welcome to TRICKBD
কেমন আছেন সবাই। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।
আমি মাসুদ রানা,
ভাইয়া কীভাবে জিপিএ-৫ পাবো? জিপিএ-৫ পাবো তো?
সবার মধ্যে এখন এই একটাই টেনশন।
তোমাদের বলি এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া সব থেকে সহজ।
তোমরা অবশ্যই জানো কীভাবে জিপিএ-৫ কাউন্ট করা হয়। রাইট? তোমাদের টোটাল সাতটা সাবজেক্ট। এর মধ্যে মাত্র চারটা সাবজেক্টে ৫.০০ করে থাকলেই জিপিএ-৫ হয়ে যায়। বাকি তিনটাতে ৪.০০ করে থাকলেই হবে।
আমি সব সময়ই বলি থাকি পড়াশুনাটা টেকনিক্যালি পড়তে হয়। ঠিক তেমনি জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও একটু টেকনিক্যালি ভাবতে হবে।
এবার বলি কীভাবে জিপিএ-৫ পাওয়া সহজ?
সায়েন্সের ক্ষেত্রে:
যারা সায়েন্সের,যাদের প্রিপারেশন খারাপ কিন্তু স্বপ্ন মেডিকেল বা ঢাবি(ক) তাদের ক্ষেত্রে শুধু জিপিএ-৫ ই দরকার। গোল্ডেনের চিন্তা বাদ দিলেও চলবে। এডমিশনে শুধু জিপিএ-৫ কাউন্ট করা হবে। গোল্ডেন কাউন্ট করা হয় না। সুতরাং কোন সাবজেক্টে কি পয়েন্ট আসলো সেটা ভাবার দরকার নেই। জিপিএ-৫ হলেই তোমাদের সাক্সেসের পথ এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তোমাদের বাংলা,ইংরেজি,আইসিটি এই তিন সাবজেক্টের মধ্যে দুইটাতে ৫.০০ পয়েন্ট পেলেই হবে। ধরো,তোমাদের ইংরেজি কঠিন লাগে। তাহলে তোমারা বাংলা আর আইসিটিতে এ+ ধরে নাও। আইসিটিতে এ+ পাওয়া সব থেকে সহজ। এই তিনটার যেকোনো দুইটাতে এ+ পেলেই ধরে রাখো তুমি জিপিএ-৫ পেয়ে গেছো। এখন অনেকে চিন্তা করছো সায়েন্সের সাবজেক্ট গুলায় কি হবে? শুনো,সায়েন্সের সাবজেক্ট গুলায় এ+ পাওয়া সব থেকে সহজ। তুমি সায়েন্সের চারটার মধ্যে যেকোনো দুইটাতে এ+ পেলেই তোমার জিপিএ-৫ হয়ে যাচ্ছে।
সায়েন্সের সাবজেক্ট গুলায় এ+ কীভাবে সহজ?
ব্যাবহারিক-২৩(২৫)
রিটেন-৩৯(৫০)
নৈবেত্তিক-১৮(২৫)
এই নাম্বারটুকু পাবা না?
