ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাসের আলোকে ১ নভেম্বর (রোববার) থেকে শুরু হয়েছে ইবতেদায় ও দাখিল শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এরপর সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করার নির্দেশনা দিয়েছে মাদরাসা বোর্ড।
প্রতি সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থী তিনটি অ্যাসাইনমেন্ট পাবে, যার উত্তর তাদের লিখতে হবে পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করে। নোট বা গাইড বই দেখা চলবে না এবং অন্যের লেখা নকল করেও অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া যাবে না।
শিক্ষার্থীকে প্রতি সপ্তাহে প্রত্যেক বিষয়ে একটি করে বাড়ির কাজ দিয়া হবে। প্রত্যেক বিষয়ে ৮ সপ্তাহে প্রস্তাবিত ৮টি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক কাজের মূল্যায়ন করবেন। এ কার্যক্রমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে কোনো সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের কী মূল্যায়ন করা হবে, সেই পরিকল্পনা ধরে নির্ধারিত কাজ বা অ্যাসাইনমেন্ট ঠিক করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ওই সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্টগুলো দিয়ে দেওয়া হবে।
সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নতুন কাজ বুঝে নেবে। অভিভাবক বা অন্য কারও মাধ্যমে বা অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া যাবে।
অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর, সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর, প্রতিবেদন প্রণয়নের মত কাজ রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য।
সাদা কাগজে নিজের হাতে লিখে শিক্ষার্থীদের ওই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। অভিভাবক বা তার প্রতিনিধি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতি সপ্তাহে এক দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবেন এবং তা জামা দেবেন।
আর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অ্যাসাইনমেন্টের কাজের জন্য পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করতে হবে; গাইড বই, নোট বই বা কেনা নোটের প্রয়োজন নেই।
মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিজস্বতা, স্বকীয়তা, সৃজনীলতা যাচাই করা হবে। তাই অন্যের লেখা নকল করে জমা দিলে তা বাতিল করা হবে। নতুন করে সেই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করুন