সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা
জানিয়ে আজকের টিউন শুরু করছি।
আশা করি সকলেই অনেক ভাল
অাছেন। আজকে আপনাদের সাথে
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি , জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে
বিখ্যাত কিছু কবিতা , তাঁর কিছু উক্তি ,
তাঁকে নিয়ে বিশ্ববরণ্যে ব্যক্তিদের কিছু
উক্তি ধারাবাহিক ভাবে সেয়ার করার চেষ্টা করবো।
—————————-
১। যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু
মরে নাই তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা
আমরা পেতাম খুঁজে জাতির পিতা ।
গীতিকার ও সুরকার : হাসান মতিউর রহমান
শিল্পী : সাবিনা ইয়াসমিন
২। ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে/
লক্ষ্য মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি/
আকাশে বাতাসে উঠে রণি।/
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।’
গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুরকার :
অংশুমান রায়।
আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন
মজুমদার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম গান রচনা
করেন।
৩।’যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী যমুনা
বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’ দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা – রক্তগঙ্গা বহমান নাই নাই ভয় হবে হবে জয়- জয় মুজিবুর রহমান
—–অন্নদাশঙ্কর রায় । প্রথম কবি, যিনি
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন।
৪।“নরহত্যা মহাপাপ, তার চেয়ে পাপ আরো
বড়ো করে যদি তাঁর পুত্রসম বিশ্বাসভাজন
জাতির জনক যিনি অতর্কিতে তাঁরেই নিধন।
নিধন সবংশে হলে সেই পাপ আরো গুরুতর।”
———অন্নদাশঙ্কর রায়
<<<<<<<<<>>>>>>>> (শেখ মুজিব আমার নতুন কবিতা)
.——————————————————-
“আমি আমার সমস্ত কবিত্ব শক্তি উজাড় করে যে-কবিতা লিখেছি তার নাম শেখ মুজিব, এই মুহূর্তে আর কোনো নতুন কবিতা লিখতে পারবো না আমি কিন্তু এই যে প্রতিদিন বাংলার প্রকৃতিতে ফুটছে নতুন ফুল শাপলা-পদ্ম-গোলাপ সেই গোলাপের বুক জুড়ে ফুটে আছে মুজিবের মুখ
এদেশের প্রতিটি পাখির গানে মুজিবের
প্রিয় নাম শুনি,মনে হয় এরা সকলেই আমার চেয়ে আরো বড়ো কবি।
শেখ মুজিবের নামে প্রতিদিন লেখে তারা
নতুন কবিতা”
================================
নির্মলেন্দু গুন
কবি নির্মলেন্দু গুণ বঙ্গবন্ধুকে স্বভাব কবি
বলেছেন। নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন ‘শেখ
মুজিব : ১৯৭১’, আমি যেন কবিতায় শেখ
মুজিবের কথা বলি । তাঁর ‘আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি। শিরোনামের কবিতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি আবেগী হয়ে উচ্চারণ করেছেন,,,,,,,,,,,
“সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি,রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেইসব গোলাপের একটি গোলাপ গতকাল আমাকে বলেছে,আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
… … … … … … … … …
আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি
আমি আমার ভালোবাসার কথা বলতে
এসেছিলাম।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ অসংখ্য
কবিতা লিখেছেন। তিনি কবিতায়
দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতির পথ
প্রদর্শক। জাতির মুক্তি নায়ক হিসেবে কবি
শেখ মুজিবের কথা উচ্চারণ করেছেন
‘স্বাধীনতা শব্দটি কিভাবে আমাদের হল’
কবিতায়। ——
“শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে ,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন ৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,হৃদয়ে লাগিল দোলা ,জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা,
কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী ?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর
অমর কবিতা খানি
এবারের সংগ্রাাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
