আসসালামু অলাইকুম,সবাই কেমন আছেন???আশা করি ভালোই আছেন,,কারণ যারা ট্রিকবিডি এর সাথে থাকে তারা
সবসময় ভালোই থাকে,,
যাই হোক মূল কথায় আসি, আমরা সারাদিন মোবাইলে এই সাইট ঐ সাইট, ফেসবুক আর নানা ধরনের গেমস এর মাধ্যমে সারাদিন কাটিয়ে দেই পড়াশোনা করার সময়ই পাই না,, এত ব্যস্ত মানুষ আমরা,
আর পরিক্ষা আসলে আগের রাতে পড়তে বসে বইখাতা সব উল্টায় উল্টায় ভাবি, ধূর সামনে পরিক্ষার সময় ২ মাস আগে থেকে পড়া শুরু করবো,,
এভাবে কোনো দিন পড়ে কেউ ভালো রেজাল্ট করতে পারে নাই আার আপনি ও পাবেন না।
আমি সজিব আপনাকে কিছু পরামর্শ দিচ্ছি এগুলো মেনে চললে আপনার জীবন পরিবর্তন হয়ে যাবে ইনসআল্লাহ,।
পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য এই সজিবের পরামর্শ গুলো একবার মেনে চলুন দেখুন আপনিও হতে পারেন ১০ জন এএর ১ জন
আর বকবক করবো না,,
ভূমিকা : শিক্ষা জীবনের আসল ভয় পরীক্ষা। কথায় আছে শিক্ষা জীবন বড় সুখের জীবন যদিনা থাকত পরীক্ষা। আর বাকিটুকু অনেক মজার সময়। বন্ধু-বান্ধব, লেখাপড়া, আর ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা সবইকে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু রাজ্যের যতো টেনশন চলে আসে পরীক্ষার সময় এগিয়ে আসলে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য দারুন কয়েকটি পরামর্শ। বিশেষ পদ্ধতিতে পড়াশোনার কাজটি চালিয়ে গেলে পরীক্ষার সময় কাঁধে দুশ্চিন্তা ভর করবে না ফলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে
চলুন তাহলে জেনে নিই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের টেকনিক সমূহ !
বিশেষ অংশ এবং পরিকল্পনায় রঙিন কোড করুন:লেখা-পড়ার অন্যতম কার্যকর ১ টি উপায় এটি। পড়ার কাজটি কিভাবে চালিয়ে যাবেন তার ১ টি পরিকল্পনা নিশ্চয়ই থাকে। এই অংশটিসহ নোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো রঙিন মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে রাখুন। ভিন্ন ধরনের অংশের জন্য বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন- কুইজের অংশ গোলাপি, বিভিন্ন টেস্ট হালকা সবুজ, আন্ডার লাইনে অংশ হালকা নীল ইত্যাদি। এই কালার কোড সিস্টেম গুছিয়ে লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ার কার্যকর একটি উপায়
সময় বের করুন: সেমিস্টারের আগের রাতে সব পড়ে শেষ করা অসম্ভব ব্যাপার। তাই বেশ কিছু দিন সময় বের করে রাখুন। অল্প সময়ের মধ্যে পড়ে পরীক্ষার ঝামেলা মেটানো যায়। কিন্তু সে পড়ায় শেখা হয় না। ফলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হবে। তাই বেশ কিছু দিন হাতে নিয়ে হালকা মেজাজে পড়লেও শিখতে পারবেন। এতে পরীক্ষা হয়ে আসবে আরো সহজ, এবং অনেক ভাল।
বইয়ে কি-পয়েন্ট হাইলাইট করুন অনেক ধরনের পরীক্ষা রয়েছে সেখানে বই দেখে পরীক্ষা দেওয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে বইয়ের কি-পয়েন্টগুলো হাইলাইট করে নিন। আর বই দেখার সুযোগ না থাকলেও পড়াশোনার সুবিধার জন্য নিজের বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মার্কার দিয়ে হাইলাইট করে রাখুন। সেগুলো বারবার দেখে নিতে সুবিধা হবে।
নিজের পরিকল্পনা বানিয়ে পড়া শুনা করুন: পড়াশোনাকে দারুণ কার্যকর করতে হলে পরিকল্পনা দরকার। পড়াশোনার, বিষয় আর পড়ার পদ্ধতি সবকিছু নিয়ে সময়সূচি করে নিন। তারপর সেই সময় অনুযায়ী পড়াশোনা চালিয়ে যান
নিজের পরীক্ষা নিজেই দিন: প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার মতো করে বন্ধুরা একসাথে বা আপনি একাই পরীক্ষা দিতে পারেন। এতে মূল পরীক্ষা নিয়ে যতো অজানা আশঙ্কা কেটে যাবে আপনার। অধিকাংশ যে ক্ষেত্রে দেখা গেছে এসব পরীক্ষামূলক পরীক্ষা মূল পরীক্ষার কাছাকাছি হয়ে থাকে।
7গড়িমসি করবেন না: যা পড়তে হবেই তা পড়ছি পড়বো বলে ফেলে রাখবেন না। অন্তত পরীক্ষা এগিয়ে এলে এমনটি করার সুযোগ নেই। এ কাজটির জন্যই পরীক্ষার আগের রাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কাজেই অল্প-বেশি পড়ার কাজ চালিয়ে যান। দেখবেন, পরীক্ষা আগ দিয়ে প্রায় সব প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছেন আপনি।
আড্ডা কমিয়ে দিন: আমি কিন্তু বলিনি একদম আড্ডা দিবেন না! কিন্তু আড্ডা দেয়ার সময় কমিয়ে দিন। এখন পর্যন্ত আড্ডায় কোন উৎপাদনমুখী কিংবা ভালো টপিকস নিয়ে আলোচনা হয় না। কি নিয়ে আলোচনা হয় তা আমি আপনি আমরা সবাই জানি। প্রতিদিন যদি ২ ঘন্টা আ্ড্ডা দেয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা আধা ঘন্টা কমিয়ে দিন। এভাবে আড্ডা দেয়া আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।
শেষ কথা: পড়শোনা হলো নিজের মধ্যে নিজে না চেষ্টা করলে অন্য কেউ আপনার পড়াশোনা করে দিতে পারবে না,একমাএ শিক্ষাই এমন একটা জিনিস যেটা অন্যদের মধ্যে ভাগ করে দিলে নিজের শিক্ষা কমে না বরং আরো বাড়ে, তাই আশা করি আমার লেখা কথাগুলা একটু ভেবে দেখবেন
Note: অনেকেই ভাবতে পারেন যে আমি এই পোষ্ট টা কপি করেছি, কিন্তু না এটা আমি আমার শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনে এবং আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি, অনেক সময় লেগেছে এই ? পোষ্টির পিছনে,,তাই এই ছোট ভাইয়ের পোষ্ট যদি কোনো উপকারে আসে তাহলে কমেন্ট বক্সে অত্যন্ত একটা ধন্যবাদ জানায়েন
্
,মানুষ মাত্রই ভুল, তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন,,