই সেক্টরে রয়েছে ব্যাপক প্রতিযোগীতা। তাই আপনাকে শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি আসলে এই সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার মাধ্যমে নিজেকে কোন কোম্পানী/জব সেক্টরে কি কিরকম পদে দেখতে চান। বাংলাদেশের স্বনামধন্য  সফটওয়্যার কোম্পানি’র প্রায় সবগুলোর অফিস ঢাকা, চট্টগ্রামে অবস্থিত৷ তাই আপনি যদি চান সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি উপার্জন করবেন তবে আপনাকে এ ব্যাপারে শুরুতেই আপনাকে যে নিজের শহর ত্যাগ করে দেশের বড় কোনো কোম্পানীর অফিসে জয়েন করতে হবে এরকম মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়া কোনো একটি নির্দিষ্ট জব ফিল্ড না। এতে অনেক অনেক প্রকারভেদ আছে। আপনি নির্দিষ্ট ঠিক কি বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান সে বিষয়ে শুরুতেই পরীকল্পনা সাজিয়ে নেওয়া উচিত যাতে পরবর্তীতে কোনোরকম সন্দেহ বা দোটানার উদ্রেক না হয়। 

 

প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী নিশ্চিত করুনঃ 

 

ইন্টারনেটের এই যুগে অনলাইনে অনেক রিসোর্স সহজলভ্য আছে তা সত্যি৷ অনেকেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই অনলাইনে বিভিন্ন রিসোর্স থেকে কোডিং, সফটওয়্যার ডেভেলপিং শিখে নেয়। তবে, আপনি যদি চান যে গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট এর মতো বড় বড় কোম্পানীতে আপনি জয়েন করবেন, অবশ্যই আপনাকে সেজন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের প্রমান দিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর অন্তত ব্যাচেলর ডিগ্রী বা অনার্স ডিগ্রী থাকা প্রয়োজন যদি এধরণের বড় বড় টেক জায়ান্ট কোম্পানীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতে চান। তবে, প্রতিষ্ঠানের বাইরে আপনাকে নিজেকেই কোডিং করা অনুশীলনের মাধ্যমে এবং অনলাইনের রিসোর্স থেকেই বেশি শিখতে হবে। আপনার যদি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী নাও থাকে, তবে আপনি যদি স্কিলড হন এবং আপনার স্কিলের প্রমাণ দিতে পারেন, এই সেক্টরে অবশ্যই আপনি সফল হবেন। আপনি চাইলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে তখন নিজের ই আইটি ফার্ম বা স্টার্টআপ শুরু করতে পারবেন৷ তবে বড় বড় কোম্পানী গুলোতে চাকুরি করতে চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী থাকাটা প্রয়োজনীয়। যেহেতু আপনি লক্ষ্যস্থির করেছেন সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার তাই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনাও এই বিষয় নিয়ে করলেই আপনার জন্য উত্তম হবে। 

 

কোডিং ল্যাংগুয়েজ এ দক্ষতা অর্জন করুনঃ 

 

সফটওয়্যার ডেভেলপার দের কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের ভাষা বা কোডিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে ধারনা থাকা আবশ্যক। প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি বড় অংশ আর এই সেক্টরে উন্নতি করতে চাইলে অবশ্যই কোডিং ল্যাংগুয়েজ এ পারদর্শী হতে হবে। পাইথন, সি++, জাভাস্ক্রিপ্ট এধরনের অন্তত একটি বা আপনার যে কয়টি প্রয়োজন ততটি কোডিং ল্যাংগুয়েজ ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করে নিন। 

 

অভিজ্ঞ ডেভেলপারদের লেখা কোড পড়ুনঃ 

 

সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার জন্য অন্যতম যে স্কিলটি অর্জন করতে হয় তা হলো অন্যান্য ডেভেলপারদের কোড পড়তে পারার স্কিল। এর মাধ্যমে আপনি শিখতে পারবেন কোড লেখা কিংবা সফটওয়্যার ডিজাইনিং এর জন্য অভিজ্ঞ সফটওয়্যার ডেভেলপার রা কি কি ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন, আপনি কোড লিখতে গিয়ে যেধরনের সমস্যাগুলো ফেস করছেন তা তারা কিভাবে সমাধান করে ইত্যাদি। এভাবে আপনি আপনার স্কিলকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার জন্য কয়েকধাপ এগিয়ে যেতে পারবেন। অভিজ্ঞ সফটওয়্যার ডেভেলপারদের কোড পড়া ও তার থেকে শেখার জন্য Github এর মতো ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। এ সকল ওয়েবসাইটে কোডের সকল ডকুমেন্টশন স্ঠিক না হলেও বেশিরভাগ সোর্স কোড ই সঠিক হয়ে থাকে। এ সকল সাইট থেকে কোড পড়তে পারার স্কিল অর্জনের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোডটি আসলে কিভাবে কাজ করে। 