==============================
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি |
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তিনি স্বপ্নের মত সত্য ভাষণের কথা বলতেন
সুপ্রাচীন সংগীতের আশ্চর্য ব্যাপ্তির কথা
বলতেন
তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
====================
জসীমউদ্দীন ১৯৭১
সালের অগ্নিগর্ভ সময়ে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ
করেছেন এই প্রত্যয়দীপ্ত শব্দগুচ্ছে :
মুজিবুর রহমান
ওই নাম যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি উগারী
বান। বঙ্গদেশের এ প্রান্ত হতে সকল প্রান্ত
ছেয়ে জ্বালায় জ্বলিছে মহা-কালানল
ঝঞ্ঝা অশনি যেয়ে। … … বাঙলা দেশের
মুকুটবিহীন তুমি প্রসূর্ত রাজ, প্রতি বাঙালির
হৃদয়ে হৃদয়ে তোমার তক্ত তাজ।
(জসীমউদ্দীন/’বঙ্গবন্ধু’)
======================
।। কবি রফিক আজাদ।।
৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টে ৩২ নম্বর বাড়ির যে সিঁড়িতে পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর নিথর দেহ, সেই সিঁড়ি নিয়ে এক অসামান্য কবিতা লিখেছেন কবি রফিক আজাদ।সেই সিঁড়ির রক্তধারাতেই যেন পবিত্র হয়েছে সমগ্র স্বদেশ, পবিত্র হয়েছে স্বদেশের মানচিত্র। রফিক আজাদের ভাষায় :
এই সিঁড়ি নেমে গেছে বঙ্গোপসাগরে,/
সিঁড়ি ভেঙ্গে রক্ত নেমে গেছে-/
বত্রিশ নম্বর থেকে/
সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে/
অমল রক্তের ধারা বয়ে গেছে
বঙ্গোপসাগরে।…/
স্বদেশের মানচিত্রজুড়ে পড়ে আছে বিশাল
শরীর।
======================
।।আখতারুজ্জামান।।
‘বাঙালি, একটি ফিনিক্সপাখি’
শিরোনামের কবিতায় কবি আখতারুজ্জামান
আজাদ,,,,,,,,,,
“আমরা বাহান্নতে মরেছি দলে দলে,
আমরা পঁচাত্তরে মরেছি সপরিবারে।
… … … … … … … …
পরাজিত শক্তি যখন হেঁটে বেড়ায় বিজয়ীর
বেশে,
যখন ফুলেরা কাঁদে, হায়েনারা হাসে;
যখন মানুষ ঘুমায়, পশুরা জাগে;
তখন আমার ঠিকানায় আসে সেই পুরনো পত্র,
তখন আমার কানে ভাসে সেই পুরনো ছত্র
“এ বা রে র সংগ্রাম আমাদের মু ক্তি র
সংগ্রাম!
এ বা রে র সংগ্রাম স্বা ধী ন তা র সংগ্রাম!
জ য় বাং লা!”
============================
।।শামাসুর রহমান।।
কবি শামসুর রাহমান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে
কবিতা লিখেছেন অসংখ্য। বঙ্গবন্ধুর মহা
প্রয়াণেও যেন তিনি বেঁচে আছেন প্রকৃতির
মাঝে এমনটিই তিনি বলেছেন
‘ তিনি এসেছেন ফিরে’ কবিতায়।,,,,,,,,,,,,,,,,,,
“লতাগুল্ম বাঁশঝাড়, বাবুই পাখির বাসা আর
মধুমতি নদীটির বুক থেকে বেদনা বিহবল
ধ্বনি উঠে মেঘমালা ছুঁয়ে
ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলায়।
এখন তো তিনি নেই, তবু সেই ধ্বনি আজ শুধু তাঁরই কথা বলে;
ভীষণ অসুস্থ আমি, শ্বাসরোধকারী
আমার ব্যাধির কথা জানে নীলিমা, পাখির
ঝাঁক, গাছগাছালি আর জানে ক্ষয়িষ্ণু স্বপ্নসম্ভব,আমার ঘরের চার দেয়াল। অসুস্থতা নেকড়ের মতো চিবিয়ে খাচ্ছে আমার মেদমজ্জা।
“অন্ধের দেশে কে দেবে অভয়?” অথবা, “কান পেতে থাকি দীপ্র কণ্ঠ শোনার আশায়,/
কাকের বাসায় ঈগলের গান কখনো যায় কি
শোনা?”
————————
‘ধন্য সেই পুরম্নষ’-এর শেষ চারটি লাইন_
———————
ধন্য সেই পুরম্নষ, যাঁর নামের ওপর পতাকার
মতো/ দুলতে থাকে স্বাধীনতা/ধন্য সেই পুরম্নষ, যাঁর নামের ওপর ঝরে/ মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি।’
==============================
অ জ য় দা শ
বঙ্গবন্ধু : আদিগন্ত যে সূর্য,
বাঙালি কি বাঙালি হয় শাড়ি, ধুতি,
লুঙ্গিছাড়া? থাকে না তার বর্গ কিছুই না থাকলে টুঙ্গিপাড়া। সুর অসুরে হয় ইতিহাস, নেই কিছু এ দু’জীব ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে দেবতা নেই মুজিব ছাড়া।
আজকে এপর্যন্তই শেষ করছি আগামি পর্বে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হবে। ৫/৬ টি আর্টিকেলের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত সকল তথ্য তুুলে ধরার চেষ্টা করবো। সকল কে ধন্যবাদ
তথ্য সুএঃ ইন্টারনেট,ব্লগ,অনলাইন পত্রিকা
যেকোনো সময়
ফেসবুকে আমি