কোনো ধরনের সহিংসতার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত বা ভিকটিম সহায়তা চেয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ভিকটিম, তার পরিবারের সদস্য এবং সাক্ষীর কথা শুনে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। ভিকটিমের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে আইনি সহায়তা ছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুনরায় ভিকটিম হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য ভিকটিমকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। ভিকটিমের ঠিক কী প্রয়োজন সেটা বিবেচনা করে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভিকটিমের জন্য পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করে। দুর্ঘটনায় আহত ভিকটিমের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। নারী ও শিশু ভিকটিমের বিষয়টি সহানুভূতির সাথে দেখা হয় এবং নারী পুলিশ সদস্য বিষয়টি তদারক করেন। ধর্ষণ এবং যৌতুক বিষয়ে নারী ভিকটিমকে প্রশ্ন করার সময় যাতে তারা কোনো বিব্রতকর বা আপত্তিকর প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়। ধর্ষণের ক্ষেত্রে আলামত সংগ্রহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এক নজরে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট কার্যক্রম :
– ধৈর্যের সাথে ভিকটিমের কথা শোনা।
– ভিকটিমের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা।
– প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
– প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করা।
– অপরাধী গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা।
– অপরাধীর শাস্তিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করা।
ভিকটিম সাপোর্টে পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপ : ভিকটিমদের যথাযথ সেবা প্রদানের বিষয়টি খুব সহজ মনে হলেও এ বিষয়টি বাংলাদেশের ভিকটিমের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং ভিকটিমকে পরিবার ও সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দেওয়ার পথে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ পুলিশ পিআরপি’র সহায়তায় ভিকটিমদের যথাযথ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তেজগাঁও থানা সংলগ্ন একটি পৃথক ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন করেছে। প্রধানত তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ কেন্দ্রটি কাজ করছে-
ক. ভিকটিমদের সেবার মান উন্নত করা।
খ. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধা দূর করে ভিকটিমদের ওপর সংঘটিত অপরাধ রিপোর্টিংয়ের সুযোগ নিশ্চিত করা।
গ. ভিকটিমদের সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বাংলাদেশ পুলিশ ভিকটিমদের পেশাদারি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এনজিওদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সেবা প্রদানের উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।