কিভাবে ভাল ছাত্র হবার উপায় অনুসন্ধানকরা যায় তা আমি একে একে বিশ্লেষন করছি-প্রথমেই একটি ডেইলি রুটিনের জন্য যা করতে পারেন তা হচ্ছে:::::::::::::::::::::
পরিকল্পনা তৈরীঃ
নিজে নিজেই যেহেতু আপনি একটি রুটিন বানাবেন তাই নিজে থেকেই পরিকল্পনা করুন।
কিভাবে সাজালে ভাল হয়, কোন কাজের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এসব মাথায় রেখে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করে ফেলুন। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যান..
সময় ভাগ করাঃ
সময়কে ভাগ করে নেয়ার পর তা দিয়ে দিনের একেক টি কাজ পরিপুর্নভাবে সম্পন্ন করতে পারাই রুটীনের কাজ। যদি ব্যর্থ হয় তবে রুটিন ভ্যালু লেস হয়ে যায়। তাই একটি রুটিন কখনোই এলোমেলো হতে পারেনা সফলতার জন্যে। সময়ের কাজ সময়ে করতে পারার একটা চর্চা করতে হবে। সময় ভাগ করে ফেললে আপনার রুটিনের জন্য সহজ হয়ে যাবে। তবে এমন সময় নিয়ে আসবেন না যে সময়ে আপনি কোন নির্দিষ্ট কিছুই করতে পারবেন না।
যেমন আপনি মনে করলেন যে দুটা কাজের ফাঁকে ১০মিনিট সময় আছে অন্য একটি কাজ করে ফেলা যায়।
হ্যাঁ করে তো ফেলা যায় তবে তা যেন বড় কোন কাজ না হয় সে দিকেই খেয়াল রাখতে হবে।ডেইলি রুটিনেরজন্য অবশ্যই পাঁচ মিনিটের বেশি সময় লাগে এমন সব কাজ সময়ের মধ্যে ধরতে হবে।
সময় পরিমাপঃ
প্রত্যেক কাজের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। যেমন আপনি একটি হোমওয়ার্ক করতে আপনার হয়ত ৩০ মিনিট সময় লাগে। তাহলে আপনার রুটিনে ত্রিশ মিনিটের কম সময় নেয়া বোকামি হবে। এজন্য প্রত্যেক কাজের জন্য নির্দিষ্টসময় পরিমাপকরতে হয়। রুটিন করার আগে এই সময়জ্ঞান আপনাকে অর্জন করে নিতে হবে।
রুটিন স্থায়ীকরনঃ
প্রারম্ভিক পর্যবেক্ষনের জন্য আপনি একটি খসড়া রুটিন দিয়ে শুরু করতে পারেন। যেমন ম্যাথমেটিক্স এর জন্য প্রতিদিন এক ঘন্টা। কিন্তু কিছু দিন(প্রায় এক মাসের) মধ্যে দেখলেন যে একঘন্টা অনেক কম হচ্ছে। আপনার আরো বেশি সময় দরকার। তাহলে আরো বাড়িয়ে নিতে পারেন। বাড়িয়ে নিলে যদি মনে হয় যে এবার ঠিক আছে তখন সেটাস্থায়ী ডেইলি রুটিনহিসেবে নিন। এভাবে খসডা থেকে আপনি স্থায়ী রুটিনে অনেক কাজে সময় কমাতেও পারেন।
উদাহরন, আপনার গোসলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় লাগে। আপনি চাইলে আরো দ্রুত গোসল সারতে পারেন।
তখন হয়ত ৭মিনিটের মধ্যেই গোসল শেষ, একে স্থায়ী রুটিনে নিন। আর এই সাত মিনিটের বাইরে আর যাওয়া যাবে না। এটাই আপনার ইফিসিয়েন্সি বা দক্ষতা। কাজে দিন দিন দক্ষতা বাড়ে। তাই সময় আমাদের দিন দিন বাড়তে থাকে, কারন কাজের জন্য সময় কম লাগে। এভাবেই আপনি অনেক বেশি কাজ শেষ করতে পারবেন। যিনি সেরা তিনি অবশ্যই আমাদের চেয়ে দ্রুত কাজকরেন।
রুটিন পরিবর্তনঃ
এটা লাগবেই কারন কোন রুটিনেই আপনি জীবন ধরে রাখতে পারবেন না।
তার জন্য বৈচিত্র নিয়ে আসতে হয়। তিনমাসে ছোটখাট পরিবর্তন করতে পারেন। আবার বছরে নতুন প্ল্যানিং কালে অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারেন। কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারনেও পরিবর্তন লাগতে পারে। পরিবর্তন কে উন্নতি হিসেবে নিন। যেমন আপনার সাধারন জীবন থেকে উন্নত জীবন। নিজেই বের করুন কী করলে আপনি আরো উন্নত জীবন পাচ্ছেন।……………..
সবসময় নিজেকে গড়ার পিকল্পনা করতে হবে।
তো আশা করি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন।
ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন।
ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন. ট্রিকবিডির সাথে থাকুন।