আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আজকে নতুন একটা আর্টিকেলে সবাই কে স্বাগতম। আজকে আলোচনা করবো IBA সম্পর্কে। আশা করি নতুন কিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে শুরু করি।
ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (IBA) কী?
ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সংক্ষেপে IBA, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এটি ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উচ্চ মানের শিক্ষা ও গবেষণা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে IBA প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।
IBA-তে পড়তে কি কি যোগ্যতা লাগে?
IBA-তে ভর্তি হতে হলে বেশ কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। নিচে বিভিন্ন পর্যায়ের জন্য যোগ্যতার বিবরণ দেয়া হল:
BBA প্রোগ্রাম
শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীদের অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) এবং মাধ্যমিক (SSC) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। O লেভেল এবং A লেভেল পরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাক্রমে পাঁচটি ও দুটি বিষয় পাস করতে হবে।কত পয়েন্ট লাগবে এটা তাদের সার্কুলার থেকে আপডেট জানার জন্য বলা হলো।
ভর্তি পরীক্ষা: ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি ভাষা ও যোগাযোগ, বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা, এবং ব্যবসা বা মানবিকতার মৌলিক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন বিশব্বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাব্জেক্ট এর ওপর পরিক্ষা নেওয়া হয়।
MBA প্রোগ্রাম
MBA প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে প্রার্থীদের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থীদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থাকলে তা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
বাংলাদেশে কয়েকটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে IBA রয়েছে:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকার IBA, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দেশের প্রাচীনতম এবং অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। IBA, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় MBA প্রোগ্রামের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের IBA, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০২ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। এটি বর্তমানে BBA, MBA, Executive MBA, এবং PhD প্রোগ্রাম চালু করেছে।
এ ছাড়াও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও BUP তে IBA রয়েছে।
IBA থেকে পাস করে কী কী চাকরি পাওয়া যায়?
IBA থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার সুযোগ পায়। কিছু সম্ভাব্য কর্মক্ষেত্র হল:
ব্যাংকিং ও ফিনান্স: ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিনিয়োগ সংস্থায় উচ্চ পদস্থ পদে চাকরির সুযোগ।
মার্কেটিং ও বিক্রয়: বিপণন, ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং বিক্রয় বিভাগে চাকরির সুযোগ।
পরামর্শ ও পরিচালনা: পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালন বিভাগের চাকরি।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা: মানবসম্পদ বিভাগের বিভিন্ন পদে চাকরি।
উদ্যোক্তা ও ব্যবসা: নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার দক্ষতা এবং উদ্যোগ।
IBA-র ডিগ্রি আন্তর্জাতিক বাজারেও স্বীকৃত হওয়ায়, শিক্ষার্থীরা বিদেশে চাকরির সুযোগও পায়।
IBA-তে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে কত খরচ হয়?
IBA-তে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার জন্য খরচের বিবরণ:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় IBA
সেমিস্টার ফি: প্রতি সেমিস্টারে বিভিন্ন ফি যেমন কম্পিউটার ল্যাব ফি, লাইব্রেরি ফি এবং পরীক্ষা ফি অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, প্রতি সেমিস্টারে মোট খরচ প্রায় ১৪,০০০ টাকা (প্রথম সেমিস্টারের জন্য) এবং পরবর্তী সেমিস্টারগুলিতে ৯,০০০ টাকা করে।
ডেভেলপমেন্ট ফি: এককালীন ডেভেলপমেন্ট ফি ৫,০০০ টাকা।
মোট খরচ: BBA প্রোগ্রামের মোট খরচ প্রায় ৮৭,০০০ টাকা।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, ঢাকার IBA-এর খরচ তুলনামূলক বেশি হয়।
IBA বাংলাদেশের ব্যবসায় শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনায় এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণা সুযোগ পায়। IBA-তে পড়ার জন্য কঠোর যোগ্যতা পূরণ করতে হয় এবং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। IBA-র ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উচ্চমানের চাকরির সুযোগ পায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারেও চাকরির সুযোগ আছে।
তো এই ছিল আজকের আর্টিকেল। আশা করি সবাই IBA সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে পেরেছেন।দেখা হচ্ছে নতুন একটা আর্টিকেলে। আল্লাহ হাফেজ।