Site icon Trickbd.com

সাবধান,আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন ২০ মে পর্যন্ত

মৌসুম শুরু না হলেও বাজারে
পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম।
দামও চড়া। রসনা তৃপ্ত করতে
ভোক্তারা আম কিনছেনও ।
কিন্তু আমের প্রকৃত স্বাদ থেকে
তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
গবেষকরা বলছেন , এই আমগুলোর
বেশিরভাগই কার্বাইড দিয়ে
পাকানো। রাসায়নিক
উপাদান দিয়ে পাকানো আম
স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়
সেগুলো না খেয়ে
ভোক্তাদের ২০ মের পর আম
খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন
কৃষি ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকরা বলছেন , একমাত্র গুটি
আমই পাকতে শুরু করে মের প্রথম
সপ্তাহে। সেগুলো সাতক্ষীরা
জেলায় পাওয়া যায় , তাও
সীমিত আকারে।
তাছাড়া গোবিন্দভোগ
পাকে ২৫ মের পর, গুলাবখাস ৩০
মের পর, গোপালভোগ ১ জুনের
পর , সুন্দরী ১ জুনের পর, রানিপছন্দ
৫ জুনের পর, হিমসাগর বা
ক্ষীরসাপাত ১২ জুনের পর,
ল্যাংড়া ও বোম্বোই ১৫ জুনের
পর , লক্ষণভোগ ২০ জুনের পর,
হাড়িভাঙ্গা ২০ জুনের পর,
আম্রপলি ও মল্লিকা ১ জুলাই

থেকে , ফজলি ও লখনা পাকতে
শুরু করে ৭ জুলাইয়ের পর। তবে
সবচেয়ে দেরিতে পাকে
আশ্বিনা জাতের আম , ২৫ জুলাই
থেকে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা
কাউন্সিলের পরিচালক ( পুষ্টি )
মনিরুল ইসলাম বলেন , প্রতিটি
আম পাকার নির্দিষ্ট সময় আছে।
২০ মের আগে প্রাকৃতিকভাবে
পাকা আম পাওয়া সম্ভব নয়।
বাজারে যে আম দেখা যায়
তার শতভাগই কার্বাইড দিয়ে
পাকানো। বেশিরভাগ আমই
ভারত থেকে আসে।
141948 _ 1 তিনি বলেন , অসময়ে
আম পেড়ে বাক্সে ভর্তি করে
ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে
বাক্স আটকে দেয়া হয়। এতে
কার্বাইডে গরম বাষ্প হওয়ার
কারণে আমগুলো পেকে যায়।
এই গবেষক বলেন , যে আম
বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তা
অপরিপক্ব। বীজগুলো দেখলেই
তার প্রমাণ মিলবে। খেলে
দেখা যাবে জিহ্বা এবং
ঠোটে এলার্জি ভাব সৃষ্টি
হয়েছে। এই আম খেলে স্বল্প
মেয়াদি হিসাবে এলার্জি,
আলসার , পাকস্থলিতে পীড়া
হতে পারে। আর দীর্ঘমেয়াদি
ক্ষতির মধ্যে রয়েছে
ক্যান্সারসহ জটিল একাধিক
রোগ। তিনি এ আম না কেনার
পরামর্শ দেন। তিনি মনে করেন ,
এ বিষয়ে ভোক্তাদেরও সচেতন
হওয়া উচিত।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের
তথ্যমতে , দেশের ১ ,০৬০,০০০
হেক্টর জমিতে আমের আবাদ
হয়। এর মধ্যে
চাঁপাইনবাবগঞ্জেই আবাদ হয়
২৪ ,০০০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া
ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ ,০০০ হেক্টর ,
দিনাজপুরে ৪ ,০০০ হেক্টর ,
সাতক্ষীরায় ৩ ,৬০০ হেক্টর
জমিতে আমের আবাদ হয়।
বিশ্বের সিংহভাগ আম
উত্পাদিত হচ্ছে দক্ষিণ
এশিয়ার দেশগুলোতে। শীর্ষে
আছে ভারত। দেশটিতে আম
উত্পাদনের পরিমাণ বছরে ১
কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
এর একটা বড় অংশ সরবরাহ হয়
বাংলাদেশে।
অামার সাইটে কিছু টিউনার লাগবে Roton24.com