আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। সম্মানিত পাঠক গন আমরা যারা ইংরেজিতে দুর্বল, তাদের জন্য আমরা বিভিন্নভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে যারা স্কুলে কিংবা কলেজে, গ্রামারের কোন কিছুই মনে রাখতে পারেন না। বা স্কুলে প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে না জানার জন্য দিতে পারেন না বিশেষ করে ইংরেজিতে। গ্রামারের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে, বিশেষ করে আমরা সহজ একটি প্রশ্ন সবাই জেনে থাকি সেটি হল যে, Narration ন্যারেশন এর সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত তাই না!
ক্লাস সিক্স থেকে পরবর্তী ক্লাসে সকল ক্লাসেই প্রায় Narration রয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ন্যারেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ প্রত্যেকটি ইংলিশ পরীক্ষা জেনারেশন পড়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই আজকে আমরা Narration বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। Narration কিভাবে সহজে আপনি খাতায় লিখতে পারবেন, ন্যারেশন লেখার নিয়ম নীতি গুলো বিস্তারিত আমরা আজকের এই আর্টিকেলের শেয়ার করব।
Narration কি এবং কেন প্রয়োজন?
ন্যারেশন প্রত্যেক ক্লাস সিক্স থেকে প্রত্যেক ক্লাসে ন্যারেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ন্যারেশন এর জন্য পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। তার উত্তর সঠিকভাবে আমরা দিতে পারলে বেশ ভালই মাক্স পাই। অর্থাৎ মার্কস পাওয়ার জন্যই আমাদের ন্যারেশন খুবই প্রয়োজন। মোটামুটি ন্যারেশন এর জন্য বেশ ভালই মাক্স দেওয়া হয়। যদিও ন্যারেশন ঠিক এ কারণেই আমাদের শেখা ও জানা প্রয়োজন খুবই।
বন্ধুরা ইংলিশ গ্রামার এর অন্যতম একটি ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো ন্যারেশন। দুর্ভাগ্যবশত ন্যারেশন খুবই সহজ কিন্তু আমরা অনেকেই পারিনা। যদিও সঠিক নয় এটি আমাদের মাথায় না ঢুকার কারণে এই এই সমস্যাটি। তাই আজকে আমরা ন্যারেশন শেখার খুব সংক্ষেপ নিয়ম আপনাদেরকে বলবো। যার ফলে আপনাকে অতি সহজে নারেশন সম্পর্কে বিস্তারিত নলেজ অর্জন করতে পারবেন। এবং পরীক্ষার খাতায় ন্যারেশন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন আশা করি।
Narration কাকে বলেঃ Narration অনেক সময় স্পেস বলা হয়। সাধারণত ন্যারেশন শব্দের অর্থ হলো উক্তি। একজন ব্যক্তি যা বলে সেটাই হলো উক্তি। অর্থাৎ আপনি কিংবা আমি যে কেউ কোন কিছু বললে সেটা কে বলা হয় উক্তি। আর এই উক্তি শব্দের ইংরেজি শব্দ হলো ন্যারেশন। তাই কোন ব্যক্তি যা কিছু বলে সেটাই হলো ন্যারেশন বা উক্তি।
ন্যারেশন সাধারণতভাবে দুই প্রকারঃ
এক নম্বর Indirect Narration (পরোক্ষ উক্তি) অর্থাৎ নিজের মতো করে বলা।
দুই নম্বর Direct Narration( প্রত্যক্ষ উক্তি)
অর্থাৎ হুবহু বলা।
