সবাই কেমন আছেন?জানি কেউই ভালো নেই।পৃথিবীর সকলেই এখন একটি ভয়ংকর সময় পার করছে।করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।বাংলাদেশেও বাদ নেই।ইত্যিমধ্যে বাংলাদেশের অনেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।তারপরও আমাদের অনেকের মধ্যে এখনও সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না।যেখানে সকলকে বলা হচ্ছে অপ্রয়োজনে বাইরে না যেতে,জনসমাগম এড়িয়ে চলতে,নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে সেখানে এখনও আমরা অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়াচ্ছি।কিন্তু এর ফলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি।এই ভাইরাসের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে তরুণরা এবং বৃদ্ধরা।তরুণদের যৌন ক্ষমতা হারানোর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এই ভাইরাসে কারণে। কেন হারাবে সেটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখায় যাচ্ছি এবার।করোনা ভাইরাস কিংবা কোভিড-১৯ এই ভাইরাসটি সাধারণত আমাদের দেহের নির্দিষ্ট কিছু কোষকে আক্রমণ করে থাকে। এই কোষগুলি হচ্ছে ACE2 রিসিপ্টর বাহী কোষ।অর্থাৎ করোনা ভাইরাস শুধুমাত্র যেসব কোষে ACE2 রিসিপ্টর আছে সেগুলিকেই আক্রমণ করে।আমাদের দেহে ACE2 রিসিপ্টর বাহী অনেক কোষ রয়েছে।এর মধ্যে পুরুষদের অন্ডকোষও রয়েছে।এর সাথে আছে ফুসফুস এবং কিডনি।অর্থাৎ এই ভাইরাস আক্রমণের ফলে আমাদের অন্ডকোষেও অনেক ক্ষতি সাধন হয়।পুরুষদের অন্ডকোষে leydig নামক একপ্রকার কোষ রয়েছে যেগুলিও ACE2 রিসিপ্টর বাহী। leydig কোষ পুরুষদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ হরমোন টেস্টোস্টেরন তৈরি করে।এই কোষগুুুলি ক্ষতিগ্রস্থ হলে শরীরে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং পুুুরুষদের শুক্রানু উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে।
এই জন্য চীনের ডাক্তাররা সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছে যেসব পুরুষরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে তাদের খুব দ্রুত শুক্রানু পরীক্ষা করতে বলেছে। কারণে এই ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে দীর্ঘমেয়াদী জটিল সমস্যা তৈরি হতে পারে।ইতিমধ্যে সবাই জেনেছেন এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা কম বয়সীদের মধ্যে অর্থাৎ তরুনদের মধ্যে খুবই কম। অর্থাৎ বৃদ্ধরাই বেশি মারা যায়। তরুণরা কম মারা গেলেও তাদের দীর্ঘমেয়াদী যে জটিল যৌন সমস্যায় আক্রান্ত করবে তাও কিন্তু চিন্তাজনক।আপনারা ইতিমধ্যে সার্স ভাইরাসের নাম শুনে থাকবেন।সার্স ভাইরাসটি ২০০৩ সালে সংক্রমিত হয়েছি।সার্স এবং করোনা এই দুইটি ভাইরাসই একই গোত্রের।এদের ডিএনএর মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মিল রয়েছে।এবং সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে এই ভাইরাসটিও করোনা ভাইরাসের মত ACE2 রিসিপ্টর বাহী কোষগুলিকে আক্রমন করে। এবং ফলস্বরূপ ২০০৩ সালেও প্রচুর পুরুষ অন্ডকোষে দীর্ঘমেয়াদী ইনফেকশনের সম্মুখীন হয়েছিল। তাই চীনের ডাক্তাররা সতর্ক করেছেন।
বিদ্রঃ আমি কিন্তু ভুল কিছু প্রকাশ করছিনা। কিছুদিন আগে এই বিষয়ে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কিছু নিউজ পোর্টালে এই নিয়ে সংবাদ বেরিয়েছে।এছাড়া মেডিকেল সাইটগুলোতেই অলরেডি এটি নিয়ে আলোচনা উঠেছে।
ইংল্যান্ডের নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ-
১) Coronavirus ‘may cause damage to men’s testicles’, doctors warn
এই বিষয়ে প্রকাশিত মেডিকেল পেপারঃ
ACE2 Expression in Kidney and Testis May Cause Kidney and Testis Damage After 2019-nCoV Infection
এই বিষয়ে যদি আরও কিছু জানার থাকে মন্তব্য করতে পারেন।আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।আর পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যকে জানাতে এবং সচেতন করতে সাহায্য করুন। সবার সুস্থতা কামনা করছি।
এছাড়া যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন দিয়ে উত্তর পেতে ভিজিট করুন nirbik.com