অসমা্প্ত আত্মজীবনী অনুবাদ
. ,=================
১। চীনা ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’
গ্রন্থটির অনুবাদক >>> চাই সি
২। জাপানী ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’
গ্রন্থটির অনুবাদক >>> কাজুহিরো
ওয়াতানাবে
৩। ইংরেজি ভাষায় ‘‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’
গ্রন্থটির অনুবাদক >>> ফকরুল আলম
৪।আরবিতে অনুবাদ করেন প্রফেসর ড. আবু
রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, এম পি
৫। হিন্দি (প্রস্তাবিত
৬। স্প্যানিশ((প্রস্তাবিত
—————————
“অসমাপ্ত আত্নজীবনী” সম্পর্কে কিছু তথ্য।
♦বই য়ের নামঃ
বাংলায় – অসমাপ্ত আত্নজীবনী।
ইংরেজীতে- Unfinished Memoirs.
♦প্রথম প্রকাশঃ ২০১২।
♦প্রকাশকঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, দি
ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড।
♦প্রচ্ছদঃ সমর মজুমদার।
♦কম্পিউটার ফরমেটিং: মোঃ নাজমুল হক।
♦কন সাল্টিং এডিটরঃ বদিউদ্দিন নাজির।
♦কম্পিউটার গ্রাফিক্স ও স্ক্যানঃ ধনেশ্বর
দাশ চম্পক।
♦গ্রন্থস্বত্বঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট ২০১২।
♦পৃষ্ঠাঃ ৩২৯।
♦মূল্যঃ ৫২৫ টাকা।
♦রচনাকালঃ ১৯৬৬ – ৬৯।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থাকা
অবস্থায়।গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত
ওনার আত্নজীবনী লিখেছেন।
♦আত্নজীবনীটি প্রকাশে যাঁরা
নিরলসভাবে কাজ করেছেনঃ
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, আবদুর রহমান
রমা, মনিরুন নেছা, ইতিহাসবিদ প্রফেসর এ
এফ সালাহউদ্দীন আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
প্রফেসর শামসুল হুদা হারুন, অধ্যাপক
শামসুজ্জামান খান, বেবী মওদুদ।
♦ভূমিকা লিখেনঃ
শেখ হাসিনা।প্রথমবার ২০০৭ সালে
কারাবন্দী অবস্থায়, পরবর্তিতে ২০১০ সালে
গণভবন থেকে।
♦বইটির প্রথম লাইনঃ “বন্ধুবান্ধবরা বলে
তোমার জীবনী লেখ”।
♦শেষ লাইনঃ “তাতেই আমাদের হয়ে গেল”।
♦বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্নজীবনীর ৪ খানা
খাতা শেখ হাসিনার হাতে আসেঃ
বঙ্গবন্ধুর মহাপ্রয়াণের ২৯ বছর পর ২০০৪
সালের ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে
ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পর পরই।
♦বঙ্গবন্ধু ওনার বাংলার মানুষদের একটি
বিশেষণে বিশেষায়িত করতেন, সেটি হলঃ
“দুঃখী মানুষ”।
অনুদিত হয়েছে।এগুলো হল–
১।ইংরেজী। অনুবাদক – মোঃফকরুল আলম।
২।জাপানি।অনুবাদক – কাজুহিরো
ওয়াতানাবে।
৩।আরবী। অনুবাদক – প্রফেসর ড. আবু রেজা
মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
৪।চীনা।অনুবাদক – চাই সি।
এছাড়াও খুব শিঘ্রই হিন্দী ও স্প্যানিশ
ভাষায় অনুদিত হবে।
♦বইটিতে যা আছেঃ
আত্নজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, বংশ
পরিচয়, শৈশব, শিক্ষাজীবন, দুর্ভিক্ষ, বিহার
ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, প্রাদেশিক
মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের
রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম
লীগের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ
ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট
সরকার, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান
কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন।
এছাড়াও আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা
মাতা, সন্তান সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা
সহধর্মিণীর কথা।
♦বঙ্গবন্ধুকে বলা ওনার পিতার উক্তিঃ
“Sincerity of purpose and honesty of purpose”.
