আসসালামুয়ালাইকুম
হ্যালো গাইজ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আর ভালো না থাকলে তো ভালো লাগার ওয়েবসাইট TrickBD আছেই । যেখান থেকে আমরা নিত্য নতুন টিপস-এন্ড-ট্রিকস পেয়ে থাকি।
তো যাই হোক আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা আপনারা ইতিমধ্যে উপরিউক্ত টাইটেল দেখেই জেনে গেছেন।তো আর দেরি না করে আজকের মূল আলোচনায় চলে যাই।
মানুষের জীবন খুব বৈচিত্র্যময়। সমস্ত প্রাণি থেকে মানুষ একেবারে ভিন্নতর। আর যে জিনিসটি মানুষকে সমস্ত প্রাণি থেকে পৃথক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তা হলো মস্তিষ্ক। যার দ্বারা মানুষ চিন্তা করতে পারে। ভালো মন্দ যাচাই-বাছাই করতে পারে। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ সফল হতে চায়। কিন্তুু সফল হওয়ার গাইডলাইন সে জানে না।
আজকে আমার আলোচনার বিষয় মোটিভেশন। মোটিভেশন কি সত্যি জীবন পাল্টে দিতে পারে?
মোটিভেশন কি?
মোটিভেশন হলো এমন একটা জিনিস যা ধরা যায় না, ছোয়া যায় না , কিন্তু অনুভব করা যায়। যা মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা কে বারিয়ে দেয়। মস্তিস্ককে সজাগ করে তোলে। যখন কোন মানুষ মোটিভেটেড হয় তখন মস্তিষ্ক আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে। ফলশ্রুতিতে সে যখন কোন কাজ করে বা কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে । তখন সে তা খুব দ্রুত ও ভালোভাবে সম্পাদনা করতে পারে।
মোটিভেশন কি সফলতা এনে দিতে পারে?
শুধুমাত্র মোটিভেশন কখনো আপনাকে সফলতা এনে দিতে পারবে না। মোটিভেশন তো আপনার মনের ব্যাপার । এটি আপনার মনকে কন্ট্রোল করতে সক্ষম। এটি আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলে। কিন্তু বাস্তব কাজ তো আপনাকে করতে হবে। মোটিভেশন পূর্ণ সফলতা এনে দেয় না। বরং, জীবনে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং সফল হতে হলে মোটিভেটেড হওয়া প্রয়োজন।
ধরুন আপনি পড়ালেখা করেন না। স্কুলে যান আর আসেন। রাত্রে শুধু ফোন নিয়ে পরে থাকেন। আপনার জীবনের এমন একটা দিন বা মূহূর্তের কথা স্মরণ করূন যখন আপনি আপনার টিচারের থেকে ক্লাসে সফলতার গল্প শুনেছেন। যা আপনার মস্তিষ্ককে সামান্য হলেও শিহরিত করতে সক্ষম হয়েছে। আর আপনি সে রাত্রিতে প্রচুর পড়েছেন ফোন ব্যবহারের পরিবর্তে।
এই ধরনের ঘটনা আপনার জীবনে থাকতে পারে। এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
আমি কিভাবে মোটিভেটেড হতে পারি?
জীবন সাধনায় সিদ্ধি লাভ করতে হলে আমাদের মোটিভেটেড হওয়া প্রয়োজন। আমরা বিভিন্নভাবে মোটিভেটেড হতে পারি। মোটিভেটেড হওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ভালো লেখকের বই পড়া। বই কে যারা প্রকৃত বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে তাদের জীবনে সফল হওয়ার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বড় বড় গুনী জনেরা বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি যেমন আমাদেরকে মোটিভেটেড করতে সাহায্য করে, তেমনি আমাদের জ্ঞানের পরিধি কে বিস্তৃত করে।
শিক্ষকের থেকে অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প শোনা। কোন স্কুল টিচার বা প্রাইভেট টিচার যখন কোন গল্প বলে , তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করবেন।