 

সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন

বর্তমান এই যুগে যেকোন কর্পোরেট সেক্টরে নেটওয়ার্কিং এর গুরুত্ব অনেক। ভয়াবহ প্রতিযোগীতা মূলক এই চাকরির বাজারে আপনার নেটওয়ার্ক না থাকলে অনেক সুযোগ থেকে আপনি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও  বঞ্চিত হতে পারেন। তাই আপনি যদি সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে চান, আপনাকে অবশ্যই সফটওয়্যার ডেভেলপারদের কমিউনিটির সাথে পরিচিত এবং সক্রিয়ভাবে সংযুক্ত থাকতে হবে। এর ফলে আপনার দুইদিক দিয়ে সুবিধা হবে। প্রথমত আপনি অভিজ্ঞ সফটওয়্যার ডেভেলপারদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় অন্য কোন ডেভেলপার এর পরামর্শ ও সাহায্য পাবেন। এভাবে আপনার স্কিল যেমন উন্নত হবে তেমনি অনেক ঝামেলা থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, আপনার কর্মজীবনে এই নেটওয়ার্কিং আপনাকে অনেক কাজে দিবে। গুগল, মাইক্রোসফট বা এধরনের বড় কোম্পানীতে যদি আপনার নেটওয়ার্ক এর কেউ কর্মরত থাকে তাহলে নতুন কর্মী নেওয়ার সময় তারা আপনাকে রেফার করবে, আপনার জন্য তাই চাকরিটি পাওয়া সহজতর হবে। এছাড়াও চাকরিজীবনে প্রমোশন বা অন্যান্য অনেক সাহায্য পাবেন যদি আপনার একটি ভালো নেটওয়ার্ক থাকে। তাই সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার এ সফল হতে এরকম কমিউনিটি যুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করুন। বিশেষ করে আপনি যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়ালেখা করছেন, সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা আপনার সিনিওর সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সাথে অবশ্যই সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন।

নিজস্ব কিছু প্রজেক্ট তৈরি করুন 

 

আপনি যখন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কোনো আইটি কোম্পানীতে যোগদান করতে যাবেন, কিংবা কোন ক্লায়েন্ট এর কাছে নিজেকে উপস্থাপন করবেন, তারা অবশ্যই আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইবে। সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে আপনি কতটা স্কিলড তার জন্য কেবলমাত্র আপনার প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট যথেষ্ঠ নয়। কারন সফটওয়্যার ডেভেলপিং একটি সৃজনশীল কাজ। তাই আপনি যাতে চাকরির ইন্টারভিউতে কিংবা ক্লায়েন্টের কাছে নিজেকের যোগ্যতা উপস্থাপনের সময় বাকিদের থেকে নিজেকে আলাদাভাবে তুলে ধরতে পারেন, সেজন্য আপনার নিজের করা কিছু প্রজেক্টের প্রফাইল রেডি রাখুন। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং কম্পিটিশন বা অন্যান্য কম্পিটিশনে অংশগ্রহন করুন, এসকলের প্রতিযোগীতার অর্জন উল্লেখ করলে আপনার সিভির মূল্য কয়েকগুন বেড়ে যাবে। আপনার সেরা প্রজেক্টটিকে আপনার যোগ্যতার প্রমানস্বরূপ এভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন। যদি আপনার প্রজেক্ট বিনামুল্যে করতে হয়, তাও আপনার নিজের প্রয়োজনেই দারুনভাবে একটি বা কয়েকটি প্রজেক্ট এভাবে তৈরি করে রাখুন। প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট , নেটয়ার্কিং এর চেয়ে এই সেক্টরে লোকজন আপনাকে সিলেক্ট করার সময় আপনার কাজ আসলে কেমন তার সরাসরি প্রমানকেই বেশি প্রাধান্য দিবে। 

 

ইন্টারভিউ এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলুন

 

 