এই নাম্বারটুকু পাওয়াটা কিন্তু খুব বেশি কঠিন না। দেখা যাবে তোমরা রিটেনে আরও বেশি মার্ক্সস পেয়ে গেছো। অথবা মচকে পেয়ে গেছো।
ব্যাবহারিকে অনেকে ২৫ এ ২৫ ও পাবে।
সুতরাং টেনশন করার কিছুই নাই।
সায়েন্সের যাদের ড্রিম ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের জিপিএ-৫ থেকেও ভাবতে হবে ফিজিক্স,কেমেস্ট্রি,ম্যাথ আর ইংরেজি নিয়ে। তোমাদের ক্ষেত্রে রেজাল্ট থেকেও এই চারটা সাবজেক্ট ইম্পরট্যান্ট। তোমাদের মূল টার্গেটই রাখতে হবে এই চারটায় যেনো কোনোভাবেই প্লাস মিস না যায়।
সুতরাং তোমারা এই চারটা সাবজেক্টে বেশি বেশি সময় দাও। বাকিগুলায় এম্নিতেই প্লাস হয়ে যাবে। আর যাদের মেডিকেল আর ভার্সিটি ড্রিম তাদের সাবজেক্ট জিপিএ নিয়ে একদম ভাবতে হবে না। তারা শুধু জিপিএ-৫ নিয়ে ভাবলেই হবে।
ব্যাবসা আর মানবিকের জন্য:
তোমাদের ক্ষেত্রেও জিপিএ-৫ পাওয়া সহজ। তোমরা ইংরেজিকে বেশি ভয় পাও। তাহলে তোমরা বাংলা আর আইসিটিতে এ+ ধরে রাখো।
আর গ্রুপিং সাবজেক্ট চারটার মধ্যে দুইটাতে তুলতে পারবা না? তোমাদের শুধু জিপিএ-৫ ই দরকার। কোন সাবজেক্টে কি পয়েন্ট আসছে সেটা ভাবার সময় একদম নেই। তোমাদের কাছে সাতটা সাবজেক্টের মধ্যে যেই চারটা সাবজেক্ট তুলনামূলক সহজ লাগে সেই চারটাতে বেশি বেশি সময় দাও। দেখবে খুব সহজে জিপিএ-৫ পেয়ে যাচ্ছো।
সবার উদ্দেশ্য বলি,তোমরা ভাবো জিপিএ-৫ মানে আকাশের চাঁদ।
কিন্তু না! তোমরা খুব বেশি ভয় পাও।
এত্ত ভয় পাবার কিছু নেই।
সাতটা সাবজেক্টের মধ্যে চারটাতে এ+ রাখতে পারবা না?
তোমার কাছে যেই চারটা সাবজেক্ট সহজ লাগে সেগুলাতে বেশি বেশি সময় দাও।
নিশ্চিত করো আমি এই চারটাতে মাস্ট পাবোই।
তোমরা ভয় পেয়ে পড়াশুনা করতে চাও না। এটাই সমস্যা!
যেই সাবজেক্টটা একটু বেশি কঠিন লাগে সেটা নিয়ে হতাশায় পড়ে থাকলে হবে?
তুমি ধরে নাও তুমি সেটাতে পাবে না।
সমস্যা তো নেই। তাই না?
বাকি সাবজেক্টগুলা আছে না?
প্লিজ!
বেশি বেশি পড়। না পড়লে
রেজাল্ট খারাপ হলে দেখবা কতটা খারাপ লাগে।
চারপাশে সবাই জিপিএ-৫ পাওয়ার উল্লাস করবে আর তুমি করতে পারবে না।
সেই সময়টার কথা একটাবার কল্পনা কর।
এম্নিতেই পড়তে ইচ্ছে হবে।
খুব বেশি পড়া না কিন্তু!”
মন দিয়ে রুটিন মাফিক স্বাভাবিক পড়া পড়লেই পড়াটা শেষ হয়ে যাবে।
সুতরাং প্লিজ হতাশা বাদ দিয়ে এখন থেকেই শুরু করে দাও।।
নামাজ পড়ো,দোয়া কর।
এক্সাম ভালো হবে।
জিপিএ-৫ ও আসবে।
হতাশায় পড়ে থাকলে জিপিএ-৫ আসবে না।
জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য চেষ্টা আর ইচ্ছা থাকতে হবে।
চেষ্টা আর ইচ্ছা থাকলে সব হয় সব।
সুতরাং টেনশন না করে এই সময়টুকু কাজে লাগাও।
ট্রাস্ট মি,
রেজাল্ট ভালো হবে।
ইনশাআল্লাহ।?
full credit :Shihab sir
?কিছু কথা?
আমরা Android phone use করতে অনেক সমস্যায় পরি।কিন্তু ঠিক সময়ে কি করলে সমস্যা থেকে পরিত্রান পাব তা জানিনা। এজন্য আমরা একটি fb group খুলছি। যা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। তাই পোস্ট টি ভাল লাগলে আমাদের গ্রুপে জয়েন করার জন্য অনুরোধ করছি। free facebook link Trick Share Bd
facebook link Trick share Bd
পাশে থাকুন পাশে থাকব…
কোন ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
সবাইকে পোষ্টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সকলেই ভালো থাকুন।