♦বঙ্গবন্ধুর মা শেরে বাংলাকে উদ্দেশ্য
করে ওনাকে বলেনঃ
“বাবা যাহাই কর, হক সাহেবের বিরুদ্বে
বলিও না”।
♦শেরে বাংলা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর
উপলব্ধিঃ “শেরে বাংলা মিছামিছিই শেরে
বাংলা হন নাই।বাংলার মাটি ও তাঁকে
ভালবেসে ফেলেছিল।যখনই হক সাহেবের
বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা
পেয়েছি”।
♦বঙ্গবন্ধু শেরে বাংলাকে নানা বলে
ডাকতেন।বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শেরে বাংলার
উক্তিঃ
“আমি বুড়া আর মুজিব গুড়া, তাই ওর আমি
নানা ও আমার নাতি”।
♦হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে
উদ্দ্যেশ্য করে বঙ্গবন্ধুর অভিমানী উক্তিঃ
“If I am nobody, then why have you invited
me? You have no right to insult me.I will
prove that I am somebody. Thank you sir. I will
never come to you again”.
♦বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা কে ডাকতেনঃ হাচু।
♦পুর্বপাকিস্থান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠনের
সময় অলি আহাদের প্রস্তাব ছিল, এর নামকরন
“পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ” করা হোক।
♦যাদের গান শুনে বঙ্গবন্ধু মুগ্ধ হয়েছিলেনঃ
আব্বাসউদ্দিন আহমেদ, সোহরাব হোসেন,
বেদারউদ্দিন সাহেব।
♦দার্শনিক বঙ্গবন্ধুঃ
১।একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি
নিয়েই আমি ভাবি।একজন বাঙালি হিসাবে
যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই
আমাকে গভীরভাবে ভাবায়।এই নিরন্তর
সম্পৃিক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয়
ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার
তোলে।
২।রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা
বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার
আত্বীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে
দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে
বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।
♦বইটির এমন একটি ঘটনা বলুন, যা আপনাকে
প্রবলভাবে নাড়া দেয়ঃ
(নিজের ভাষায়, এর উত্তরে আপনার নিজের
যে অংশ ভালো লেগেছে তাই ই বলবেন)
নমুনাঃ
১।বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একজন মানুষ, যাঁকে
কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করার মত
শব্দভাণ্ডার আমার নেই।বঙ্গবন্ধু ওনার নিজের
আত্নজীবনী লিখতে গিয়ে নিজেকে নয় বরং
অন্যদেরকেই নায়ক করে তুলেছেন।যেমনঃ
শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের
জনপ্রিয়তাকে তিনি স্পষ্টভাবে বইটিতে
ফুটিয়ে তুলেছেন।বঙ্গবন্ধু নির্ধিদ্বায়
লিখেছেনঃ একদিন আমার মনে আছে একটা
সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক
সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন
পাকিস্তান চান না এখন? কেন তিঁনি
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে
মন্ত্রীসভা গঠন করছেন? এই সমস্ত আলোচনা
করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধলোক যিনি আমার
দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল
সময়ই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব
শ্রদ্ধা করতেন—- দাড়িয়ে বললেন, যাহা
কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্বে কিছুই
বলবেন না।তিঁনি যদি পাকিস্তান না চান,
আমরাও চাইনা। জিন্নাহ কে? তার নামও তো
শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।
বঙ্গবন্ধু একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন
বিধায় তিঁনি লিখেছেন, শুধু এইটুকু না, যখনই
হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা
দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ
আমাদেরকে মারপিট করেছে।অনেক সময়
ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য
হয়েছি, মার খেয়ে।
২।১৯৩৭ সালে বঙ্গবন্ধু ওনার গৃহশিক্ষক আবদুল
হামিদ এম এস সি এর উদ্বোগে মুসলমানবাড়ি
থেকে প্রত্যেক রবিবার মুষ্ঠি ভিক্ষার চাল
ওঠাতেন।এই চাল বিক্রি করে তিনি গরিব
ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার ও অন্যান্য খরচ
দিতেন।
তথ্য সুএ ইন্টারনেট