আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি।
পোষ্টের টাইটেল দেখে বুঝেই ফেলেছেন সব।আশা করি এরকম এ একটা পোষ্ট খুজছিলেন এবং এটি আপনাদের সবার উপকারে আসবে।
পড়াশোনা ছাড়া জীবনে উন্নতি অসম্ভব।তাও আমরা পড়াশোনা করি না।ইচ্ছা থাকলেও পড়ি না, কারণ এখন কার সময়ের মনোযোগ অন্যদিকে নেওয়ার জন্য অনেক উপায়ই আছে।কিন্তু যারা যথেষ্ট পরিশ্রম করেও পারছেন না ভালো ফলাফল করতে তারা কি করবেন?
তাদের ক্ষেত্রে বলব যে আপনারা অবশ্যই অবশ্যই হাতের লেখা সুন্দর করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে এক পাতা বাংলা লিখুন।Youtube এ অনেক ফ্রী কোর্স আছে হাতের লেখা সুন্দর করার সেগুলো দেখুন।
কিন্তু আপনি পড়ার পরেও পড়া মনে রাখতে পারছেন না,পড়তে বসলে ভালোভাবে পড়তে পারছেন না মনোযোগ অন্যদিকে তারা দেখুন→
১) পড়া শুরুর আগে ২০মিনিট বাইরে থেকে আবহাওয়াটা উপভোগ করে আসুন।তাই বলে এটা বলছি না যে ৩০ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রোদে দাড়িয়ে থাকুন অথবা বজ্রপাতের সময় রাস্তায় বের হন।২০মিনিট এমন জায়গা থেকে হেটে আসুন যেখানে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না এবং পড়াশোনার জন্য যাতে পর্যাপ্ত এনার্জি বাকি থাকে।২)যে বিষয়ে পড়বেন,পড়ার আগে সে বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জিনিসের নোট তৈরি করে নিন এবং পড়া শুরুর আগে তা ভালোভাবে পড়ে/মুখস্ত করে নিন।
৩)অনেকেই বলেন যে একসাথে দুইটা কাজ হয় না।হ্যা আমিও মানছি।কিন্তু পড়াশোনার এই হ্যাকটার ক্ষেত্রে তা একটু ভিন্ন।পড়ার সময় কম ভলিউম দিয়ে ক্লাসিকাল গান শুনুন যা আপনার মনোযোগ কারবে না এবং পরে গানটি মনে পড়ার সাথে সাথেই পড়াগুলো মনে পড়বে।
৪)পড়ার মাঝে ব্রেক নিন।এক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ মস্তিস্ক একটানা ৩০মিনিটের বেশি সময় তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে না।তাই পড়ার মাঝে ২০মিনিটের বিরতি নিন।কিন্তু এই ২০মিনিটের মাঝে এমন কাজ করবেন না যা থেকে আপনার এনার্জি নষ্ট হয় অথবা অন্যকিছুতে মনোযোগ চলে যায়।
৫)এই পদ্ধতিটা একটু অন্যরকম হলেও কার্যকর।পড়ার সময় যেকোনো সুগন্ধের তীক্ষ্ণ নয় এমন সেন্ট ব্যবহার করুন।পরীক্ষার সময় ঐ একই সেন্ট ব্যবহার করুন ফলে পড়াগুলো পরীক্ষার সময় দ্রুত মনে করতে পারবেন।যদি পরীক্ষার হলে চুইং গাম allow করে তাহলে সেন্টের বদলে পড়ার সময় যেকোনো ফ্লেভারের চুইং গাম চিবুতে পারেন এবং পরীক্ষায় একই ফ্লেভারের চুইং গাম নিয়ে চিবুন। এতে পড়াগুলো মনে থাকবে।
৬)পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে বসার স্থানও গুরুত্বপূর্ণ।ধরেন আপনি পরিক্ষা দিবেন ডেস্কে বসে।তাহলে পড়াশোনা ডেস্কে বসে করুন।তাহলে পরীক্ষার হলে পড়া মনে রাখতে সুবিধা হবে।
৭)পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই দুটো জিনিস অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি হলো- I)ঘুম এবং II)খাবার
পরীক্ষার আগে ১সপ্তাহ থেকে ৮ঘন্টা ঘুম নিশ্চিৎ করুন এবং পরিমিত পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খান।যেমন-মাছ,সবজি,ফল এবং পানি
৮)পরীক্ষার হলে ঠান্ডা মাথায় যান।পরীক্ষার সকালে গুরুত্বপুর্ন বিষয়গুলোতে চোখ বুলিয়ে নেন।সহজ প্রশ্নের আগে উত্তর করুন।কঠিনগুলো গোল দাগ দিয়ে রাখুন।আগেই এগুলো নিয়ে ভাববেন না।একটা প্রশ্নে বেশি সময় নিবেন না।পরীক্ষা শেষের দিকে অবশ্যই রিজাইজ দিবেন যা লিখেছেন।নিশ্চিৎ রূপেই কিছুনা কিছু ভুল খুজে পাবেন।যদি দেখেন অনেক বড় ভুল করে ফেলেছেন ঠিক করার সময় নেই,তাহলে এই মেইন জায়গা টুকুতে আপনার উত্তর সেখানে ঠিক করে নিন আর যদি আপনার উত্তরের জন্য পুরোটাই পড়া লাগে তাহলে ওভাবেই রেখে দিন অনেক সময় না দেখেই কিছু মার্কস দিয়ে দিতে পারে অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।
তো এই ছিল কিছু বৈজ্ঞানিক কলাকৌশল। এগুলা অনুসরন করলে অবশ্যই ছেলেরা মেয়েদের থেকে বেশি ভালো করতে পারবে অথচ পরিস্থিতি এখন উল্টা।কিন্তু দেখুন মেয়েরা অজানতেই এসবের অনেক কিছুই অভ্যাসগত/আচরণগত কারণে করে থাকে।তাই তারা এতটা ভালো করতে পারছে।আশা করি এসব অনেক কাজে লাগবে।
ITBLOGBD
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আল্লাহ হাফেজ!