Site icon Trickbd.com

সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হবে ঘোষণা দিল (ইউজিসি)। এবার থেকেই কার্যকর

Unnamed

সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে ১৯৭৩–এর আদেশে পরিচালিত চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কথা দেয়নি।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিগগির আবারও আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপরও তারা রাজি না হলে তাদের বাদ রেখেই বাকিগুলো নিয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউজিসির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমন্বিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানবিক, ব্যবসায়, বিজ্ঞান ইত্যাদি শাখার বিষয়গুলোর জন্য আলাদা পরীক্ষা হবে।
এই পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের ভিত্তিতে।
বর্তমানে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা হয়।
দুই থেকে তিন দিনে এই ভর্তি পরীক্ষা হবে। কেন্দ্রগুলো হবে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী কেন্দ্র ঠিক হবে।
তবে কোনো কেন্দ্রে (বিশ্ববিদ্যালয়) ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি পছন্দ এলে তখন মেধার ভিত্তিতে (এসএসসি ও এইচএসসির ফল) কেন্দ্র ঠিক করা হবে।
শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এতে রাজি হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত এ বিষয়ে একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু প্রকাশ্যে রাজি হওয়ার কথা বললেও পরে আবার নানা কারণ দেখিয়ে পিছিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

মূলত, ভর্তির ফরম বিক্রি বাবদ বিরাট অঙ্কের টাকা আয় থেকে শিক্ষকেরা বঞ্চিত হওয়ার ভয়েই এই পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজি হতে চায় না। অবশ্য কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্বাতন্ত্র্যের কথা বলেও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে যায়। নানা চাপে একপর্যায়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে দেশের সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। এখানেও প্রথমে আটটি বিশ্ববিদ্যালয় রাজি ছিল।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে দিনাজপুরে অবস্থিত হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যায়।
তবে বাকি সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়।
পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখে ইউজিসি।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ উপাচার্যদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করে ইউজিসি।
বৈঠকের পর ইউজিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২০-২১) থেকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মানবিক, ব্যবসায় ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রশ্নপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একযোগে অনুষ্ঠিত সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৯৭৩–এর আদেশে পরিচালিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে শিগগির বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে তাঁদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। গত বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়।
গতকালের সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তাঁদের অভিমত পুনর্ব্যক্ত করেন।
আজ দেশ ও জাতির আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক।
এখানে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ হলে দেশ ও জাতি অভিনন্দিত করবে।
ইউজিসিতে আয়োজিত এই সভায় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এখন দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে।
Source : ProthomAlo

 My Websites : Topwapbd.xyz

 My Websites : Outsideknowledge24.com