আসসালামুআলইকুম,
কেমন আছেন সবাই? ইদানিং প্রায়ই বিভিন্ন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ হ্যাক হচ্ছে। আর হ্যাক এর পরেই টরনেডোক্যাশ ইউজ করে ফান্ড হ্যাকার এর ওয়ালেট এ ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়। তো কিভাবে কাজ করে এই সিস্টেমটি? সেটি নিয়েই আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আমরা জানি, যখন এক এড্রেস থেকে অন্য এড্রেস এ কয়েন ট্রান্সফার করি তখন কোন এড্রেস থেকে কোন এড্রেস এ ট্রান্সাকশন টা হয়েছে সেটা দেখা যায় ব্লক স্ক্যানার এর মাধ্যমে।
Tornadocash এর একটা ইউনিক ফিউচার আছে সেটা হলো ট্রান্সাকশন হাইড অ্যান্ড সিক এর মতো।
Tornadocash হচ্ছে প্রাইভেসি ফোকাসড একটি স্মার্ট কন্ট্রাক্ট প্লাটফর্ম যেখানে আপনি ট্রান্সাকশন প্রাইভেটলি করতে পারবেন। ও ইনটারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে আপনার এড্রেস থেকে অন্য এড্রেস এ পাঠাতে পারবেন কোন রকম অন চেইন রেসিপিএন্ট সোর্স ছাড়া।
ধরুন, আপনার 10 ETH আছে XXXA এড্রেস এ ও সেটা আপনি প্রাইভেটলি XXXB এড্রেস এ সেন্ড করতে চান কাউকে না জানিয়ে। কিভাবে করবেন? তখনই Tornadocash এর কাজ আসতে পারে।
আপনি তাদের প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে ১০ ETH সে প্ল্যাটফর্ম এ ডিপোজিট করতে পারেন ও সেখান থেকেই XXXB তে সেন্ড করে দিতে পারবেন। ডিপোজিট এর সময় XXXA এড্রেস এ স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ট্রান্সাকশন লিখা থাকবে ও XXXB তে সেন্ড করলেও সেটা স্মার্ট কন্ট্রাক্ট কল দেখাবে কিন্তু কোন এড্রেস থেকে আসছে সেটা লিখা থাকবেনা।
হ্যাকার রা মূলত ফান্ড ট্রাকিং মুক্ত করতে এটার ইউজ করে এক এড্রেস থেকে অন্য এড্রেসে ফান্ড মুভ করে নেয়। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এটা করলে হ্যাকার এর ফান্ড কোথায় আছে সেটা কেউ ট্র্যাক করতে পারেনা ও হ্যাকার ইজিলি ফান্ড Fiat করতে পারে। আর বিশেষত এই পদ্ধতি ফলো করে উত্তর কোরিয়ান হ্যাকাররা। তারা কোনো ব্যাংক থেকে Fiat কারেন্সি হ্যাক করে ক্রিপ্টো তে নিয়ে নেয় অথবা বিভিন্ন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ সাইট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারা এই বিষয়ে খুবই পটু ও বিগত বছরের বড় বড় সাইবার এটাক পরিচালনার নেপথ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়ান হ্যাকার্স।
এরা হচ্ছেন মোস্ট ওয়ান্টেড উত্তর কোরিয়ান হ্যাকার :
এরা সবাই Lazarus নামক উত্তর কোরিয়ান হ্যাকার গ্রুপ এঁর সদস্য! প্রতিবছর বিলিয়ন ডলারের হ্যাকিং পরিচালনা করে থাকে ও তারা সুপ্রিম লিডার কিম জং উন এর হয়ে কাজ করে। এদের হ্যাকিং কার্যক্রমকে Lazarus Heist নামেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। আর আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ ও কিন্তু তাদের এই Heist এর শিকার। এরা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে টার্গেট করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে ও বিভিন্ন রুট চেইন ব্যাবহার করে ভিকটিম সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে আর এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে তথ্য সংগ্রহের জন্যে এরা টার্গেট কান্ট্রি ভিসিট ও করে ফেইক আইডেন্টিটি দিয়ে।
আর এভাবেই টর্নেডো ক্যাশ কাজ করে এবং হ্যাকার থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবুও আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি আপনি পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করে আমাকে আরো উৎসাহিত করবেন আরো ভালো ভালো পোস্ট নিয়ে আসতে।