আসসালামুয়ালাইকুম
হ্যালো গাইজ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।আর ভালো না থাকলে তো ভালো লাগার ওয়েবসাইটে TrickBD আছেই যেখান থেকে আমরা নিত্য নতুন টিপস এবং ট্রিক্স পেয়ে যাই। তো যাই হোক আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা আপনারা ইতিমধ্যে উপরিউক্ত টাইটেল দেখে জেনে গেছেন।
হুম বন্ধুরা, সফলতা। সফলতা কে না চায়। কিন্তু পায় কতজন। সফলতার গল্প পড়তে আপনার নিশ্চয় খুব ভালো লাগে। ভালো লাগে ঐ সমস্ত মানুষদের জীবনবৃত্তান্ত ও ইতিহাস জানতে এবং শূনতে যারা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজেদের নাম পৃথিবীর বুকে স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে লিখে রেখেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি ঐ সমস্ত মানুষদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো না যারা সফলতার শিখরে আরোহণ করছে?
আমার উত্তর হচ্ছে অবশ্যই পারবেন।
কিভাবে পারবো ?
সবচেয়ে ভালো হবে যদি এই প্রশ্নটি আপনি নিজেই নিজেকে করেন।এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। নিজের মধ্যে তীব্র গবেষণা করার মানসিকতা তৈরি করুন।
সফল হতে হলে নিজেকে সবসময় আপডেটিংয়ে রাখতে। যাতে যেকনো বাধা বিপত্তি যেকোনো পরিস্থিতিতে কাটিয়ে উঠতে পারেন। তীব্র পরিশ্রম এবং তীব্র গবেষণা কথাটি কমপক্ষে পাঁচ বার পড়ুন এবং পাঁচ বার ভাবুন।
সফল হওয়ার জন্য আপনাকে রিক্স নিতে হবে। সফলতা কেউ আপনাকে হাতে তুলে দিবে না। আপনার মাথায় একটা ভালো বিজনেস আইডিয়া এসেছে বাস আপনি একটি রিক্স নিয়েই দেখেন।
মিইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম হেনরি বিল গেটস। যিনি পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের তিলিকায় একজন। তিনি বলেন ” সবচেয়ে বর রিক্স হলো:- রিক্স না নেওয়া টা”।
বন্ধুরা এতক্ষণ আমি সফল হওয়ার কিছু আলগা টিপস বাতলে দিলাম। সফল হওয়ার পথে আমরা অনেক ভুল অভ্যাস বা ভুল কাজ করে থাকি। যা আমাদের সফল হওয়ার পথে বাধাসরূপ। যেগুলো আসনকে পরিহার বা বর্জন করতে হবে। আজকে সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
#1 পরিনিন্দা পরিহার করুন
সফল হতে হলে আপনাকে পরিনিন্দা পরিহার করতে হবে। অন্যের সমালোচনা ই নিন্দকের কাজ। তারা নিজেরা সফল হতে পারে না উপরুন্ত তারা অন্যর সফলতায় ঈর্ষা করে। আপনি যদি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে এখনি বেরিয়ে আসুন। অন্যের সফলতায় সাধুবাদ জানান। নিজের মধ্যে অন্যকে ক্ষমা করার গুন সৃষ্টি করুন। পরিনিন্দা
বা অহংকারী মনোভাব কখোনোই আপনাকে সফলতা এনে দিতে পারবে না। তাই সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পরিনিন্দা পরিহার করতে হবে।
#2 তাৎক্ষণিক সফলতা পাওয়ার আশা পরিহার করুন
সফল হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় বাঁধা এখনই চাই, এখনই প্রয়োজন, এখনই কেনো নয় এই ধরনের মানসিকতা। এই ধরনের মনমানসিকতা শুধু আপনাকে হতাশ করবে। সফল হওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে ধৈর্যের প্রয়োজন । আপনার যদি তাৎক্ষণিক সফলতা পাওয়ার আশা থাকে তাহলে এক্ষুনি ঝেড়ে ফেলুন। আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢুকি কিন্তু পর্যাপ্ত ধৈর্যের অভাবে আমাদেরকে সেখান থেকে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়। তাৎক্ষণিক সফলতা শুধু সিনেমা এবং কল্পকাহিনীতেই সম্ভব। বাস্তব জীবনে নয়। আপনি সফল মানুষের জীবন কাহিনী পড়ে দেখুন তাদের ধৈর্যের পরিমাণ কেমন ছিল এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিন।
#3 অনর্থক খরচ পরিহার করুন
জীবনে সফল হতে হলে আপনাকে অনর্থক খরচ পরিহার করতে হবে। আপনার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খরচ করুন। যতটুকু সম্ভব নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করুন। আপনার যদি সিগারেট বা এই ধরনের নেশা জাতীয় কিছু খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এখনই বাদ দিন। এটা যেমন আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অনর্থক ক্ষরচও বটে। প্রতিদিন কিছু না কিছু টাকা জমানোর চেষ্টা করুন। আপনার যদি বাজে কোন অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা পরিহার করুন। যদিও বাজে অভ্যাস পরিত্যাগ করা কষ্টকর তবুও আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে সেটা করতে হবে।
#4 সময়ের অপব্যবহার বন্ধ করুন
সময়কে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ধরা হয়। কেননা হারানো সম্পদ চেষ্টা করলে ফিরে পাওয়া সম্ভব কিন্তু যে সময় হারিয়ে যায় তা সারাজীবন অজশ্র চেষ্টা করলেও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সময়ের মূল্য সম্পর্কে আমাদের যত্নবান হতে হবে। সবচেয়ে ভালো হবে যদি আমরা আমাদের প্রত্যহ কাজের একটা রুটিন তৈরি করে নেই। তাহলে আমাদের সকল কাজ ভালো ভাবে সম্পন্ন হবে এবং কাজ ও আটকে থাকবে না। পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষীদের জীবনী আলোচনা করলে দেখা যায় যে তাদের সফলতার মূলে রয়েছে সময়ের মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। আমরা দুইটার মিটিংয়ে পাঁচ টায় উপস্থিত হলেও কোন সমস্যা হয় না। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যেমন রাশিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাপান, জার্মান প্রভৃতি দেশগুলোতে কিন্তু এরকম হয় না। তারা দুই টার মিটিংয়ে দুই টায়ই উপস্থিত হয়।