সফটওয়্যার ডেভেলপার হয়ে অধিকাংশের স্বপ্ন থাকে গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যাডোবি কিংবা এরকম বড় বড় টেক জায়ান্ট কোম্পানীতে চাকরি করার। কারন এসব কোম্পানীতে যেমন রয়েছে সৃজনশীল প্রতিভাকে স্পম্পূর্ণভাবে বিকশিত হতে দেওয়ার সুযোগ, তেমনি রয়েছে আকর্ষনীয় অংকের বেতন। কিন্তু এ শুধু আপনি একা নন, এ স্বপ্ন দেখে থাকেন বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তাই এসব কোম্পানীতে বাছাই প্রক্রিয়া বেশ জটিল। আপনার সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার উদ্দেশ্য যদি হয় এসব কোম্পানীতে জয়েন করা, তবে আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং এর পাশাপাশি এসব কোম্পানীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আগাম ধারনা রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহন করে রাখতে হবে। সাধারনত এ সকল কোম্পানীতে নিয়োগ এর ক্ষেত্রে তিন ধাপে ইন্টারভিউ হয়ে থাকে। প্রাথমিক আবেদনের পর অনলাইনে একটি স্ক্রিনিং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে অধিকাংশ প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর টেলিফোন কিংবা বর্তমানে অনলাইনে অন্য কোন উপায়ে একটি লম্বা সময়ব্যাপী ইন্টারভিউ হয়ে থাকে। তাতেও যদি প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়, তাহলে সরাসরি অফিসে গিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় সিলেক্ত হতে হয়। কোম্পানী ভেদে এইসকল ইন্টারভিউ এবং প্রশ্নের ধরন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তাই কেবলমাত্র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং স্কিলের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে, আপনার কাঙ্খিত কোম্পানীটির ইন্টারভিউ এর প্রসেস সম্পর্কে আগাম জেনে সে বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আপনার পরিচিত নেটওয়ার্ক বা ভার্সিটির কোন সিনিওর যদি এসকল কোম্পানীতে কর্মরত থেকে থাকেন তবে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এভাবেই পরীকল্পনামাফিক এগোলেই আপনি আপনার লক্ষ্যে সফল হতে পারবেন আশা করি।

 

শেষকথা

 

সফটওয়্যার ডেভেলপিং বর্তমান যুগের প্রেক্ষিতে সবচাইতে বেশি চাহিদাসম্পন্ন সেক্টরগুলোর একটি। আজকের এ লেখার উদ্দেশ্য সফটওয়্যার ডেভেলপিং এর কোনো একাডেমিক বিষয় নিয়ে আলোচনা ছিলোনা। লেখাটিতে সফটওয়্যার ডেভেলপার হয়ে উঠার জন্য আপনাকে যেরকম রোডম্যাপ অনুযায়ী এগোতে হবে সে সম্পর্কে কিছু গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন। সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে আপনার কর্মজীবন সফল হোক, এমনটাই কামনা করছি। 

 

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীঃ

 

সফটওয়্যার ডেভেলপার হওয়ার জন্য কি একাডেমিকভাবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বা কম্পিউটার সাইন্স সাবজেক্ট নিয়ে পড়া জরুরি? 

 

না, বাধ্যতামূলক নয়। বর্তমানে অনলাইনে এত পরিমান রিসোর্স আছে যে আপনি সেসব অধ্যয়ন ও প্রাকটিসের মাধ্যমে বেশ দক্ষ একজন ডেভেলপার হয়ে উঠতে পারবেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ডেভেলপার এর ই গ্রাজুয়েশন করার সাব্জেক্ট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নয়। তবে বিভিন্ন টেক জায়ান্ট কোম্পানীতে উচ্চবেতনে চাকরির জন্য আপনার এ বিষয়ের উপর একাডেমিক সার্টিফিকেট থাকা প্রয়োজন। 

 

সফটওয়্যার ডেভেলপারদের জন্য কেমন কম্পিউটারের প্রয়োজন ?

 

সফটওয়্যার ডেভেলপারদের জন্য অবশ্যই ভালো মানের কম্পিউটার প্রয়োজন। অফিসের কাজের জন্য যেসকল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় তার র‍্যাম, প্রসেসর কিছুর ই ক্ষমতা অত বেশি থাকেনা। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ভালো কনফিগারেশন এর কম্পিউটার দরকার কেননা তাদের অনেক বড় বড় অ্যাপ নিয়ে কাজ করতে হয়। যদি সাধারন কম্পিউটার হয় তবে এ অ্যাপগুলোর কারনে কম্পিউটার হ্যাং করতে পারে বা ঠিকভাবে ফাংশন না করতে পারে। কোন মডেলের আর কেমন কনফিগারেশন এর কম্পিউটার কাগবে তা কাজের ধরণ কিরকিমি. তার উপর নির্ভর করে, তাই নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব নয়।  

 সফটওয়্যার ডেভেলপারদের মাসিক আয় কিরকম ?

   

সফটওয়্যার ডেভেলপারদের বড় অংশই স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট বেতন থাকে না, ক্লায়েন্টদের সাথে কাজের বিনিময়ে অর্থের চুক্তি হয় এবং সে অনুযায়ী তারা আয় করে থাকেন।  ডেভেলপারদের জন্য প্রকৃতপক্ষে সকল ইনকাম রেঞ্জের চাকরি রয়েছে। একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের মাসিক আয় তাই বিশ হাজার থেকে শুরু করে দুই কোটি টাকাও হতে পারে। এই সেক্টরে আপনি কতটা ইনকাম করবেন তা সম্পূর্নভাবে নির্ভর করবে আপনি কতটা দক্ষ এবং সৃজনশীল তার উপর।    

Love more-
ওয়ার্ডপ্রেস এডমিন প্যানেল এর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে যা করনীয়

Most common 7 wordpress error users often face in 2022 and their solutions

Exit mobile version