Direct narration থেকে Indirect Narration করতে হলে সর্বপ্রথম মনে রাখতে হবে, ডাইরেক্ট নেরেশন এর দুইটি অংশ হয়ে থাকে। সেটি হলঃ ” ” উক্ত কমার ভিতর একটি অংশ এবং বাইরে একটি অংশ থাকে। সাধারণত ভিতরের যে অংশটি থাকে সেটাকে বলা হয় রিপোর্টেড স্পিচ। আর বাইরের যে অংশটি থাকে তাকে সাধারণত রিপোর্টিং ভার্ব বলা হয়ে থাকে। তবে এখানে মনে রাখতে হবে রিপোর্টিং ভার্ব বাক্যে প্রথমে থাকতে পারে, আবার এই একি রিপোর্টিং ভার্ব বাক্যের শেষে ও থাকতে পারে।
বোঝার ক্ষেত্রে নিচে উদাহরণ দেওয়া হলঃ** Salam says, “I have seen it”
** “I have seen it”, Salam says,
উপরের উদাহরণে থেকে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি যে, রিপোর্টিং ভার্ব বাক্যের প্রথমে থাকতে পারে আবার শেষেও থাকতে পারে। এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। ইংরেজিতে ন্যারেশন পরিবর্তনের মোট চারটি কাজ করতে হয়। এই চারটি নিয়ম অবলম্বন করে সহজে ন্যারেশন লেখা যায়। চলুন এই বিষয়টা নিয়ে একটু বিস্তারিত জেনে আসি।
Narration পরিবর্তনে মোট চারটি কাজ করতে হয়?
# রিপোর্টিং ভার্ব উত্তরের শুরুতে বসাতে হবে।
# রিপোর্টিং ভার্ব ও রিপোর্টেড স্পিচ এর মাঝে ”
” কমা উঠিয়ে দিয়ে একটি সংযুক্ত চিহ্ন বসাতে হবে।
# রিপোর্টেড স্পিচ এর পারসন পরিবর্তন করতে হবে।
# উপরোক্ত চারটি রুলস দ্বারা ন্যারেশন পরিবর্তন করার পুরোপুরি সম্ভব হবে।
প্রিয় বন্ধুরা ন্যারেশন করার জন্য উপরোক্ত এই চারটি নিয়ম নীতি আপনাকে মানতেই হবে। অর্থাৎ আপনি যদি উপরের চারটি নিয়ম অবলম্বন করে নারেশন করেন তাহলে, আপনার ন্যারেশন অবশ্যই হবে অর্থাৎ নারেশন পরিবর্তন করতে আপনি সক্ষম হবেন। এখন আমরা এই ৪ টি রুলস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্পর্কে জানব। যাতে করে আপনার এই গুলো আরো বেশি ভালোভাবে মাথায় রাখতে পারেন।
১ রিপোর্টিং ভার্ব উত্তরের শুরুতে বসাতে হবে।
ন্যারেশন টি শুরু করার জন্য প্রথমে আমাদেরকে রিপোর্টিং ভার্ব এর উত্তর শুরুতে বসাতে হবে। রিপোর্টিং ভার্ব এর said পর নির্ভর করে বদলাতে হবে। আমরা সকলেই জানি সেন্টেন্স সাধারণত পাঁচ প্রকার হয়ে থাকে। এক এক রকম সেন্টেন্স এর ক্ষেত্রে একেক রকম নিয়ম রয়েছে। যেমন এগুলো সম্পর্কে একটু ধারনা দেওয়া হল নিচে।
**Assertive sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে told.
**Interrogative sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে asked.
**Optative sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে played/wished.
**Imperative sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে order/requested/advised/forbade/told.
**Exclamatory sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে exclaimed with joy/sorrow.
আশা করি আপনারা এক নম্বর রুল টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।২ রিপোর্টিং ভার্ব রিপোর্টেড স্পিচ কে সংযুক্ত চিহ্ন বসাতে হবে।
সাধারণত রিপোর্টিং ভার্ব রিপোর্টেড স্পিচ কে কমা উঠিয়ে দিয়ে একটি সংযুক্ত চিহ্ন বসাতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রেও বাক্যের উপর নির্ভর করে সংযুক্ত চিহ্ন বসাতে হবে। আগে আমরা জেনেছিলাম সেন্টেন্স এর পাঁচটি,,, এগুলো থেকে আমাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। তো চলুন এই বিষয়টা নিয়ে একটু জেনে নিই।
