আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সকলে ভাল আছেন। আমিও মোটামুটি ভাল আছি।প্রথমেই সকলকে ধন্যবাদ জানাই পোস্ট টি পড়ার জন্য।আশা করি ধৈর্য সহকারে পুরো পোস্ট টি পড়বেন।
চলুন পোস্ট এর টপিক এ চলে যাই,
মানুষ জন্মগত ভাবে সমাজবন্ধন তাই সবাই সবাই সব সময় চাই অন্যদের খোজ খবর নিতে বা তাদের সাথেই থাকতে। তার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পথ অবলম্বন করে।
আর ইন্টারনেট সেটাকে অনেক সহজতর করে দিয়েছে।।
শত শত সোসিয়াল নেটওয়ার্ক এর মাঝে সবচেয়ে বেশি পপুলার ওয়েবসাইট গুলাতে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের engagement. প্রত্যেকটি সাইট আমাদের দিয়ে থাকে ভিন্ন ভিন্ন সুযোগ সুবিধা।
একটি সোর্স থেকে জানা গেছে,
২বিলিয়নের ও বেশি মানুষ বর্তমানে সোশ্যাল অ্যাপ/ওয়েবসাইট ইউজ করে ২০১৫ সালের রেকর্ড অনুযায়ী।যেটা ২০১৮ সালে ২.৬বিলিয়ন ক্রস করেছে।
———————-
তো আজ আমরা সেইসব ওয়েবসাইটের ভিতরে কিছু পপুলার ওভেবসাইট সম্পর্কে জানবো।
1. Facebook
পপুলারিটির দিক দিয়ে সবার উপরেই আছে ফেসবুক এর নাম। বিশ্বের প্রায় সবখানে প্রশ্বস্ত ও সবচেয়ে বড় সোসিয়াল প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক।
ফেসবুক হচ্ছে একমাত্র ওয়েবসাইট যে প্রথম ১বিলিয়ন ইউজার এর লক্ষ হিট করেছে।
বর্তমানে ফেসবুকে ১.৫৯ বিলিয়ন এক্টিভ ইউজার আছে প্রত্যেক মাসে।
ফেসবুক বর্তমানে তাদের ইউজার হারাচ্ছে। 3rd পার্টি ক্যাচ এর জন্য ফেসবুক ইউজারদের সব ডাটা চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে।
যদি ফেসবুক সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সিকিউরিটি আরো স্ট্রং করার।
2. WhatsApp
ফেসবুকের অনেক পরে Whatsapp আসলেও ফেসবুক কে দারুন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসে Whatsapp তাদের চমৎকার সব ফিউচার নিয়ে।এই অ্যাপ এর সবচেয়ে ভাল বিষয় হলো সিকিউরিটি এনক্রিপ্টেড।অন্যদের সাথে ইন্সট্যান্টলি ও সহজে চ্যাট করার ফিউচার whatsapp কে মিলিয়ন এর উপর মেম্বার এনে দেয়।
whatsapp এর কল করার ফিউচার তখন ছিলো সোনায় সোহাগা।যেটা সকলের মন কাড়ে।
প্রত্যেকমাসে ১বিলিয়নের মতো এক্টিভ ইউজার Whatsapp এ আছে।
৩. QQ
পুরো নাম Tencent QQ হলেও সাধারণত QQ নামেই পরিচত এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম টি।
চায়নার এই প্ল্যাটফর্ম টি ৮০দেশের ও বেশি মানুষ ব্যবহার করে।
সাধারণত অন্যান্য অ্যাপ গুলোর মতো এটা দিয়ে টেক্সট,ভিডিও কল ও ভয়েস চ্যাট এ একে অন্যের সাথে কানেক্ট থাকা যায়।
৮৯৩ মিলিয়ন ইউজার প্রত্যেকমাসে এই অ্যাপ টি ইউজ করে।
4. WeChat
এটা হচ্ছে All in One অ্যাপ।যেটা দিয়ে মেসেজিং ও কলিং করা বেশ সুবিধাজনক। whatsapp এর জমজ ভাই বলা হয়ে থাকে। wechat ও ক্রিয়েট করা Tencent, chaina এর।সাপ্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে whatsapp ইউজারকারীরা Wechat এ বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে।
৬৯৭মিলিয়ন ইউজার প্রত্যেকমাসে Wechat ইউজ করে থাকে।
5. Qzone
এটা QQ & Wechat এর মত। আর এটাও চায়নার Tencent কম্পানির আওতাভুক্ত। এই প্লাটফর্ম এর ফিউচারগুলো হলো আপনি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন।গান শুনতে পারবেন ও ব্লগ লিখতে পারবেন।
৬৪০মিলিয়ন এর ও বেশি মানুষ প্রত্যেক মাসে Qzone ইউজ করে।
6. Tumblr
৬নম্বর পজিশনে আছে টাম্বলর যেটা ২০১৩ সালে ইয়াহু কিনে নেয়।মাল্টিমিডিয়া সহকারে যেকোন কিছু পোস্ট করতে পারবেন।
৫৫৫মিলিয়ন এর ও বেশি মানুষ প্রত্যেক মাসে Tumblr ইউজ করে।
৭. Instragram
ইন্সট্রাগ্রাম লঞ্চ হয়েছিল ছবি ও ভিডিও শেয়ারিং এর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে।যেকেউ খুব সহযেই যাতে ছবি তুলে মোমেন্ট টা ক্যাচ করতে পারে মূলত সেই জন্যই খোলা।
ইন্সট্রাগ্রাম বর্তমানে ফেসবুকের আওতাভুক্ত।
৫০০মিলিয়ন এর ও বেশি মানুষ প্রত্যেক মাসে Instagram ইউজ করে।
৮. Twitter
টুইটার আপনাকে সাহায্য করে বিশ্বের কাজে নিজের মনোভাব শেয়ার করতে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে।যাকে Tweet বলে।নিজের ব্যবসা প্রমোশনের সেরা মাধ্যম ও এটি।
৯. Baidu Tieba
এটি বাইদু, চায়না কম্পানির আওতাভুক্ত। বাইদু মূলত সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য বেশ পরিচিত।এই প্ল্যাটফর্মটি আপনাকে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গ্রুপ খোলার অনুমতি দেয়।
৩০০মিলিয়ন এর ও বেশি মানুষ প্রত্যেক মাসে এটি ইউজ করে।
১০. Skype
স্কাইপ মাইক্রোসফট কম্পানির আওতাভুক্ত। স্কাইপ কমিউনিকেশন এর জন্য বেশ পরিচিত, মূলত ভিডিও কলস, ভিডিও কলস(ওয়েব ক্যাম এর সাথে), টেক্সট মেসেজিং এ ফোন কল এর জন্য।
স্কাইপের সবচেয়ে ভাল দিক হলো স্কাইপ-স্কাইপ বিনা মূল্য কথা বলা যায় পৃথীবির যেকোন স্থান থেকে অন্য স্থানে।
৩০০মিলিয়ন এর ও বেশি মানুষ প্রত্যেক মাসে টুইটার ইউজ করে।
এছাড়া ভাইবার আছে ১১ নম্বরে লাইন আছে ১৩ নম্বরে স্নাপচ্যাট ১৪নম্বরে ও টেলিগ্রাম ২০ নম্বরে।রেডিট ২১ ও লিংদিন এর অবস্থান ১৯ এ।
আশা করি সকলে জেনে উপকৃত হয়েছেন।
কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য জানাতে ভূলবেন না। ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।
আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ।