Site icon Trickbd.com

(বাংলাদেশ ভ্রমন পর্বঃ১) সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপ [ ঈদে ঘুরতে যেতে চাচ্ছেন তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য] কি কি দেখতে পাবেন,কিভাবে যাবেন,কোথায় থাকবেন+হোটেলের ফোন নাম্বার

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম

ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের পোস্টে।

আপনাদের কাছে আশা করছি………..

  • আমার পোষ্টে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সংশোধন করে নেবার সুযোগ দিবেন।
  • পোস্ট যদি আপনাকে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি লাইক দিবেন
  • (অনুরোধ সকলের কাছে) অবশ্যই বাজে মন্তব্য করবেন না
  • যদি না বুঝে থাকেন তাহলে বারবার জিজ্ঞাসা করুন আমি বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করব।
  • অনেকে আজে বাজে মন্তব্য করে থাকে,তাদের বলছি এগুলো বন্ধ করুন
  • এবং একটি ভালো কমেন্ট আশা করছি
  • পোস্ট টা যখন এত সময় ধরে লিখতে পারছি
    তখন অবশ্যই আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দিতে পারব
    তাই কোন টপিক না বুঝলে কমেন্টে জানান। এখন চলে যাই

    মূল পোস্টেঃ

    সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপ

    সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপ (Saint Martin’s Island) বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবালদ্বীপ (Coral Island)। এটি কক্সবাজার (Cox’s Bazar) জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর (Naf River) মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও (Narikel Jinjira) বলা হয়ে থাকে। প্রচলিত আছে অনেক অনেক বছর আগে প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে এখানে দারুচিনি বোঝাই আরবের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পানির নীচে থাকা একটি বিশাল পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গে পড়ে, যার ফলে জাহাজে থাকা দারুচিনি এই দ্বীপের সবখানে ছড়িয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপের নাম হয়ে যায় ‘দারুচিনির দ্বীপ’। এখানে হুমায়ুন আহমেদের লেখা ও তৌকির আহমেদের পরিচালনায় দারুচিনির দ্বীপ (Daruchini Dwip) মুভির স্যুটিং হয়েছিল।

    সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন ৫টি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড হতে আসা যাওয়া করে। সেন্ট মার্টিনের আসল মজা একরাত না থাকলে উপভোগ করা সম্ভব নয়। আরো ভাল হয় দুইরাত থাকলে। সেক্ষেত্রে ১টা দিন ছেড়া দ্বীপের (Chera Dwip) জন্য, আরেকটা দিন সেন্টমার্টিনের জন্য বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। প্রতিদিনের পর্যটকরা বিকেলের মধ্যেই ফিরে যায়, তাই বিকেলের পর থেকে দ্বীপে ঘুরে বেরানোর মজাই আলাদা। আর যদি ভরা পূর্ণিমায় যেতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই, রাতের বেলা সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপে ঘুরে বাড়াবেন আর বাঁচার ইচ্ছেটা বাড়িয়ে নিবেন।

    সাইকেল ভাড়াঃ

    দ্বীপের কয়েক জায়গা বিশেষ করে পশ্চিম বীচ থেকে সাইকেল ভাড়া নেওয়া যায় ঘন্টা প্রতি ৬০-৮০টাকায়। বীচ 

    সেন্ট মার্টিন’স এ ঘুরতে যাওয়ার জন্যে কিছু টিপসঃ

    . সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকেই, কেয়ারীসহ বেশ কিছু ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন।
    ২. নভেম্বর থেকে মার্চ পযন্ত মাত্র ৪ মাস জাহাজ চলে। অন্য সময় যেতে হলে ট্রলারে করে যেতে হবে।
    ৩. সেন্টমার্টিনে এখন অনেক হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ আছে তাই থাকার জায়গার অভাব হয় না।
    ৪. সাশ্রয়ী দামে থাকতে শুক্রবার-শনিবার দ্বীপে না যাওয়াই ভালো।
    ৫. দ্বীপে সবকিছু বাইরে থেকে যায়, তাই খাবার খরচ তুলনামূলক বেশি।
    ৬. তিনদিনে জনপ্রতি খরচ হবে ৫-৬ হাজার টাকা। দলবল বড় করে আরো কমে ৩-সাড়ে ৩ হাজার টাকায় ঘুরে আসা যায়।

    সেন্ট মার্টিন’স কিভাবে যাবেনঃ

    ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে বাসে করে টেকনাফ যাওয়া যাবে। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদে টেকনাফের বাস পাওয়া যায়। ঈগল, মডার্ন লাইন, এস আলম, শ্যামলী, গ্রীন লাইন ইত্যাদি বাস টেকনাফ যায়।  ১০-১৩ ঘণ্টা লাগে পৌঁছাতে। চট্টগ্রাম ও কক্স-বাজার থেকে নিয়মিত বাস পাওয়া যায় টেকনাফ এর উদ্দেশে। কক্স-বাজার থেকে মাইক্রো বাস ভাড়া করেও টেকনাফ যাওয়া যায়।

    টেকনাফের জাহাজ ঘাটে গিয়ে আপনাকে সীট্রাকের টিকেট কাটতে হবে। ভাড়া ৪৫০-৫৫০ টাকা (ফেরতসহ)। টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিনের দুরত্ব ৯ কিমি

    সেন্ট মার্টিন’স এ কোথায় থাকবেনঃ

    সেন্টমার্টিনের বেশ কিছু হোটেল ও রিসোর্টের নাম ও টেলিফোন নম্বর

    ১। 

    ব্লু মেরিনঃ

     ০১৮১৯০৬৩৪১৮, ০১৭২২৪৭৩৬১৩, ০১৮১৯০৬৩৪২৫, ০২৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১,৯৩৫৯২৩০ (ঢাকা থেকে বুকিং দিতে হবে)
    ২।  

    কোরাল ব্লু রিসোর্টঃ 

    ০১৭১৩১৯০০১৩, ০১৭১৩১৯০০০৭
    ৩। প্রাসাদ প্যারাডাইসঃ ০১৭১৩০৬২৫৬৯

    কোথায় খাবেনঃ

    এখানে প্রায় সকল আবাসিক হোটেলের রেস্টুরেন্ট আছে, তাই আপনি চাইলে ওখানে খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া সব খাবার হোটেলের বাইরে টেবিলে সাজিয়ে রাখা হরেক রকমের জ্যান্ত মাছ থেকে বেছে নিয়ে অর্ডার দিতে পারবেন।
    *********——–*********———**********

    Credit:Books of BD Travel,Department of travellers

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
    ________________________________

    আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি,

    T

    H

    A

    N

    K

    S


    for reading my post,good bye

    Exit mobile version