**Assertive sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে that.
**Interrogative sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে if/ wh শব্দ।
**Optative sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে that.
**Imperative sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে to/not to.
**Exclamatory sentence এর ক্ষেত্রে দিতে হবে that.
বন্ধুরা এখানে অবশ্যই মনে রাখবেন যে, অ্যাসেরটিভ ইমপারেটিভ এবং এক্সক্লামাটরি সেন্তেন্স এর ক্ষেত্রে that হবে। আর বাকি দুটি সেন্টেন্স এর ক্ষেত্রে বাকি দুটি ব্যবহার করতে হবে।
৩ রিপোর্টেড স্পিচ এর পারসন পরিবর্তন করতে হবে।
বাক্যের যেখানে রিপোর্টেড স্পিচ এর পারসন রয়েছে সেটা পরিবর্তন করা আবশ্যক। এবং ন্যারেশন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই রিপোর্টেড স্পিচ এর গুরুত্ব প্রচুর পরিমাণে। তো বন্ধুরা রিপোর্টেড স্পিচ এর পারসন অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। যে নিয়মে পরিবর্তন করতে হবে তা নিচে দেওয়া হল।
**রিপোর্টেড স্পিচ এ ফার্স্ট পারসন থাকলে, রিপোর্টিং ভার্ব এর সাবজেক্ট অনুযায়ী বসাতে হবে।
**রিপোর্টেড স্পিচ এ সেকেন্ড পারসন থাকলে, রিপোর্টিং ভার্ব অবজেক্ট অনুযায়ী বসাতে হবে।
**রিপোর্টেড স্পিচ এ থার্ড পারসন থাকলে, কোন পরিবর্তন হয় না বা হবে না।
৪ টেন্স পরিবর্তন করতে হবে
হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাদের এর আগে আমরা টেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত দুটি আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। ওগুলো দেখে আসলে টেন্স সম্পর্কে আরো ধারনা বেশি পেয়ে যাবেন। বাক্যের শেষে আমাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে টেন্স। টেন্স পরিবর্তন করলেই আমাদের কাজ মোটামুটি শেষ। তো চলুন টেন সম্পর্কে একটু ধারনা নিয়ে আসে কিভাবে ন্যারেশন এর জন্য।
am,is,are থাকলে, was,were থাকলে, had been.
Have,has থাকলে, had.
Shall will থাকলে, Would.
Can থাকলে, could.
May থাকলে, might.
Don’t থাকলে, didn’t.
verb-এর এক নম্বর রূপ থাকলে বসবে দুই নম্বর রুম দুই নম্বর রূপ থাকলে তিন নম্বর রূপ বসবে। তবে এগুলো সব নিয়মকানুন অনুযায়ী। প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল ন্যারেশন লেখার বেসিক শর্টকাট নিয়ম। যদিও বোঝানোর চেষ্টা করেছি বিস্তারিত তবে, ন্যারেশন লেখার আরো কিছু রুলস রয়েছে। কিন্তু সেগুলো আলাদা। সাধারণভাবে নারেশন লেখার মূল যে কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো বিস্তারিত উপরে আমরা আলোচনা করেছি।আমরা ন্যারেশন নিয়ে আরো একটি আর্টিকেল হয়তোবা পাবলিশ করব খুব শীঘ্রই, কেননা ন্যারেশন লেখার অতিরিক্ত কিছু নিয়ম রয়েছে। তবে সেগুলো যে আপনার জরুরী সেটা কিন্তু নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রুলস গুলো জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন। তাই সেগুলো নিয়ে আরও একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে খুব শীঘ্রই। আর্টিকেলটি কেমন লাগলো কমেন্টের মাধ্যমে জানান, বরাবরের মত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।