করোনাভাইরাস খুবই সংক্রমক একটি রোগ একটি একজন থেকে আরেকজনে খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তাই আপনি যদি আপনার পরিচয় গোপন করে একজন ডাক্তারের কাছে যান, অথবা ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান তাহলে আপনি আপনার ডক্টর সেই হাসপাতালে উপস্থিত সকল রোগী। অথবা ফার্মেসীতে গেলে সেই ফার্মেসিতে উপস্থিত সকল মানুষকে এবং তাদের পরিবারের সবাইকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে দিলেন!
তাই অবশ্যই আগে ফোন করুন এবং লক্ষণ গোপন করে কোথাও যাওয়া যাবেনা।
কোন কোন ক্ষেত্রে হাসপাতালে যেতে হবে আর কোন ক্ষেত্রেই বা বাসায় থাকতে হবে?
যদি কভিড-১৯ এ পজেটিভ হন তাহলে অবশ্যই বাসায় আলাদা ঘরে থাকতে হবে, এবং পাশাপাশি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা চলবে শুধু মাত্র গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া বাসাতেই লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা সম্ভব, নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা ই করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যান। তবে সংক্রমিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি জরুরী লক্ষণগুলো দেখা দেয় যেমন হচ্ছে গিয়ে – শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা দেখা দেয় তাহলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
করোনাভাইরাস সনাক্ত করতে কি পরীক্ষা করতে হয়?
ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরে কি করা হয়?
লালা পরীক্ষায় যদি আপনার ভাইরাস পজেটিভ হয় তাহলে আপনার শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা বিবেচনা এবং আপনার মধ্যে সংক্রমনের মাত্রা কতটুকু সেটা বোঝার জন্য, চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা করতে পারেন যেমন ব্লাড কাউন্ট বা রক্তের পরিমাপ ভাইরাস সংক্রমনের মাধ্যমে আপনার শরীরে নিউমোনিয়া হচ্ছে কিনা সেটা বোঝার জন্য ইত্যাদি পরীক্ষা করতে পারেন। তবে অবশ্যই সেটা ভাইরাস পজিটিভ হলে!
ডাক্তারের কাছে তথ্য গোপন করলে ঝুঁকি কি?
আপনি যদি আপনার তথ্য গোপন করে বা উপসর্গ গোপন করে ডাক্তারের কাছে যান বা ফার্মেসিতে যান তাহলে আপনি আপনার ডাক্তার সহ হাসপাতালের সকল রুগি ফার্মেসিতে উপস্থিত সকল মানুষ এবং তাদের পরিবারকে করণা সংক্রমণে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে!
রোগীকে ভর্তি করার সময় হাসপাতালে ডক্টর কে অবশ্যই সঠিক তথ্য জানাবেন এবং আপনার যদি কোন ভাইরাসের পরীক্ষাটি হয়ে থাকে তবে সেটি সম্পর্কে সঠিক এবং সত্য তথ্য দিয়ে তাকে সহায়তা করবেন এতে করে আপনার চিকিত্সার দ্রুত সম্ভব হবে। মনে রাখবেন একটু সচেতন হলেই আমরাই পারি করোনার মত মহামারী কে থামাতে।