আসসালামুআলাইকুম প্রিয় ট্রিকবিডি বাসি।
কেমন আছেন সবাই ।
আশা করি ভাল আছেন সকলে।
আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।
আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে,
ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে ভিন্ন একটি পোস্ট নিয়ে।
এত বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আমাদের সবার জীবনের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো,
শিক্ষাজীবন।
ছোটবেলা থেকে আমরা সকলেই শিক্ষা এর সাথে যুক্ত।
কিন্তু অনেকেই পড়াশোনা এর ব্যাপারে সঠিক নিয়ম জানে না,
এর ফলে কঠোর পরিশ্রমের ফলে ও সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না।
এর ফলে আমাদেরকে অনেক কথা শুনতে হয়,
এমনকি নিজের কাছেও খারাপ লাগে।
আজকে আমি আপনাদের কাছে এমন কিছু টিপস শেয়ার করব,
যার ফলে শিক্ষা জীবনে অনেক উন্নতি করা সম্ভব।
প্রথমতঃ পড়তে হবে এ প্লাস পাওয়ার জন্য না,,
কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় 80 শতাংশ ছেলে মেয়ে,
এ প্লাস পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করে।
মনে করে এ প্লাস পেলে সব কিছু সম্ভব ভালো করা।
তাদের ধারনা টা ভুল,। এর ফলে তারা ঠিকই এ প্লাস পাই
কিন্তু তারা তাদের মনের বিকাশ ঘটাতে পারে না।
তারা সঠিক শিক্ষা লাভ করতে পারে না।
তাই প্রথমত এ প্লাস এর চিন্তা বাদ দিতে হবে।
তুমি নিজে যতটুকু পারবে ততটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাবে।
দেখবে একদিন সফলতা তোমার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।
দ্বিতীয়তঃ একটানা বেশিক্ষণ পড়া যাবেনা ।
কারন একটা পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে
ছাত্র-ছাত্রীরা যখন কোন একটা বিষয় নিয়ে
বেশিক্ষণ পড়াশোনা করতে যায় বা মাথা ঘামায়,
ঠিক তখন সেই বিষয়টা বিরক্তি এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এজন্য সঠিকভাবে পড়া হয়না।
এজন্য পড়ার ফাঁকে বিরতি এর দরকার।
যদি তুমি এক ঘন্টা কোন বিষয়ে পড়ো, তখন সে বিষয়টি পড়ার পরে
একটু বিরতি নিতে হবে।
সেই বিরতির সময় টুকু তুমি যা খুশি তা করতে পারো যেটা তোমার ইচ্ছা।
দেখবে কিছুক্ষণ পরে আবার নতুনভাবে তুমি উদ্দীপনা পাবে,,
পড়াশোনা এর জন্য।
তৃতীয়তঃ পড়াশোনা এর সময় বাইরের কেউ ডিস্টার্ব যেন না করে।
অথবা কেউ এসে গল্প করতে লাগল বা কথা বলতে লাগলো,
পড়া এর সময়, ঠিক তখনই আমাদের মাথায় চিন্তা আসে,
এখন না পড়লেও চলবে পরে পড়া যাবে।
কিন্তু এই ধারণাটি ভুল।
যখন কেউ এসে ডিস্টার্ব করবে বা পড়াশোনা এর সময় আসবে,
তখন তাকে পড়াশোনা এর সময়ে আসতে নিষেধ করতে হবে।
তাহলে দেখা যাবে নিজের পড়াটা ভালোভাবে হচ্ছে।
চতুর্থতঃ পড়া এর সময় ফোন বা কম্পিউটার এর আশেপাশে থাকা যাবে না,
এতে আমাদের মাইন্ডে অন্য চিন্তা আসে, তখন পড়তে ইচ্ছা হয় না
ফোন বা কম্পিউটার এর দিকে আমাদের চিন্তা চলে যায়,
এর ফলে আমাদের পড়াটা হয়না।
যতটুকু সময় পড়ার দরকার সেই সময়টুকু ফোন বা কম্পিউটার থেকে দূরে থাকতে হবে।
পঞ্চমতঃ যতটা সম্ভব জোরে পড়া উচিত।
কারন অনেকেই দেখা যায় মনে মনে পড়ে, এতে তাদের 65 শতাংশ পড়া হয়।
বাকি 35% পড়া সঠিকভাবে হয় না।
যতটা সম্ভব জোরে পড়ার চেষ্টা করতে হবে ।
পড়া হবেই ১০০%।
তো ধন্যবাদ সবাইকে ।
ভালো থাকবেন।
সুস্থ থাকবেন
আল্লাহ হাফেজ
ট্রিকবিডি এর সঙ্গেই থাকবেন।