বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর আবিষ্কার, কম্পিউটারের আশ্চার্যজনক সব কান্ডকারখানা সত্যিই হতবাক করে দেয়। তাই কিভাবে এটা কাজ করে তা জানার আগ্রহ সবারই থাকার কথা। সামান্য ছোট্ট একটি যন্ত্রের মধ্যে এমন কি শক্তি আছে ! যার কারণে এত দ্রুত এতসব কাজ সম্পাদন করতে পারে ? তো চলেন শুরু করি:-
আমরা যখন কম্পিউটারের কীবোর্ড থেকে একটি কী চাপি প্রায় সাথে সাথেই মনিটরের পর্দায় ফুটে উঠে আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেই অক্ষর বা সংখ্যা। মজার ব্যাপর হলো কম্পিউটার কিন্তু কোন অক্ষর বা সংখ্যা কিছুই বোঝে না। তার কাছে মাত্র দু’টো সংখ্যা পরিচিত। সেটা হলো-‘১’ এবং ‘০’।
এই ১ এবং ০ এর সাহায্যে কম্পিউটার আমাদের যাবতীয় তথ্য বা নির্দেশকে মনিটরের পর্দায় ফুটিয়ে তোলে।আবার এই ০ আর ১ সংখ্যার মানেও কিন্তু কম্পিউটারের কাছে ভিন্ন রকম।কম্পিউটার বোঝে ০ মানে ‘না’ এবং ১ মানে ‘হ্যাঁ’, অন্য অর্থে ০ মানে অফ(বন্ধ)এবং ১ মানে অন(চালু)।
উদাহরণ স্বরূপ আপনার বাসার বৈদ্যুতিক পাখাই ধরা যাক, যার একটি সুইচ আছে। যখন সুইচ অন করা হবে পাখা চলবে, আবার অফ করা হলে বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যপারটা এমন হয় পাখা চলবে না হয় বন্ধ হয়ে যাবে এর মাঝখানে কোন পথ বা ব্যবস্থা নেই।
ঠিক এমনই একটি নিয়মের মধ্যে থেকে কম্পিউটার তার যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে।হয় সে অফ বুঝবে নাহয় অন বুঝবে। অর্থাৎ হয় ০ বুঝবে নাহয় ১ বুঝবে এর বাইরে বা মাঝখানে কোন কিছুই বোঝেনা। কম্পিউটারের ভাষায় এই দু’টো সংখ্যাকে বলা হয় বাইনারী সংখ্যা।পাখা চলাকে বাইনারী ১ এবং বন্ধ হওয়া কে বাইনারী ০ ধরে।
কল্পনাতীত ব্যপার যে, কম্পিউটার যখন চালু অবস্থায় থাকে, তখন তার ভেতরকার ছোট্ট সিলিকন চিপসের উপর বসানো মাইক্রোপ্রসেসরের মধ্যদিয়ে বয়ে চলে উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ প্রবাহ। এই প্রবাহ বয়ে চলার সময় সৃষ্টি করে নানা ধরণের স্পন্দন- ইংরেজিতে যেটাকে বলা হয় পালস।আর এই পালস থেকে তৈরি হয় সংকেত বা কোড।কম্পিউটার সোজাসুজি কোন অক্ষরকে চিনতে পারে না। প্রতিটি সংখ্যা বা অক্ষরের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কোড। এই কোড নম্বর ০ আর ১ দিয়েই তৈরি। কীবোর্ডের প্রতিটি অক্ষর বা সংখ্যার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ভাবে সাজানো আটটি বাইনারী সংখ্যা-যা দিয়ে তৈরি হয় একটি কোড।