পৃথিবী জুড়ে প্রায় দুই বছর যাবৎ করোনা মহামারী চলতেছে। যার ফলে জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে পুরো পৃথিবীর চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় করোনা মহামারীকে নির্মূল করার জন্য ভ্যাকসিন এর আবিষ্কার বা আবির্ভাব হয়েছে। তাই এখন প্রত্যেকটি দেশেই চেষ্টা করতেছে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার মাধ্যমে করোনা মহামারী থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে। তো আমাদের দেশেও বর্তমানে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার কার্যসম্পাদন সুরক্ষা নামক একটি সাইট বা অ্যাপের সাহায্যে নিবন্ধন পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। তো আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছেন অনেকদিন হয়ে গেছে অর্থাৎ দুই থেকে তিন মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখনো টিকার বা ভ্যাকসিনের কোন এস.এম.এস আসে নাই। যার ফলে আপনি টিকা গ্রহণ করতে পারছেন না।
বিশেষ করে যারা বিদেশগামী রয়েছেন তাদের জন্য এটি বেশ বড় সমস্যা। কেননা এর জন্য আপনি বিদেশে যেতে পারছেন না। তো এর জন্য কি করা যায় অর্থাৎ কি করনীয় এই বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। তো চলুন শুরু করা যাক।
সুরক্ষাতে নিবন্ধন করার পর দীর্ঘদিন পার হওয়ার পরও যেহেতু টিকার কোন এস.এম.এস আসছে না। সেহেতু এর সমাধানের জন্য আমরা তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করব। এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে যার যেভাবে কাজ হয় আরকি।
প্রথমত আমরা মোবাইল কলের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করব। তো এর জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলের ডায়াল অপশনে গিয়ে জাতীয় হেল্প লাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন। কল করার পর ০ চাপুন। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। যদি কলটি কেউ রিসিভ করে তাহলে তার সাথে আপনার এস.এম.এস এর বিষয়ে কথা বলুন এবং সমাধান নিয়ে নিন। উল্লেখ্য যে, উক্ত নম্বরে কল করলে অধিকাংশ সময়ই ব্যাস্ত দেখায়। সহজে কানেক্ট হওয়া যায় না তাই ধৈর্য সহকারে চেষ্টা করুন। বিশেষ করে গভীর রাতে অথবা ভোর বেলায় চেষ্টা করুন। এছাড়াও আপনি চাইলে ১৬২৬৩ নম্বরেও ফোন দিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত আমরা ইমেইল করার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করব। আমরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব ইমেইল অ্যাড্রেসে ইমেইল করব। যার জন্য প্রথমে আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্টটি অপেন করুন এবং কম্পোজ বাটনে ক্লিক করে To তে surokkha@doict.gov.bd এবং CC বা BCC তে info@mis.dghs.gov.bd অ্যাড্রেস লিখে মেইল লেখার জায়গায় লিখতে পারেন যে, “আমি প্রায় দুই মাস পূর্বে সুরক্ষাতে নিবন্ধন করেছি। আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-০০০০০০০০০০০০ বা আমার পাসপোর্ট নং-০০০০০০০০০০০০ এবং মোবাইল নং-০০০০০০০০০০০০ দিয়ে আমি নিবন্ধন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন এস.এম.এস আসেনি।” এইভাবে লিখে আপনি মেইল সেন্ড বাটনে ক্লিক করে মেইল পাঠিয়ে দিন। তারপর মেইলের রিপ্লাই পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।
তৃতীয়ত আমরা সুরক্ষাতে নিবন্ধন করার সময় টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যে কেন্দ্র নির্বাচন করেছেন। সে কেন্দ্রে গিয়ে যেখানে টিকা প্রদান করা হয় সেখানে দায়িত্বরত কোন কর্মকর্তার সাথে এস.এম.এস না আসার বিষয়ে কথা বলুন। যদি তাদের ঐখানে সমাধান করার কোন পন্থা থাকে তাহলে তারা সমাধান করে দিবে। এটি বলার কারণ হচ্ছে আমি নিবন্ধন করার প্রায় দুই থেকে আড়াই মাস পর এস.এম.এস পেয়েছি এবং ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রে গিয়েছি। তো সেখানে আমার মত একজন টিকা বা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর সাথে আলাপ হয়। তিনি বললেন যে, তার নাকি প্রায় দুই মাসের বেশি সময় হয়ে গেছে কিন্তু কোন এস.এম.এস আসেনি। তাই তিনি নিবন্ধন করার সময় যে কেন্দ্র নির্বাচন করেছেন অর্থাৎ আমি যে কেন্দ্রে টিকা বা ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে গিয়েছি সে কেন্দ্রে গিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি খুলে বলেন। তখন সেখানে দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা সুরক্ষার সার্ভার থেকে সাথে সাথে ওনার নিবন্ধন করার সময় যে মোবাইল নম্বর দিয়েছেন সে নাম্বারে এস.এম.এস পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে তিনি ঐদিনই টিকা বা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
পোস্টের প্রথমেই বলেছি যে, সুরক্ষাতে নিবন্ধন করার পর যাদের দুই থেকে তিন মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু কোন এস.এম.এস আসেনি। তাদেরকে উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য তিনটি পদ্ধতি আলোচনা করব। তাই আমি আমার লেখা মোতাবেক উপরে তিনটি পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা করেছি। এখন আপনাদের যার যেভাবে সুবিধা হয় অর্থাৎ উপরোল্লিখিত যে মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন সে সেভাবেই চেষ্টা করেন। প্রথম মাধ্যমে কাজ না হলে দ্বিতীয় মাধ্যমে ব্যবহার করেন অথবা তৃতীয় মাধ্যম ব্যবহার করেন। আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। বিশেষ করে বিদেশগামীদের জন্য।
তথ্যসূত্র ও ছবি সংগ্রহ: সুরক্ষা ফেসবুক পেজ।