শুরুর থেকে যদি শুরু করি,
What’s Fundamental analysis?
যদি আমার ভাষায় বলি, Fundamental analysis (FA) হচ্ছে একধরনের মেথড যার মাধ্যমে কোন প্রজেক্টকের ভাল – মন্দ মূল্যয়ন করা যায় ও সেই সাথে আপনাকে একটি কম বেশ ধারনা দিবে যে প্রজেক্ট আগামীতে কেমন করতে পারে৷
আমি Fundamental এনালাইসিস এর সময় কি কি দিক নজরে রাখি?
১. Social media activities
কোন প্রজেক্ট সম্পর্কে জানতে হলে সবার আগে Coingecko ও ওই প্রজেক্ট এর সোস্যাল মিডিয়াগুলোতেই টোকা দেই৷ Coingecko আপনাকে Token metrics (নিচে বিস্তারিত লিখবো) & brief introduction দিয়ে সহযোগিতা করে। আর সোসিয়াল মিডিয়া তাদের প্রজেক্ট এর এনগেজমেন্ট ও কোয়ালিটি বুঝতে সহযোগিতা করে। হাইপ ক্রিয়েট করতে ভাল ও গ্রোয়িং কমিউনিটির বিকল্প নেই।
২. WTF project do?
এটা খুব ইম্পোর্ট্যান্ট। প্রজেক্ট কিসের উপর কি কাজতেছে বা করবে সেটার স্বচ্ছ্য ধারনা থাকা। আপনাকে এটা জানতে হবে ও বুঝতে হবে যে আপনি যে প্রজেক্ট এ ইনভেস্ট করতে চাচ্ছেন সে প্রজেক্ট কি কাজ করবে ও সেই ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা কেমন। ধারনা সরূপঃ $LINK এর মুল কাজ কি? $LINK মুলত প্রাইস ডাটা সাপ্লাই করে স্মার্ট কন্ট্রাক্ট এর মাধ্যমে ডেক্স ও ওয়েবসাইট গুলোতে। এটাই তাদের বড় ইউসকেস অথবা বলতে পারেন বেস্ট এডপ্টেড ইউজকেস। শুধু প্রাইস ডাটা না, যেকোন ডাটা সাপ্লাইতে $LINK এর স্মার্ট কন্ট্রাক্ট সাহায্য করতে পারে। ২০২০ সালের শুরুর থেকে যখন DE-FI প্রজেক্ট আসা শুধু করলো তখন $LINK ও $BAND হিউজ পাম্প দেয়া শুরু করে যার কারন একটাই। তাদের স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ডেক্স গুলা প্রাইসে আপডেটের জন্য ইউজ করা শুরু করে। সো,
* প্রজেক্ট কি করে
* প্রজেক্ট এর কম্পিটিটর কারা
* এই প্রজেক্ট এ ইউনিক কি তা জানা আবশ্যক।
Tldr : প্রজেক্ট সম্পর্কে জানতে Whitepaper টা পড়া বাধ্যতামূলক আরো যতই বোরিং লাগুক ?।
৩. Market cap & Tokenomics : টোকেনোমিকস অনেক বড় রোল প্লে করে একটা কয়েন এর প্রাইস মুভমেন্ট এ। সত্যি বলতে এক্সপ্লেইন করতে আলাদা আর্টিকেল লিখতে হবে। ? সংক্ষেপের রাস্তা ধরি, Market cap হচ্চে একটা টোকেন / প্রজেক্ট এর মার্কেট ভ্যালু। এটা যত কম হবে ততই বেশি রিস্ক ও প্রফিট জেনারেট করবে।
ধরে নিই, হিরো আলম টোকেন এর M. ক্যাপ ১ মিলিয়ন সো যদি কেউ আরো ১ মিলিয়ন (টেকনিকালি এত লাগেনা) ইনভেস্ট করে তাহলে প্রাইস ১০০% হবে যাবে অন্যদিকে ১০০ মিলিয়ন এর মার্কেট ক্যাপ ১০০% আপ হতে ১০০ মিলিয়ন ইনভেস্ট লাগবে। আবার এই ১০০ মিলিয়ন টা যদি ১ মিলিয়ন এর মার্কেট ক্যাপ এ ইনভেস্ট করা হয় তাহলে টোকেন ১০০ গুন আপ হবে।
So simple math is, Low M.cap = high risk, high reward.
So 20-30X এর জন্যঃ
* লো মার্কেট ক্যাপ কয়েন সিলেক্ট করতে হবে
* কোন কম্পপিটিটর থাকলে তার মার্কেট ক্যাপে ৪০-৫০% আনুমানিক যাবে ধরে এস্টিমেট করতে পারেন।
* প্রজেক্ট এর কাজ কতটুকু Real world problem সলভ করে সেটা জানুন।
* প্রজেক্ট ইউনিক কিছু থাকতে হবে
Tokenomics : M. cap ডিসাইড হয় সার্কুলেটিং সাপ্লাই ও প্রাইসের উপর। সো সাপ্লাই আপনাকে সাইকোলজিক্যাল প্রাইস এক্সপেক্ট করতে হেল্প করে।
যেমনটা বলেছি টোকেনমিকক্স অনেকদিক লক্ষনীয়। Allocation major role play করে৷ Private sale, public sale, locked tokens, team funds ceo funds অনেক ইম্পোর্টট্যান্ট।
কেন? কারন প্রত্যেকটা ইন্সটিনক্ট প্রাইসে ইম্প্যাক্ট ফেলতে পারে। XRP – এর নাম তো সবাই জানেন। যতটুকু মনে পরে, টোটাল সাপ্লাই এর অর্ধেক প্রজেক্ট এর টিম এর কাছে আছে যার মধ্যে তাদের Ceo প্রত্যেকমাসে মিলিয়নস টোকেন সেল করে যা টোকেন এর প্রাইসে ইম্প্যাক্ট ফেলে। প্রাইসের অরগানিক গ্রোথ আটকায়। তাছাড়া রোজ ই হাজারো প্রজেক্ট আসে যারা আনলিমিটেড সাপ্লাই বা টোকেন প্রাইস ডাম্প করে হারিয়ে যায়।
Team & team’s background :
এক্সপেরিয়েন্স টিম ও knowledgeable টিম ছাড়া খুব কম প্রজেক্ট ই সাক্সেসফুল হয়। সো টিম এর আগের কি এক্সপেরিয়েন্স আছে, কোন সেক্টরে আছে সেসবে নজর দিতে হবে। এস্টাবলিশ নাম আপনাকে প্রজেক্ট এর টিম কতটা স্ট্রং তা জানতে সহায়তা করে।
Partnerships & ventures :
প্রজেক্ট এর পার্টনারশিপ ও কারা ইনভেস্টর সেসব ও জেনে নেয়া ভালো। কারন ভালো ভেঞ্চাররা ভালো প্রজেক্ট এই ইনভেস্ট করে। এবং পার্টনারশিপ আপনার প্রজেক্ট এর এডোপশন ও কন্টিনিউয়াস কাজের একটা দিক প্রকাশ করে।
Conclusion – ব্যাস, এগুলোই নজরে রেখে একটা কম্পলিট ধারনা নিয়ে প্রজেক্ট কে মূল্যায়ন করে নিতে পারেন।
ভাল প্রজেক্ট হলে পাম্প নিতে সময় লাগতে পারে কিন্তু সেই সময়টার যথার্থ রিওয়ার্ড ও পাওয়া যায়।