ভূমিকা
Bitcoin একপ্রকার cryptocurrency যা ২০০৯ সালে উদ্ভব হয়। প্রকৃতিগত দিক থেকে বিটকয়েন খুবই volatile, মানে এর দাম প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। শুরু থেকেই bitcoin মার্কেটে তার অধিপত্ব্য ধরে রেখেছিল।
তবে বর্তমানে অতিরিক্ত ফি আর করফারমেশন টাইমের কারনে অন্য কয়েনগুলোও ভালো গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে।
ycharts গ্রাফে দেখবেন যে এই বছরের শুরুতেও দাম স্থিতিশীল ছিল। গত মাসের শেষের থেকে দাম বাড়তির দিকে।
কিন্তু কেন এই মাত্রাতিরিক্ত খরচ?
এর পেছনে ২ টা বড় বড় হাত আছে ✋?
#১ BRC-20 এর সূচনা
প্রথমটা হল BRC-20 – এটা একটা টোকেন স্ট্যান্ডার্ড যা এই বছরের মার্চেই চালু হয়েছে।
টোকেন স্ট্যান্ডার্ডস ক্রিপ্টোকারেন্সি কোথায়, কিভাবে ইউজ হবে সেটা নির্ধারন করে।
BRC-20 মেইনলি ইথেরিয়ামের ERC-20 থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে বানানো।
আরো মিমকয়েন
তো এই স্ট্যান্ডার্ড আরো altcoin তৈরির সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে বের হয়েছে আরো memecoins, যেমনঃ pepe, domo, punk. এসব কয়েন ইন্টারনেটে অনেক hype সৃষ্টি করে। মানে লোকজন এগুলো নিয়ে অনেক কথাবার্তা বলে, কেনাবেচা করে, পাবলিসিটি হয়, তখন এসব কয়েনের ভ্যালু বেড়ে যায়।
কিন্তু যেহেতু এগুলো BRC-20 স্ট্যান্ডার্ডের উপর বানানো, তাই ঠেলাটা আলটিমেটলি আসে ঐ বিটকয়েনের উপরই। চাপ সামলাতে তাই transection fee বেড়ে যায়।
#২ Bitcoin Ordinals’এর জনপ্রিয়তা
২০২২ এর শেষের দিকে Bitcoin Ordinals Protocol চালু হয়। মেইনলি এই জিনিসটা বিটকয়েন নেটওয়ার্কে NFT সাপোর্ট চালু করে।
এর আগে বিটকয়েনে NFT যাতীয় লেনদেন হত না। যদিও অন্যান্য কয়েন যেমন ইথেরিয়ামে NFT সাপোর্ট আরো আগে থেকেই ছিল।
এটা চালু হওয়ার পর থেকেই মানুষ বিটকয়েনে NFT নিয়ে মেতে উঠল। ফলস্বরূপ নেটওয়ার্কে আরো চাপ পড়ল আর ফি বেড়ে গেল।
বাড়তি ফি কিভাবে এড়ানো যায়?
সবচেয়ে সহজ উপায় coinbase. Coinbase to coinbase লেনদেনে খরচ লাগে না। শুধু কয়েনবেসের বাইরে কোথাও পাঠাতে হলে তখন ফি লাগে।
হা আইডিয়াটা দারুন কিছু না কিন্তু কিছু না পাওয়ার থেকে ত ভালো। আর কয়েনবেস অনেক বিশাল, পপুলার একটা ওয়ালেট। কারো না কারো কাছে পেয়েই যাবেন।
আরেকটা আইডিয়া off peak hour’এ ট্রানজেকশন।
যখন লেনদেন বেশি চাপ তখনই বেশি, তাই ফিও বেশি। আমেরিকা টাইমে ওদের অফ আওয়ারে আমাদের দেশে সকাল/দুপুর। তখন ট্রাই করলে হয়তো খরচ একটু কম হবে।
ভালো থাকবেন, স্ক্যাম থেকে দূরে রইবেন, নিরাপদে লেনদেন করবেন ?